||| ভুত ||||

আচ্ছা ছোটবেলা ভুতে বিশ্বাস করতেন না এমন কেউ আছেন। আমার তো মনে হয় না আছে এমন কেউ। ছোটবেলা এসব নিয়ে ভাবতে যেমনটা ভালো লাগত ঠিক ততটাই ভয় লাগত। বিশেষ করে গ্রামের দিকে যারা থাকে তারা তো আবার এসব একটু বেশিই বিশ্বাস করে। আমার কথাই বলি। আমি কিন্তু ছোট থেকে অনেক ভীতু। বিশেষ করে আমি ভুত প্রচণ্ড ভয় পেতাম। এখনো পাই তবে ততটা না। কারণ সময়ের সঙ্গে মোটামুটি সবকিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের অনেকের সঙ্গে ভুত নিয়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আছে। যেগুলো কখনো ভুলে যাবার মতো না। তবে আমি বলব এটা সম্পূর্ণই মনর ভুল বা মনের ভয়। আপনার মনে যদি একবার ঢুকিয়ে দেওয়া যায় ভুতের ভয় তাহলে আর দেখা লাগবে না। চলুন আমার ছোটবেলার একটা ঘটনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।।

---

---

আমি তখন ক্লাস টু তে পড়ি। একেবারেই অল্প বয়স। সেজন্য কল্পনার জগত টা ছিল বিশাল। এবং সে জগতের এক অংশ জুড়ে ছিল এই ভুত। তো আমি এবং আমার এলাকার বেশ কয়েকজন একসঙ্গে পড়তাম। আমার বাড়ি থেকে আমার প্রাইমারি স্কুলের দূরত্ব ছিল বেশ অনেকটা। আমাদের এলাকার শেষের দিকে আমাদের এলাকার কবরস্থান। আমাদের এলাকার কবরস্থানটা একটু জংলা। রাতে এখনো আমি ওদিকে যেতে ভয় পাই। এবং তখন আমরা ছোটরা সবাই বিশ্বাস করতাম ওখানে ভুত আছে। সেজন্য সবাই একসঙ্গে স্কুলে যেতাম এবং একসঙ্গে আসতাম। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঐ জায়গা টা পাড় হতাম। তো একদিন হলো কী আমার সব বন্ধুরা আমাকে রেখে চলে গেছে স্কুলে। না আমি দেরি করি নাই। ওরাই আগে আগে চলে গেছিল। তো আমি কী করব। বাধ‍্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম একাই যাব। কাঁধে ব‍্যাগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনেই কবরস্থান সত্যি বলতে আমার বুক কাপছে। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম দেখি কেউ আসে নাকী তার সঙ্গে চলে যাব। কিন্তু কোথায় কী কেউ নেই। বাধ্য হয়ে একাই যাচ্ছি কবরস্থানের সামনের রাস্তা দিয়ে। হঠাৎ একটা জিনিস আমার চোখে পড়লো।।

---

---

Source

---

---

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। যতই ভাবছি কবরস্থানের দিকে তাকাবো না। কিন্তু আমার নজর ঐদিকে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখি কবরস্থানের দিক থেকে একজন সাদা শাড়ি পড়া খুবই ফর্সা বুড়ো লম্বা মহিলা হেঁটে আসছে। ক্রমেই আমার দিকে এগিয়ে আসছে। এবং আমার কাছে আসছে এবং দাঁত বের করে হাঁসছে। কী ভয়ংকর সেই মূহুর্ত। কিসের স্কুলে যাওয়া। ওটা দেখে আমি ভয়ে চিৎকার করে দিলাম বাড়ির দিকে দৌড়। হাঁফাতে হাঁফাতে আমি বাড়ি আসলাম। আমার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। আমি যে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছি আমি যে আতঙ্কিত এটা বাড়ির সবাই বুঝলো। সবাই জিজ্ঞেস করলো কী হয়েছে। আমি সব খুলে বললাম। এর কিছুক্ষণ পরেই দেখি ঐ মহিলা মানে যাকে আমি কবরস্থানে দেখেছিলাম সে আমার বাড়িতে আসছে। আমি আরও একবার চিৎকার দিয়ে উঠলাম। পরে ঐ মহিলা বলছে আমি সকালে হাঁটতে গেছি কবরস্থানের দিক থেকে আমার স্বামীর কবর দেখে আসছি তখন ওর সঙ্গে আমার দেখা। আমাকে দেখে ও চিৎকার করে দ‍ৌড় দিল। আমি ভাবলাম হয়তো ভয় পেয়েছে। যাই দেখা করে আসি। তখন আমার এবং বাড়ির সবার কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হলো। আসলে উনি সম্পর্কে ছিলেন আমাদের দাদী। কিন্তু এলাকায় থাকতেন না। ঢাকা থেকে অল্প কিছুদিন আগে এলাকায় এসেছে। আমিও চিনতাম না। তবে সেদিন ঐরকমভাবে প্রথমবার দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম। আসলে এটার কারণ ছিল মনের ভয়। আমি তখন ঐসবই ভাবছিলাম। সেজন্য উনাকে দেখা মাএই আমি অনেককিছু ভেবে নিয়েছিলাম হি হি।। ২০২০ সালে করোনার মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে উনি মৃত্যুবরণ করেছেন। যাইহোক আজ এই পর্যন্তই।।।

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---