!!! সুন্দরবনের বিদ‍্যাসাগর!!! প্রথম তিন এপিসোড এর রিভিউ।

---

---

শুরুতেই দেখা যায় একজন অল্প বয়সী বিধবা পুষ্প ঐ এলাকার সুন্দরবন বার্তার এডিটরের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছে। এবং বলছে কালকেই ওদের সব মুখোশ খুলে দেব। এবং যেতে যেতে মাঝপথে তাদের পুলিশ ধরে। তাকে পুলিশ কাঠচুরির দায়ে ধরে নিয়ে এটা। এটা ছিল ঐ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের পরিকল্পিত। যাইহোক এরপর দেখা যায় কলকাতার একটা জায়গা। দুইজন পুলিশ রাতে তাদের শহর ঘুরে পাহাড়া দেখছে নতুন অফিসার এসেছে। এবং দেখতে পাই একটা ছেলে ল‍্যাম্পপোস্টের আলোয় লেখাপড়া করছে। তখন পুলিশ বলে কে রে ঐটা চলতো গিয়ে ধোলাই দেয়। ওর বাড়িতে কী ইলেকট্রিক নেই ও রাস্তায় পড়াশোনা করছে। তখন কনস্টেবল বলে স‍্যার যাবেন না। ও হলো এই এলাকার বিদ‍্যাসগার। ওকে কিছু বললে লোকজন ধরে মারবে। এরপর উনারা চলে যায়। ছেলেটার নভ ছিল কিংকর কর্মকার। পরের দৃশ্যে দেখা যায় কিংকরের গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট বের হবে। পরিবার এলাকার সবাই আশাবাদী ও এবার ভালো রেজাল্টা করবে।।

কিন্তু যা মানুষ ভাবে তা হয় না। কিংকর 41% মার্ক পেয়ে সংস্ক‍ৃত থেকে গ্রাজুয়েশন করে। এতে এলাকার লোক ছি ছি করতে থাকে। বলে যার নাম বিদ‍্যাসাগর সে করেছে এইরকম রেজাল্ট। এতে করে কিংকরের বাবা প্রচন্ড রেগে যায়। এবং কিংকরকে বলে কী করেছ লেখাপড়া না করে। বাড়ির মান সম্মান সব শেষ করে ফেলেছ তুমি।।

---

---

---

---

প্রথমত সংস্কৃত তে গ্রাজুয়েট তারপর আবার 41% মার্ক। সবাই বলে কোনো চাকরি হবে না। তাকে তার পারিবারিক বইয়ের দোকানে বসতে হবে। তখন কিংকরকে তার এলাকার এক দাদা বলে অনেক তো বাবার কথা শুনলি। তোকে জীবনে কিছু করতে হলে ঐ বাবার ছায়া থেকে বের হতে হবে। আমি একটা ঠিকানা দিচ্ছি আমার বন্ধুর ওর সঙ্গে গিয়ে দেখা কর। কিংকর সেই অনুসারে দেখা করে। কিংকরের চাকরি হয়ে যায় সুন্দরবনের কামারখালী গ্রামে।। ঐটা একটা বিধবাপল্লী। ওখানে ১৫০ এর মতো বিধবা রয়েছে। তার কাজ ঐ বিধবাদের নিয়ে একটা সুন্দরী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। তারা সুন্দরবনকে রক্ষা করবে। বাড়ির সবার অমত থাকা সত্ত্বেও কিংকর চলে যায় সুন্দরবনের কামারখালীতে।

যাওয়ার সময় নৌকার উপর থেকে ঐ এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান মাখনের সঙ্গে তার দেখা হয়। মাখন মোটেই ভালো লোক না। যাইহোক ও নৌকা থেকে নেমে নদীর ঘাটে দাড়িয়ে থাকে। কিংকরকে একজন নিতে আসবে। তার নাম হাফিজ। হাফিজের নেতৃত্বে কিংকর কাজ করবে। এরপর হাফিজ চলেও আসে। এরপর হাফিজ কিংকরের থাকার জায়গা ঠিক করে দেয় এবং একজন সহকারি দিয়ে যায়।

---

---

---

---

পরেরদিন সকালে উঠে কিংকর তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে। এরপর তৈরি হয়ে নেয়। তারপর হাফিজ এর সঙ্গে যায় ঐ এলাকার পঞ্চায়েত অফিসে। এবং যেদিন সে আসে সেদিন সন্ধ‍্যায় একজন অল্পবয়সী বিধবা পার্বতী কে দেখেই কিংকরের ভালো লেগে যায়। যাইহোক পঞ্চায়েত অফিসে যে তিনজন লোক প্রধান একজন স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক। উনি মহিলা। এছাড়া মাখন এবং আরও একজন। কেউই ভালো মানুষ না। সবকিছু বললে তারা বলে আমাদের মেয়েরা এখন অন্য একটা প্রজেক্ট রয়েছে। আমরা এখন আপনাদের সাহায্য করতে পারব না পরে আসবেন। এরপর কিংকর এবং হাফিজ বাইরে এসে কয়েকজন বিধবার সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করে।

এবং সেই সময়ে পার্বতীকেও ওখানে দেখতে পাই। কিন্তু কথা বলতে বলতে ঐ ম‍্যাডাম এবং মাখন সেখানে চলে আসে। এবং একপ্রকার তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর কিংকর তার উপরের অফিসার বিডিও এর কাছে যায়। উনিও কিংকর কে চাপ দেয় বলে আগামীকালের মধ্যে আমার ২৫ জন বিধবার তালিকা চাই।।

---

---

---

ওয়েব সিরিজের শিক্ষা ও মতামত

---

---

আজ আমি সুন্দরবনের বিদ‍্যাসাগর ওয়েব সিরিজ এর প্রথম তিনটা এপিসোড এর রিভিউ আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করে নিয়েছি। এখানে দেখা যায় একজন শান্ত ভদ্র ছেলে নাম কিংকর। কিন্তু তার এবং বিদ‍্যাসাগরের জন্মদিন একই এবং তার দাদা বিদ‍্যাসাগরের অনেক বড় ভক্ত। সেজন্য সবাই তাকে বিদ‍্যাসাগর বলতো। যাইহোক এক পর্যায়ে সে চাকরি নিয়ে চলে যায় সুন্দরবনের একটি গ্রামে। ঐ গ্রামেও তাকে বিধবা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানেও বিদ‍্যাসাগরের সঙ্গে তার একটা মিল পাওয়াই যায়। অসাধারন একটা ওয়েব সিরিজ এটা। সবার অভিনয় বেশ সাবলীল। যাইহোক পরের এপিসোড গুলো রিভিউ নিয়ে আসব খুব দ্রুতই।।।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০

---

---

অফিশিয়াল ট্রেইলার

---

---