!! টাইটেল পাচ্ছি না 🙃🙃!!

আচ্ছা আপনাকে যদি কেউ বলে কেন বেঁচে আছেন। কী উওর দেবেন। নিশ্চয়ই ভাবতে হবে। কারণ আমাদের বেঁচে থাকাটাও যেন সামাজিকতা হয়ে গেছে। তবে প্রতিটা মানুষই একটি লক্ষ্য নিয়ে আসে পৃথিবীতে। যতক্ষণ না তার কাজ পূর্ণ হয় ততক্ষণ সে পৃথিবীতে থাকে এটা আমার বিশ্বাস। জীবন মানে কী বলুন তো। জীবন মানে স্রোত। কেউ সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে জীবন টা কাটিয়ে দেয় আবার কেউ স্রোতের উল্টো দিকে গিয়ে কিছু করে দেখাই। আমার আপনার জীবন সুন্দর শুধু সেটা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। হয়তো কথাগুলো বলার উপযুক্ত বয়স এখনো আমার হয় নাই। কারণ আমি এখনো কিশোর বলা য়ায়। আমাদের সবারই একটা পছন্দের কাজ থাকে যেটা করে আমরা সময় কাটিয়ে দিতে চাই। কেউ সেই সময়ে বই পড়ে কেউ ঘোরাঘুরি করে আবার কেউ বা সময় টা পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দেয়। কলেজ যাওয়া ছাড়া আমার বাড়ি থেকে খুব একটা বের হওয়া হয় না। তবে সুযোগ পেলে মিস করি না।

---

---

---

---

ঈদ সবার মোটামুটি ভালো কেটেছে আশাকরি। না আমার খারাপ কাটেনি। তবে আমার জন্য এবারের ঈদটা অন্য প্রতিটা ঈদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। বলা যেতে পারে ঈদের নামাজ পড়ে ঘরে ঢুকেছি আর বাইরে যায়নি। নিজের ঘরেই কাটিয়ে দিয়েছি সম্পূর্ণ সময়। তবে কেন জানি মনে হচ্ছিল আমার একা থাকা উচিত। এই কদিন মানুষের সাক্ষাতে আমি বেশ ইতস্তত বোধ করতাম। তাই আমার এইরকম উদ‍্যোগ। যাইহোক তবে আমার একটা বেয়ারা ফ্রেন্ড আছে। মূলত ঈদের দিন বলেছিল ইমন চল বের হয়। আমি বললাম না ভাই আমার মন মানসিকতা ভালো না। আমি কোথাও যাব না। বিকেলে দেখি আমার বাড়ি পযর্ন্ত চলে এসেছে। কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেল। ও বলে গেল স্বাভাবিক হলে বলিস ঘোরাঘুরি করব। এভাবে ঈদটা কাটিয়ে দিস না। আর ও বাড়ি আসলে আমার সঙ্গেই ঘোরাঘুরি করি। আমাদের বন্ধুত্ব সেই অষ্ঠম শ্রেণি থেকে। তবে আমার মন মানসিকতা ঠিক হতে একটু বেশিই সময় লেগে গেল। টানা কদিন ঘরের মধ্যে থেকে বৃহস্পতিবার আমি ঠিক করলাম না এবার বাইরে যাওয়া যায়। ঐদিন আবার আমার ঐ বন্ধু লিখনের জন্মদিন ছিল। তাই ওকে বললাম লিখন আজ বিকেলে বের হবো নির্ধারিত জায়গাই চলে আসিস।।

---

---

---

---

লিখনের সবকিছু আমার ভালো লাগে শুধু একটা জিনিস বাদে। ওর সময়জ্ঞান খুব কম। ও আমাকে বলল তুই বাড়ি থেকে বের হ আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসেতেছি। সেই বান্দা আসলো ঠিক ৩৫ মিনিট পর। তখন আমার প্রচণ্ড রাগ হয়েছিল। কিন্তু ছেলেটার জন্মদিন ছিল তাই আর সেরকম কিছু বলি নাই। যেতে যেতে বলল ওর গার্লফ্রেন্ড ওর বাড়ি গিয়েছিল আজ ওর জন্মদিন ছিলো তাই। যদিও আগেও অনেকবার গিয়েছে। সেজন্য ওর দেরি হয়েছে। যাইহোক আমি আর কিছু বললাম না। আমরা যখনই ঘুরতে বের হই অধিকাংশ সময় কোথায় যাব আমাদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এইদিনও তাই হয়েছিল। মোটামুটি হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া শুরু করলাম। বেশ অনেক টা গিয়ে একটা জায়গাই দাঁড়ালাম। কারণ অতিরিক্ত গরম ছিল। লিখন বলল আমার সফট ড্রিংকস খাওয়া লাগবে। আমি বললাম ঠিক আছে।

---

---

---

---

এভাবে আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি করতে করতে বেশ অনেকরাত হয়ে যায়। শুধু রাতের জন্য আমার খুব একটা পছন্দের জায়গা আছে। জায়গাটা দিনের বেলায়ও ভালো লাগে তবে রাতে আসল সৌন্দর্য টা উপভোগ করা যায়। যাইহোক এটা আমার শহরের মধ্যে একটা নদীর ধারে অবস্থিত। মূলত রাত হলে এখানে জনগণের উপস্থিতি কম হয়ে আসে। সেই সাথে থাকে প্রচণ্ড বাতাস এবং নির্জনতা। বেশ দারুণ লাগে। তো আমরা ওখানে চলে গেলাম। গিয়ে বসে আছি। হঠাৎ দেখি ৮:২৫ বেজে গেছে। তখন মনে হলো ও হো আজকে তো আমাদের হ‍্যাংআউট আছে।লিখনকে বললাম আজ চল অন‍্যদিন আসা যাবে। এরপর মোটামুটি চলে এলাম। লিখন পরেরদিন চলে যাবে সেজন্য ওর সাথেই সময় টা কাটায়। যদিও আমার বেশ ভালো লাগছিল। এবার ঈদ কেটেছে ঘরের মধ্যে সেটা আগেই বলেছি।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	Redmi note 10 pro
সময়	জুলাই,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---