!! তেলবাজ!! সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

ঘটনার শুরু হয় ক‍্যারাম খেলার মধ্য দিয়ে। নাটকের নায়ক জোভান ক‍্যারামের স্ট্রাইক ঠিক করে দিচ্ছে। এবং ঐ এলাকার নেতা হিট করবে। হিটে কোনো পয়েন্ট পকেটে যায় না। তখন জোভান তেলবাজি শুরু করে বলে ক‍্যারাম বোর্ডে সমস্যা আছে। যাইহোক তখন জোভান নেতাকে খুশি করার জন্য হাত দিয়ে পয়েন্ট পকেটে দিয়ে দেয়। এরপর জোভান তার বসকে গিফট করার জন্য একটা সস্তা পাঞ্জাবী কিনে এবং সেটা বস যেন না ঠিক পাই সেজন্য সে দামী ব্রান্ডের সীল মারে। ঐ টেইলার্সের দোকানে জোভান একটা মেয়েকে দেখে। দেখেই তার ভালো লেগে যায়। এরপর জোভান ঐ গিফট বসকে দিয়ে বলে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু বস বুঝতে পারে না কিসের জন্য এই গিফট। আজ তার জন্মদিনও না আবার বিবাহ বার্ষিকীও না। তখন জোভান তেলবাজি করে বলে বস আজকের দিনে আপনার একটা কবিতার বই বের হয়েছিল। এবং সেটার দশ কপি বিক্রি হয়েছিল যার ৮ কপি আমি কিনেছিলাম।

---

---

---

---

এরপর জোভান একটি রেস্টুরেন্টে তার বন্ধুকে সাথে নিয়ে খেতে যায়। খেতে গিয়ে ঐ মেয়েকে দেখে। যাকে দেখে তার ভালোলেগে গিয়েছিল। পরে সে জানতে পারে ঐ মেয়ে ঐ রেস্টুরেন্টের মালিক। এরপর জোভান অফিসে কাজ করছে হঠাৎ তার বসের বউ আসে। সে তার বসের বউকে তেল মারতে শুরু করে। বলে ম‍্যাডাম আপনার শাড়ি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। একেবারে অসাধারণ। একেবারে প্রফেশনাল তেলবাজ আরকী। এরপর জোভান ঐ এলাকার নেতার কাছে যায়। নেতাকে ওরা জহির ভাই বলে ডাকে। কিছুদিন পর ঐ দলের কিছু পদ দেওয়া হবে। ঐ পদের জন্য জোভান নেতারে তেল দেয়। এবং নেতার সাথে ছফি উঠে পোস্টার ছাপায়।

---

---

---

---

এরপর জোভান ঐ মেয়েকে নিয়মিত অনুসরণ করতে থাকে। এবং প্রপোজ করে। মেয়েটা সরাসরি হ‍্যা না বললেও ইশারায় বুঝিয়ে দেয়। যাইহোক এরপর জোভানের অফিসে একটি মিটিং হচ্ছে। সবাই নিজের মতামত দেয়। কিন্তু জোভান বসকে খুশি করার জন্য তেলবাজি করে বলে আপনি যা বলবেন সেটাই ঠিক। এসব করে জোভান সব জায়গাই সুযোগ নিতে চাইত। যাইহোক এরপর অফিসে প্রমোশন দেওয়া হয়। কিন্তু জোভান না অন্য একজনকে প্রমোশন দেওয়া হয়। জোভান যখন তার বসকে জিজ্ঞেস করে প্রমোশনটা তো আমার পাওয়ার কথা ছিল। তখন বস বলে তুমি অনেক তেলবাজি কর। তেলবাজিতে আমি খুশি হলেও অফিস এগিয়ে যায় না। অফিসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার হয় ভালো কাজের। বাটার না মেরে বেটার কাজ কর।

---

---

---

---

এরপর ঐ দলের কমিটি ঘোষণা করার দিন। জোভান ভাবে সে হয়তো নিশ্চিত পদ পাবে। কিন্তু সে পদ পায় না। তখন ঐ নেতা জহির ভাইও জোভানকে একই কথা বলে। তেলবাজি করে সবকিছু পাওয়া যায় না। এরজন‍্য কাজ করার দরকার হয়। জোভান তাও ভালোভাবে বুঝে না। এরপর ঐ মেয়ের ভাইয়ের সাথে জোভান দেখা করে। আবারও সে তেল মারার চেষ্টা করে। তখন ঐ মেয়ের ভাই বলে আমাকে তেল মারবা না। তোমার তো কোনো যোগ‍্যতা নাই শুধু পার তেল মারতে। এমন কোনো ব‍্যক্তির সাথে আমি আমার বোনের বিয়ে দেব না। তখন জোভান তার আসল ভুল বুঝতে পারে। এবং তার বস ও জহির ভাইয়ের কাছে গিয়ে ভুল স্বীকার করে এবং বলে আপনাদের ধন্যবাদ আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর ঐ মেয়ে জোভানের সাথে দেখা করে। এবং দেখে তার তেলবাজি স্বভাব চলে গেছে। তখন তারা আবার আগের মতো। স্বাভাবিক হয়ে যায়। এখানেই নাটক টা শেষ হয়।

---

---

নাটকের শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

এই নাটকের সাথে বাস্তবতার অনেক মিল আছে। আমরা যদি আমাদের আশেপাশে এলাকায় কর্মক্ষেত্রে খেয়াল করি তাহলে এইরকম তেলবাজ দেখতে পাব। হ‍্যা অনেক আছে। যাদের যোগ‍্যতা শুধু তাদের মুখ। মানে তারা এতো তেল দিয়ে কথা বলবে যা কোনো ব‍্যক্তিত্বসম্পূর্ণ মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। যেটা এই তেলবাজ নাটকে দেখানো হয়েছে। সত্যি কোনো শিক্ষিত এবং ব‍্যক্তিত্বসম্পূর্ণ মানুষ কখনো তেলবাজি করতে পারে না। আর যারা করে তারাও বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারে না। সুতরাং দিনশেষে সবাই আমাদের কাজটাই দেখে। সেজন্য আমাদের উচিত নিজের কাজের দিকে ফোকাস করা। এটাই ছিল এই নাটকের শিক্ষা। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে নাটকটা। এবং সবার অভিনয় ছিল অপ্রতিরোধ‍্য।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০

---

---

নাটকের লিংক

---

---