"আমার বাংলা ব্লগ" 🕊🐦 একটি পাখির খামার পরিদর্শন এবং পাখি ক্রয় 🕊🐦। আগষ্ট ০৫,২০২১।
আমার বাংলা ব্লগে,
সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ আরো একটি পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমার অনেকগুলো শখ রয়েছে। এরমধ্যে পাখি পোষা অন্যএকটি। আমার বাড়িতে আমি কিছু পাখি পালন করে থাকি। মূলত এটি আমি শখের বসে করি। আজ এরই জন্য আমি একটি পাখির খামার পরিদর্শন করি। এবং কিছু পাখি ক্রয় করার চেষ্টা করি। আজ এই বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক।
মূলত আমি সবসময় আমার পরিচিত কিছু ব্যক্তির থেকেই পাখি ক্রয় করি বা পোষার জন্য নিয়ে আসি। কিন্তু আমার বন্ধু লিখন আজ আমাকে বলে চল একটি খামার থেকে ঘুরে আসি। খামাররে মালিক লিখনের পরিচিত। আমি বাসা থেকে বের হয় সকাল ১০:৩০ টার সময়। এরপর আমরা সেখানে রওনা দেয়। এই খামারটা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার হোগলা গ্রামে অবস্থিত। এখানে গিয়ে আমরা সরাসরি খামারে প্রবেশ করি। এরপর আমরা অনেক প্রজাতির পাখি সেখানে দেখতে পাই।
লাল ঝুটি কাকাতুয়া,
ধরেছে যে বাইনা।
চাই তার লাল সুতো,
চিরুনী আর আয়না।
না এই কাকাতুয়া গুলোর ঝুটি লাল না। ওদের ঝুটি সাদা। ওদের শরীরের রংও সাদা। এই কাকাতুয়াগুলো ওই খামারের। ওই খামার মোট ৪ জোড়া অর্থাৎ ৮টা কাকাতুয়া ছিল। সবগুলো দেখতে প্রায় একই বর্ণের এবং একই গঠনের। এগুলোকে খাঁচার ভেতরে রেখে দেয়া হয়েছে। ওখানেই ওদের খাবার এবং পানি সরবারহ করা হয়। মূলত কাকাতুয়া একটি সৌখিন পাখি।অন্যসকল পাখি থেকে এটা একটু ভিন্নভাবে থাকে। এরা সকলের সাথে খুব একটা ভাব জমায় না। এদের Attitude অনেক বেশি। খামার পরিচালক একজোড়া কাকাতুয়ার দাম চাই ১৫০০-১৮০০ টাকা।
এই পাখিটাকে মূলত আমরা সবাই চিনি। টিয়া সুন্দর বর্ণের এবং সুন্দর গঠনের একটি পাখি। সাধারণত টিয়া পাখির রং সবুজ বর্ণের হয়। আমাদের দেশে অনেক বাসা বাড়িতে টিয়া পাখি পালন করতে দেখা যায়। একসময় আমার বাড়িতেও টিয়া পাখি ছিল। আমার বড় ভাই টিয়া পাখি পালন করত। টিয়া পাখির সাথে ছোট আমার গভীর একটি সম্পর্ক আছে। টিয়া আমার খুব পছন্দের একটি পাখি। খামার পরিচালক একজোড়া টিয়ার দাম চাই ১৪০০ টাকা।
এই পাখিটার নাম বাজরিকা। মূলত এটা আমার অপরিচিত একটি পাখি। এই পাখিটার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে কিছুদিন পূর্বে। তবে এই পাখিটাও আমার পছন্দের একটি পাখি। এই বাজরিকা পাখি তিন চার প্রজাতির হয়ে থাকে। এক এক প্রজাতির এক এক রকম বর্ণ। এখানে সবুজ সাদা এবং হলুদ এই তিন বর্ণের বাজরিকা পাখি ছিল। এগুলোকে খাঁচার মধ্যে রাখা হয়েছে। খামারে অনেকগুলো বাজরিকা পাখি ছিল। খামার পরিচালক প্রতিজোড়া বাজরিকার দাম চাই ৮০০-৯০০ টাকা।
মূলত আজ আমি কোনো পাখিই ক্রয় করতে পারি নাই। কারণ আমার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ছিল না। তবে আমার কাকাতুয়া এবং বাজরিকা পাখি খুব পছন্দ হয়েছে। খুব দ্রুতই আমি এগুলো ক্রয় করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসব। এবং আমি আজকে খামার পরিদর্শনটা উপভোগ করেছি। এবং অনেক নতুন পাখির সাথে পরিচিত হয়েছি। আশাকরছি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাইকে ধন্যবাদ 💖💖।
cc:
@rme
@blacks
@shuvo35
@hafizullah
@rex-sumon
@amarbanglablog
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ভাই
ধন্যবাদ।
আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো হয়েছে ভাই। আমার ব্যক্তিগত অভিমতে পাখি মুক্ত আকাশে ভালো লাগে।
আপনি সঠিক বলেছেন। কিন্তু মানুষ প্রকৃতি কে নিজের ইচ্ছা মতো চালনা করছে। আর এতো একটা পাখি।
জি ভাই।
☺☺☺