শখের ফটোগ্রাফি।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। সময় গুলো কেমন করেই যেন চলে যাচ্ছি। প্রতিটা দিন খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। দেখতে দেখতেই যেন এই বছর টা শেষ হয়ে গেল। আর কদিন পরেই চলে আসবে নতুন বছর। পুরানো বছর সব কিছু ভুলে সবাই নতুন করে আবার সবকিছু শুরু করবে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিব। না আমি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নয়। তবে এই স্মার্টফোনের যুগে আমরা সবাই শখের ফটোগ্রাফার। আজ আমি সেরকম কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।।
ফটোগ্রাফি ১
লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- এটা আজ সকালের দৃশ্য। আজ ভোরের দিকে বৃষ্টির শব্দ পাচ্ছিলাম। একটু খেয়াল করে শুনতেই বুঝতে পারলাম হ্যা বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। শীতের সময়ে বৃষ্টি অবশ্য এখন নতুন কিছু না। আমি সকালে যখন কলেজে যায় প্রতিদিন সূর্য উঠে যায়। অথচ আজ ৯ টা বেজে যাওয়ার পরও পরিবেশের এই অবস্থা ছিল। আমার কাছে যদিও বেশ ভালোই লাগছিল। শীতের কুয়াশা এবং বর্ষার অনূভুতি যেন একসঙ্গে পাচ্ছিলাম।
ফটোগ্রাফি ২
লোকেশন: কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- এটা খুব সাধারণ একটা ছবি মনে হতেই পারে। কিন্তু ছবিটার পেছনে একটা গভীর অর্থ আছে। পরিবেশগত তাপমাত্রা পরিবর্তন প্রতিটা প্রাণীর উপর প্রভাব ফেলে। সকালে কলেজে গিয়ে গিয়ে ক্লাসের মধ্যে কুকুর টা শুয়ে কাঁপছে। আসল শীতের কারণে কুকুর টা ঐভাবে শুয়ে ছিল। তো আমরাও আর কুকুর টাকে ক্লাস থেকে তাড়িয়ে দেয় নাই। ঐভাবেই ক্লাস করেছি এবং কুকুর টা শুয়ে ছিল।
ফটোগ্রাফি ৩
লোকেশন: কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- এটা একটা গাধা ফুল। গাধা ফুল বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। এটা হালকা হলুদ রঙের গাধা ফুল। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে অসংখ্য ফুলের গাছ রয়েছে। এবং ফুল গাছ গুলোর জন্য ক্যাম্পাস টা আরও সুন্দর লাগে। সেদিন দেখে খুব ভালো লাগছিল। সেজন্য এই ফুলটার ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি ৪
লোকেশন: কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- আমাদের দেশে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ও একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয় শহীদদের স্মরণে। বাংলাদেশের প্রতিটা কলেজে প্রায় একটা করে শহীদ মিনার আছে। আমাদের কলেজে সেরকম কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। এই শহীদ মিনার টা কিছুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে ক্যাম্পাসে হাঁটছিলাম সেই সময়ে এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি ৫
লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- এটা থেকে কী আপনাদের জিভে পানি চলে আসছে। খাওয়ার সময় কিন্তু আমার জিভে ঠিক পানি চলে এসেছিল। গত সোমবার আমি এবং আমার বন্ধুরা ট্রেন থেকে নেমে কুমারখালী স্টেশনে কিছুক্ষণ বসেছিলাম। সেই সময়ে ইকরা বলল চলো সবাই মিলে পেয়ারা মাখানো খাই। আমরা বললাম ঠিক আছে। এরপর ইকরা সরিষা, ঝাল, ধনিয়া পাতা দিয়ে খুব সুন্দর করে পেয়ারা মেখে নিয়ে আসে। এটা সেই পেয়ারা ফটোগ্রাফি। অনেক সুস্বাদু হয়েছিল পেয়ারা মাখা টা।
ফটোগ্রাফি ৬
লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- এটা কী চিনতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা না। এটা হলো সরিষা ফুল। শীতের সময় গ্রামের মাঠগুলোতে গেলে এই ফুল দেখা যায়। যদিও এটা খুব বেশিদিন থাকে না। পরশুদিন বিকেলে মাঠে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে কাছ থেকে এই সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি ৭
লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
- বিকেলের শেষ প্রায়। সূর্য হেলে পড়েছিল পশ্চিম আকাশে। সূর্য এবং সরিষা ফুলের এক অসাধারণ মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়ে। সেজন্য আমি সূর্য এবং সরিষা ফুল এক ফ্রেমে নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | ডিসেম্বর ,২০২২ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ফটোগ্রাফি দেখতে সব সময় খুব ভালো লাগে। আপনার শখের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আপনার তোলা শীতের সকালের প্রথম ফটোগ্রাফি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বছর কখন যে শুরু হয়ে গেল আবার কখন যে শেষ হয়ে গেল সেটা টেরও পেলাম না।ঠিক বলছেন কয়েক দিন পর আমাদের আবার নতুন বছর শুরু হয়ে যাবে।কিন্তু ফটোগ্রাফি গুলো ভাইয়া অনেক সুন্দর ছিল।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আপনি অনেক দক্ষতার সাথে করেছেন।শহীদ মিনারের ফটোগ্রাফি আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন কিভাবে সময় চলে যায় আসলে টেরই পাওয়া যায় না। মনে হল যেন এই তো সেদিন এই বছরটি এসেছিল সেটিও দেখতে দেখতে বিদায় হয়ে এলো ।সময় আসলে কারো জন্য বসে থাকে না ।তবে আপনার একটা কথা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আমরা সবাই শখের ফটোগ্রাফার। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে। সকালের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ।আসলে এই শীতের সকালে বৃষ্টি অন্যরকম লাগে। এছাড়া আপনার সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ।সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফিও দারুন ছিল ।আর পেয়ারা মাখার ফটোগ্রাফি দেখে যে কাররই জিভে জল চলে আসবে। যাই হোক সব কিছু ভাল ছিল। ধন্যবাদ।
সময়ের সাথে এখন তাল মিলিয়ে পাওয়া যায় না। কখন যে এত সময় চলে গেল তা টের পেলাম না। নতুন করে বছর শুরু হচ্ছে। যাই হোক কুকুরের ফটোগ্রাফিটি অনেকবার ঝুম করে দেখেছি পরে ভাবলাম বিড়াল কিন্তু পড়ে দেখি কুকুর। যাইহোক কুকুরটিকে বের করে দেননি, ভালো লাগলো বিষয়টি।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। শীতকালের সৌন্দর্য সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদেরকে দেখিয়ে মুগ্ধ করে দিলেন। এছাড়াও আপনার শেয়ার করার শহীদ মিনারের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে দারুন লেগেছে।
দেখতে দেখতে একটি বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। এইতো কদিন আগে এ বছরটা শুরু করেছিলাম। আর কদিন পর আবার নতুন বছর শুরু করতে হবে নতুন ভাবে। কথায় আছে সময় নদীর স্রোতের মতো চলে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। পেয়ারা মাখানো দেখে জিভে পানি চলে এসেছে। আর সূর্যাস্তের ছবিটা সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেখতে দেখতে যেন দ্রুত এই বছরটি চলে গেল। পুরনো বছরের সবকিছু ভুলে নতুন করে নতুন বছরে শুরু করার পালা। আপনার শখের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। পেয়ারা মাখার ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে এলো। এছাড়াও সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে করেছেন।
ভাইয়া খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। বৃষ্টি পড়ার শব্দে ঘুম থেকে ওঠে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি এছাড়া শেষ বিকেলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার শখের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অসাধারণ হয়েছে। বেশ প্রশংসা করতে আপনার ফটোগ্রাফির, খুব দক্ষতার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। শহীদ মিনার, গাঁদা ফুল এবং সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। পুরো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের মতো ফটোগ্রাফি করেছেন।