!! ভোগান্তি 😴😩!!!

সমস্যাহীন পৃথিবী হয় না। সভ‍্যতার যত এগিয়েছে পৃথিবীর বয়স যত বেড়েছে সমস্যা গুলো ততই জটিল হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ছোটখাট সমস‍্যায় পড়ে থাকি। এই সমস্যা গুলো যারা মেনে নিয়ে মোকাবেলা করে তাড়াই এগিয়ে যায়। আসলে প্রতিটা সমস্যা একটা নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। সমস্যা গুলোর সমাধান করা যায় কিন্তু ভোগান্তি। ভোগান্তির কোনো সমাধান সত্যি আছে। আমার মনে হয় নেই। এখন আমরা নানারকমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। অধিকাংশ সময় আমরা মানুষের দ্বারাই ভোগান্তির শিকার হয়। তবে বর্তমানে প্রকৃতির কারণেও আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এইরকমই একটা ভোগান্তির সম্মূখিন হয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবার।

---

---

---

---

প্রতিদিন বেশ সকালে চলে যেতে হয় কলেজে। ৮:৪৫ এ ক্লাস শুরু হয়। আমার বাসা থেকে মোটামুটি ৮ টার দিকে বের হওয়া লাগে। আমার একটা বদঅভ‍্যাস আছে। আমি অধিকাংশ দিনই না খেয়ে কলেজে চলে যায়। বৃহস্পতিবারও সেইরকমভাবে না খেয়ে চলে গেছি। অন‍্যদিকে বেশ কিছু কাজ নিয়ে এসেছি ঘাড়ের উপর। ফলস্বরুপ আমি এবং আমার তিন বন্ধু ক্লাস শেষ করে চলে গেলাম কুষ্টিয়া থানামোড়। ওখান থেকেই একটা জিনিস কেনার ছিল। আমরা কিছুটা যেতেই নেমে পড়লো বৃষ্টি। সে কী বৃষ্টি কী আর বলব। আমার ব‍্যাগে সবসময় ছাতা থাকে। কিন্তু ওদের দুজনের কাছে ছাতা ছিল না। এক ছাতায় দুজন চলা যায় কিন্তু তিনজন অসম্ভব। কী আর করার বেশ কিছুক্ষণ থাকলাম বসে।

---

---

---

---

বৃষ্টি থামলো হাঁটা শুরু করলাম আবার শুরু হলো বৃষ্টি। কী একটা অবস্থা। বৃষ্টি টা একেবারে হয়ে গেলেই হয় এইভাবে অল্প অল্প করে বারে বারে হওয়ার কী দরকার। এভাবে মোটামুটি ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে কাটলো। তবে দোকান টা ফাঁকা ছিল দ্রুতই কাজ শেষ হয়ে গেছিল। তো আর দেরী করলাম না। উঠে পড়লাম একটা ইজিবাইকে। এখান থেকে মোল্লাতাঘোরিয়া সেখান থেকে সিএনজিতে কুমারখালী। এখানে বাঁদে বিপওি। কিছুদূর যেতেই নজরে আসলো বিশাল জ‍্যাম। প্রথমত ওখানে রয়েছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ এবং পাশেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এবং বেশ কিছু বড় বড় ক্লিনিক। এখানে প্রায় অনেক বড় জ‍্যাম বেঁধে যায়। প্রথমত সকালে খাইনি তারপর আবার এইরকম জ‍্যাম কেমনটা লাগে। জ‍্যামে বসে আছি এরমধ্যে শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড গরম। সবমিলিয়ে অসহনীয় একটা পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছিল। এক মূহূর্তে মনে হচ্ছিল যায় ট্রাফিক পুলিশরে গিয়ে বলি এই বেটা কী করছিস গাড়ি আগায় না কেন হি হি। যদিও আমার অতো সাহস নাই😆।।

---

---

---

---

অবশেষে অনেকক্ষণ পর গাড়ি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করল। বেশ কিছুদূর গেলাম আবার জ‍্যাম। আর ভালো লাগছিল না। মোটামুটি সেখানে ১০ মিনিটের রাস্তা আমাদের ৩০-৩৫ মিনিট লাগে। যাইহোক এরপর গেলাম হাইওয়েতে। ওখানে অবশ‍্য বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। ছেলে হওয়ার একটা বিপওি আছে। সিএনজিতে সবসময়ই আমাদের সামনে বসতে হয়। মেয়েদের জন্য ভেতরটা ছেড়ে দিতে হয়। এইদিনও তাই হলো। হাইওয়ে তে আবার শুরু হলো বৃষ্টি। ওয়েদার টা দারুণ ছিল। এক মূহুর্তে শান্তির হাওয়া বয়ে গেল। এখন আমার সামনে লক্ষ্য শুধু একটা বাড়ি গিয়ে খাইতে হবে। কারণ কলেজ থেকে আমি সাধারণত ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু সেদিন ৩ টার বেশি বেজে গেছিল।।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	জুলাই,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---