লাইফ স্টাইল পোস্টঃ সামান্য কিছু কেনাকাটা
আজ - রবিবার
আজকে 5 তারিখ আর ১৪ দিন পর আমার মিটটার্ম পরীক্ষা। আর আমাদের ডিপ্লোমা তে প্র্যাকটিক্যাল গুলোকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বলা যায় প্রত্যেক মাসে আমাদের দুই থেকে তিনটা করে প্রাকটিক্যাল জমা দেওয়াই লাগে। সেই সাথে রয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট এ ছাড়া অনেক কিছু। পুজোর ছুটিতে বাসায় এসেছিলাম বেড়াতে ভাবলাম যে বাসায় গিয়ে কিছুদিন রিলাক্স করবো কিন্তু পরীক্ষার কথা শুনে আনন্দ গুলো যেন অর্ধেক হয়ে গেল। তাই আজকে গাংনীতে কয়েকটি প্র্যাকটিক্যাল খাতা কিনতে গিয়েছিলাম। গাংনিতে যাওয়ার সময়ই সেই কি যে বৃষ্টি আসল, এই কয়দিন বৃষ্টি লেগেই রয়েছে বৃষ্টি যেন থামছে না একটু করে থামছে তো আবার একটু পরেই আবার মুষলধারে চলে আসছে। তবে কিছু করার নেই এটাই হচ্ছে এডুকেশন সিস্টেম আমাদের সিস্টেমের মধ্যে থাকতে হবে তাই বাধ্য হয়েই বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে, ভিজতে গিয়েছিলাম প্র্যাকটিক্যাল খাতা ক্রয় করতে। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে আকাশে প্রচুর মেঘ হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল ভাবলাম যে হয়তোবা বৃষ্টি চলে আসবে কিন্তু সৌভাগ্যবশত তখন আর বৃষ্টি হয়নি। তখন আমি প্রশান্তি নিঃশ্বাস নিয়ে দোকানে ঢুকলাম এবং ওখানে গিয়ে একটা ফিজিক্স খাতা ক্রয় করলাম আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন দোকানটা এমন ছিল।
অনেকদিন পর গাংনী বাজারে এসে খুব ভালো লাগছিল আসলে এই গাংনী বাজারের সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। কারণ ছোটবেলা থেকে আমরা যতরকম কেনাকাটা রয়েছে সব এই বাজার থেকেই ক্রয় করি এবং প্রতিনিয়ত এই বাজারটি উন্নত হচ্ছে এবং অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে যেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটা বিষয়। সেই সাথে রাস্তাঘাট গুলো উন্নত হচ্ছে এবং অনেকগুলো মার্কেট ভাঙা পড়েছে দেখলাম সেখানে উন্নয়নের কাজ চলছে এই জন্য পুরো গাংনি শহরের চেহারাটা যেন অন্যরকম হয়ে গেছে। তবে প্রিয় গাংনি শহরে গিয়ে আজকে অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমে প্রাকটিক্যাল খাতা ক্রয় করার পরে আমি একটু ঘুরাঘুরি করে দেখছিলাম জায়গাটি তখন দেখলাম যে নতুন, নতুন অনেক বিল্ডিং উঠছে এখানে। এগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো এবং ডানে থেকে আসার সময় দেখলাম যে একটা নতুন সুইমিং পুল হয়েছে যেখানে মানুষ অনেকেই গোসল করছিল এবং মজা করছিল। আমারও ইচ্ছে করছিল সুইমিংপুলের নেমে একটু গোসল করি এবং একটু মজা করি তবে যেহেতু এটা সঠিক সময় ছিল না তাই ওখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে চলে আসার চেষ্টা করছিলাম।
বাড়িতে আসার পরে আবার সেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল এই বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে অনেক ভিজতে তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে এই বৃষ্টিতে যদি ভিজে সেক্ষেত্রে শরীর খারাপ হতে পারে। তাই সাহস করে আর এই বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি তো এক পর্যায়ে এভাবে বৃষ্টি মুষলধারে হওয়ার পরে বৃষ্টি যখন থেমে গেল তখন মোবাইলটা নিয়ে ফটোগ্রাফি করার জন্য বের হলাম এবং অনেক জায়গায় গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি করে বেশ ভালই লাগলো আর এলাকার মধ্য দেখছি যে বৃষ্টি ভেজা একটা পরিবেশ চলে এসেছে। আর পুরো জায়গাটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। আসলে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই পৃথিবীটাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছে কখনো বা বৃষ্টি আসে কখনো বা শীত আসে কখনো গরম আসে। আসলে এই তো গত দশ দিন আগে কি একটা গরম পড়েছিল সে বলে বোঝানোর মত নয়। বাড়ি থেকে একেবারে বেরি হওয়া যেত না কিন্তু দশদিন পর চেহারাটা পুরোটাই চেঞ্জ হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঠান্ডা পরিবেশ যেটা আমার অনেক প্রিয়। আগে মনে করতাম গরম ভালো তবে এখন দেখতে পাচ্ছি যে মোটামুটি শীত টাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে।
আপনাদের এলাকা থেকে কেমন পরিবেশ চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এখন ইচ্ছা রয়েছে পুজোর আজ ছুটিতে কিছু পুজো দেখব আমাদের এলাকাতে।অনেক বড় বুঝে উঠে যেগুলো দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে এবং সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে ওখানেও নিত্য নতুন অনেক ধরনের জিনিস পাওয়া যায় যেমন জলপাই এর আচার জিলাপির থেকে শুরু করে আরো সুস্বাদু সুস্বাদু অনেক খাবার এবং ওখানে হাতে তৈরি অনেক জিনিস উঠে যেমন মাটির ব্যাংক থেকে শুরু করে অনেক কিছু যেগুলো দেখতেও যেমন ভালো লাগে তেমনি কেনাকাটা করতে অনেক বেশি মজা লাগে। ছোটবেলায় মনে আছে যখন এসব মেলাতে আসতাম তখন টমটম গাড়ি ক্রয় করে নিয়ে যেতাম। এখন তো আর সেই এমন ভাব গুলো নেই তবে ওই স্মৃতিগুলো দেখতে এবং অনুভব করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন ছোট ,ছোট বাচ্চাগুলো এই টমটম গাড়ি আমাদের সামনে দিয়ে চালায় এবং আমাদের সামনে দিয়ে টমটম গাড়িগুলো ক্রয় করে। আবারও সেই গোল্ডেন সময় গুলো ফিরে আসে এগুলো ভেবেই অনেক ভালো লাগছে। যাইহোক এবার উৎসবে আমি যাওয়ার চেষ্টা করব এবং সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
যাহোক ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে আমার ছোট্ট এ ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারও খুব সুন্দর দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
লোকেশন | জুগিরগো |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ডিপ্লমাতে এই একটাই সমস্যা বেশি বেশি প্রাকটিক্যাল খাতা জমা দেয়া লাগে আর তার সাথে অ্যাসাইনমেন্ট মিলিয়ে একেবারে জগা খিচুড়ি অবস্থা। আমার কাছে এইগুলা খুবই বিরক্তর কাজ ছিলো। অনেকদিন পরে গ্রামে আসার পর বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। অনেকদিন পর পর গ্রামের দিকে আসলে সবকিছু যেন ভিন্ন ভিন্ন বলে মনে হয়। আর আমাদের গাংনীর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।