আমার বাংলা ব্লগ। মানুষ মানুষের জন্য। ১০% বেনিফিসিয়ার @shy-fox এর জন্য। আগষ্ট ২৬,২০২১।
- আমার বাংলা ব্লগে,
- সবাইকে স্বাগতম।
- আমি @emon42.
- বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগে আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আজ আমি সহজ একটি বিষয়ে কথা বলব। মানুষ মানুষের জন্য। পৃথিবীতে একজন মানুষ অন্যএকজনকে সাহায্য করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা এখন মানুষ কে সাহায্য করতে চাই না। গত ২৩ তারিখ সোমবার বিকেলে আমার সাথে এইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। এখন আমি এই বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সবাই সাথেই থাকুন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।
গত সোমবার ২৩ শে আগষ্ট বিকেলে অন্যদিনের মতোই আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঘুরতে বের হয়। এই দিন আমরা কুমারখালী শহর থেকে বের হয়ে গ্রামের দিকে যায়। আমরা ঘুরতে ঘুরতে মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। দেখি এখানে একটি ফুসকা এবং চটপটি রয়েছে। যথারীতি ভাবে আমরা সেখানে ফুসকা খাব বলে ঠিক করি। আসলে লিখনের শহরের ফুসকা আর ভালো লাগছে না। এজন্য একটু গ্রামের দিকে এসে ফুসকার খোঁজ। দেখলাম দামটাও অনেক কম। আমরা দুই প্লেট ফুসকার অর্ডার দিয়ে বসি। এমন সময় কিছু বাচ্চা এসে হাজির।
বাচ্চাগুলো হঠাৎ আমার কাছে এসে বলে ভাইয়া চটপটি খাব। প্রথমে আমি এবং লিখন তো একটু খাবরে গেছিলাম। এরপর তিনজন বাচ্চা একসঙ্গে এসে বলল ভাইয়া আমরা চটপটি খাব। আমাদের চটপটি খাওয়াবেন। আমি ভাবলাম ছোট বাচ্চা খেতে চাচ্ছে তিন প্লেট চটপটির আর কতই বা দাম হবে। এজন্য আমি তিন প্লেট চটপটির অর্ডার দেয়। আমি সত্যি সত্যি ওদের চটপটি খাওয়াব এটা শুনে ওরা অনেক খুশি হয়। তখন ওদের হাসিমাখা চেহারাটা দেখার মতো ছিল। চটপটি বানানোর সময় আমি ওদের সাথে কিছু কথা বলি।
আমি : তোমাদের নাম কী?
প্রথমজন: আমার নাম আলিফ, ওর নাম জিম এবং ছোটটার নাম আলিম।
আমি :তোমাদের বাসা কোথায়?
আলিফ: এখানেই।
আমি : তোমরা কোন ক্লাসে পড়।
আলিফ: আমি ক্লাস 2, জিম ক্লাস 2 এবং ও পড়ে না।
আমি : তোমাদের কিছু তুলব?
ওরা: একসঙ্গে হ্যা তোলেন। 📸📸 দেখি দেখি ছবি কি রকম হয়েছে।
আমি : দেখ।
এরপর আমাদের ফুসকা তৈরি হয়ে যায়। এবং আমি এবং লিখন ফুসকা খাই। এবং দোকানদার কে বলি ওদের চটপটি টা দ্রুত দেন। ফুসকা খাওয়ার সময় আমি এবং লিখন ওদের বিষয়ে কিছু কথা বলি। এরপর ওদের চটপটি তৈরি হয়ে যায়।
বাচ্চাগুলো চটপটি পেয়ে খুবই খুশি হয়। এবং ওরা খেতে শুরু করে এরকম সময় আমি ওদের আরও কিছু তুলি। যেগুলো আমি উপরে আপলোড করেছি। সত্যি বাচ্চাগুলো অনেক খুশি হয়েছে। ওদেরকে এভাবে চটপটি খেতে দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল। আমি ভাবলাম ওরা হয়ত কোনো পরিস্থিতির শিকার। এবং ভাবলাম আমার সামান্য কিছু টাকাই বাচ্চাগুলোর মুখের হাসি দেখতে পাওয়া একটা অনেক বড় বিষয়ে। আমাদের ছোট ছোট এইরকম অর্থে একজন অসহায় ব্যক্তির অনেক বড় উপকার হতে পারে। সেজন্য আমি সবার কাছেই অনুরোধ করছি আমাদের চারপাশের অসহায়দের নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা যেন ততটুকু সাহায্য করি। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
তেজে ভরা মন।
মানুষ হইতে হবে,
মানুষ যখন।
---- | ---- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
গতকাল আমিও যখন দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন আমার কাছে এমন কিছু মানুষ এসেছিল সাহায্যের জন্য। তারপর আমি তাদেরকে নিয়ে একসাথে খেয়েছিলাম। মানুষকে সহায়তার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার খুব কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
আপনার কথাটি শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই মহৎ কাজ করেছেন।এভাবেই দুঃখি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো উচিত।ভগবান আপনার মঙ্গল করুক।
মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
তোমার পোষ্টটা দেখে আমার বেশ ভালো লাগল। যারা একটু খাবারের জন্য ছুটে বেড়াই। তাদেরকে কিছুটা হলেও দিতে পেরেছো। তোমার জন্য শুভ কামনা এগিয়ে যাও।
ধন্যবাদ তোমার মতামতের জন্য।
🥰
জয় হোক মানবতার।পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।এসব বাচ্চাদের খাওয়ানোর মাঝেও একধরনের শান্তি আছে ভাই।
জী ভাই। যথার্থ বলেছেন 🙂🙂
আপনার কাজ আমার খুবই ভালো লেগেছে। এভাবেই আমাদের সকলের উচিত মানুষের পাশে দারানো। মানুষের সেবা করা। হয়তো আপনার কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আরো অনেকে এই কাজ করবে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো মহৎ কাজ করার জন্যে
ধন্যবাদ ভাই। আমাকে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি অন্যএকজন এই কাজকরে তাহলে তো খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা।