আফসোস( প্রথম পর্ব )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মৃদুলের বয়স ২১ বছর। সে তার বাবা মায়ের একমাএ সন্তান। সে মধ্যবিও পরিবারের ছেলে। ছোট থেকে বাবা মায়ের বেশ আদরের সন্তান। মৃদুল তার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বেশ ভালোভাবে শেষ করে। সে এখন একটা সরকারি কলেজে অনার্স বিভাগে লেখাপড়া করছে। মৃদুলের কলেজের পাশে একটা গার্লস স্কুল রয়েছে। ঐ স্কুলে অসংখ্য মেয়ে লেখাপড়া করে। মৃদুল সবসময়ই মেয়েদের থেকে দূরে থাকে। মৃদুল এবং তার বন্ধুরা ঐ কলেজের মোড়ে বসে টং দোকানে চা খাচ্ছে। এবং স্কুল টাইম হওয়াই সব মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। নীল সাদা ড্রেস পড়া একটা মেয়েকে মৃদুলের নজরে পড়ে। এবং দেখেই ভালো লেগে যায়। এরপর এভাবে বেশ কিছুদিন মৃদুল মেয়েটাকে অনুসরণ করে। মেয়েটা স্কুলে আসলে পেছন পেছন আসে যাওয়ার সময়ও তাই। মেয়েটার নাম তমা। সে দশম শ্রেণি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে। মোটামুটি তমা বেশ ভালো পরিবারের মেয়ে। এভাবে বেশ কিছুদিন চলল। হঠাৎ একদিন তমা স্কুলে যাচ্ছে পেছন থেকে ডাক দিল মৃদুল এই যে শুনছেন??
তমা প্রথমবার শুনল না। পরের বার আবার মৃদুল বলল এই যে শুনছেন। এবার তমা দাঁড়িয়ে বলে কি হয়েছে কিছু বলবেন। তখন মৃদুল বলে আমি বেশ অনেকদিন ধরে আপনাকে দেখছি। আমি আপনার পেছন পেছন ঘুরি এটাও হয়তো আপনি দেখছেন। তমা বলল তো কী হয়েছে। মৃদুল বলল আমি আপনাকে পছন্দ করি। আপনাকে আমার ভালো লেগেছে। তখন তমা বলল তো আমি এখন কী করতে পারি। মৃদুল বলল আমরা কী রিলেশনশীপে যেতে পারি। তমা বলল না আমার পক্ষে এখন এসব কিছুই যাওয়া সম্ভব না। আমার পরিবার থেকে এসব শুনলে রাগারাগি করবে এবং আমার লেখাপড়াও বন্ধ করে দিতে পারে। আমি আপনার সঙ্গে কোনো সম্পর্কে যেতে পারব না। মেয়েটার এমন না শুনে বেশ কষ্ট পাই মৃদুল। এরপর বেশ কিছুদিন কেটে যায়। মৃদুল আর তমাকে অনুসরণ করে না। তমা যেন মৃদলকে মিস করা শুরু করে। তমা খুজতে থাকে মৃদুলকে যে এবার দেখা পেলে কথা বলবে। তমাও যেন ভালোবেসে ফেলেছে মৃদুলকে।
এরপর একদিন তমা দেখা পাই মৃদুলের। মৃদুলকে ডেকে বলে এই যে শুনছেন আপনার সঙ্গে আমার কথা আছে। তমা বলে চলুন অন্য কোথাও গিয়ে কথা বলি রাস্তায় কেউ দেখে নিতে পারে। একটা পার্কে গিয়ে তমা এবং মৃদুল বসে। তখন তমা বলে আপনাকে তো আর আমার পেছনে দেখি না। কী ভালোবাসা উড়ে গেছে। তখন মৃদুল বলে আপনি তো রাজি না আর আপনার পেছনে পেছন ঘুরে কী হবে। তবে ভালোবাসা উড়ে যায়নি। আপনি বললে এখন থেকে আবার আপনার পেছনে ঘুরব। তমা বলে উঠল থাক না দরকার নেই। কাজ যখন হয়ে গেছে আর ঘুরে কী করবেন। মৃদুল বলে উঠল মানে কী? তমা বলল কেন জানি না আমি নিজেও আপনাকে মিস করছি। আচ্ছা এটাকে কী ভালোবাসা বলে। মৃদুল হ্যা এটাকেই হয়তো ভালোবাসা বলে। তমা বলে তাহলে কী আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। মৃদুল বলে আমি কী জানি। তমা বলে প্রপোজ করবেন না আমাকে।।
তমার এমন কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে যায় মৃদুল। মৃদুল বলে আজ তো আমি ফুল চকলেট কিছু নিয়ে আসি নাই। কাল দেখা করি আমরা। তমা বলল কাল দেখা করাই যায় তবে প্রপোজ করার জন্য ফুল চকলেট লাগে নাকী। এখনই করে দেন পরে যদি আমার মন ঘুরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মৃদুল প্রপোজ করে তমা কে। তমাও রাজি হয়ে যায়। এরপর চলতে থাকে দুজনর রিলেশন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুজন পার্কে রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যায়। একে অপরের প্রতি আসক্ত হয়ে যায় দুজন। মাঝে মাঝে দেখা করা এবং প্রতিদিন ফোনে কথা চলতে থাকে। এরমধ্যেই তমার এসএসসি পরীক্ষা হয়ে যায়। তমা বেশ ভালো রেজাল্ট করে। এবং তমা উচ্চমাধ্যমিকে কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে তমার বাড়িতে তমা এবং মৃদুলের বিষয়ে জেনে যায়। এরপর তমার পরিবার তমাকে বেশ নজরে নজরে রাখে। তমা এবং মৃদুল এর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
মৃদুল তো ঠিকই বলেছে তমা মৃদুলকে পছন্দ করে না তাহলে মৃদুল কেন ওর পেছনে ঘুরবে। ছেলেটা ঘোরা বন্ধ করে দিয়েছে আর মেয়েটা মিস করা শুরু করেছে, এটাই মনে হয় নিয়ম। ছেলেটা ঘোরা বন্ধ করে দিয়ে ভালোই করেছিল যাতে মেয়েটা তার ভালোবাসা বুঝতে পেরে ওর কাছে ফিরে এসেছে। ভালো লিখেছেন ভাইয়া গল্পটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সত্যি বলতে অবাক করা প্রেমের কাহিনী, বেশ ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে ফুল চকলেট এর অপেক্ষায় রইলো না কেউই। যখনই শুনতে পায় যে তমার মন বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা, তখনই সাথে সাথে মৃদুল সে ফুল আর চকলেটের ভরসায় না থেকে প্রপোজ করে দিয়েছে, এ বিষয়টি অনেক ভালো লাগলো। আর তমাও সেটি একসেপ্ট করে নিল। যাইহোক পরের পর্ব অপেক্ষা রইলাম।
মৃদুল ঠিক কাজ করেছে তমা মৃদুলকে পছন্দ করে না তাই মৃদুল তমার পিছে ঘুরে কি করবে। মৃদুল যদি মেয়েটার পিছনে ঘুরতে থাকতো। তা হলে হয়তো তমা মৃদুলকে পছন্দ নাও করতে পারতো।এক পর্যায়ে দুজনের সময় ভালোই কাটছিল। হঠাৎ তমার বাড়িতে মৃদুলের কথা জেনে যায়,তমার আর মৃদুলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দেখা যাক এখন কি হয়।
আপনার গল্পটি পড়ে একদিকে যেমন বেশ ভালো লেগেছে অন্যদিকে তেমনি বেশ মজাও পেয়েছি। মেয়েটি পরবর্তীতে নিজে থেকে ছেলেটিকে ডেকে প্রপোজ করতে বলছে সত্যিই মজার ছিল । আসলে যখন কেউ আশেপাশে ঘুরতে থাকে তখন তার মর্মটা বোঝা যায় না। যখন সে না থাকে তখনই তাকে মানুষ মিস করতে থাকে। এটাই হয়তো নিয়ম। বেশ ভাল ছিল গল্পটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ।
গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো। মৃদুল আর তমালের ভালোবাসার শুরুটা বেশ চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এ ধরনের গল্পের শুরুটা খুব চমৎকার হয়। কিন্তু গল্পটি পড়ে কিছুটা হল আন্দাজ করতে পারছি যে মৃদুল আর তমালের জীবনে বড় একটা ঝড় আসতে চলছে, যাই হোক পরবর্তী পর্বেই তা জানা যাবে অপেক্ষায় রইলাম।
ভালবাসা বেপারটাই কেমন যেন অনিশ্চয়তার। প্রথমে মৃদুল তমার পিছনে ঘুরেছে কিন্তু তমা পাত্তা দিল না। আবার মৃদুল ঘুরা বন্ধ করল তখন আবার তমা মৃদুলের প্রেমে পড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত দুজনের প্রেম হল ঠিকই কিন্তু এদিকে আবার বাধা হয়ে দাড়াল তমার পরিবার। খুবই ইন্টারেস্টিং ভালবাসা কাহিনী। সামনে কি হয় তার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।