!! একটু প্রশান্তির খোঁজে বিকেলে ঘোরাঘুরি!!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

মার্চের শুরু থেকেই মোটামুটি বাংলাদেশে গরম পড়া শুরু হয়ে যায়। তবে গরম এর আসল অনূভুতি পাওয়া যায় যেন এপ্রিলের প্রথম থেকে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে গরমটা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। এবারও তার ব‍্যতিক্রম হয়নি। এবং এবার রমজান মাস হওয়াই গরমটা যেন আরও বেশি লাগছে। মানুষ যদি খালি পেটে থাকে তাহলে তার গরম বেশি লাগে এটা আপনার মেনে নিতেই হবে। গতকাল ছিল পহেলা বৈশাখ। আচ্ছা থাকলেও ঘুরতে যাওয়ার উপায় ছিল না। কারণ রমজান মাস চলছে অনেক কিছুই মেনে চলতে চেষ্টা করছি। তবে কাল যে গরম ছিল বিকেলে বের হওয়াটা ছিল সময়ের দাবি। কাল দুপুরের পর থেকে মেঘলা একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। আকাশে রোদ নেই কিন্তু গরম আছে।।

---

---

---

---

তাই ভাবলাম এই পরিবেশে একটু ঘুরে আসলে খারাপ হয় না। আমার বন্ধু লিখনকে ফোন দিলাম রাজি হয়ে গেল। যেহেতু রমজান মাস ইফতারের আগে বাড়ি ফিরে আসতে হবে তাই তাড়াতাড়ি বের হলাম। লিখনকে বললাম আমার বাড়ির কাছের একটা মোড় থেকে আমাকে রিসিভ করতে। আমি বাড়ি থেকে ঐ চারটার দিকে বের হয়। লিখন যথাসময়ে চলে আসে। প্রথমে হাইওয়ে দিয়ে শুরু করলাম যাএা। গতকাল হাইওয়েতে যানবাহন কম ছিল সেজন্য খুব একটা ঝুঁকি ছিল না। প্রায় অনেকটা পথ হাইওয়ে দিয়ে গেলাম। আমাদের যাওয়ার কোনো গন্তব্য নেই। দেখলাম হাইওয়ে পাশ দিয়ে গ্রামের মধ্যে চলে গিয়েছে রাস্তা। চলে গেলাম ঐ রাস্তায়। যতই ভেতরে যাচ্ছি ততই যেন গ্রামের দিকে এগোচ্ছি মানে শহর থেকে গ্রামর দিকে যাচ্ছি। চারিপাশে খেয়াল করলে সেটা বেশ ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে।।

---

---

---

---

সত্যি আমাদের এই দুনিয়াটা কত অদ্ভূত। কিছুটা সময়ের ব‍্যবধান, ব‍্যবধান কিছুটা পথের এতে করেই মানুষের জীবনধারার পরিবর্তন। অচেনা একটা গ্রামের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা দুজন দারুণ উপভোগ করছি। গ্রামের মধ্যে দিয়ে কিছুটা গিয়ে একটা জায়গাই থেমে গেলাম। এখানে থামার অবশ‍্য কারণ আছে। জায়গাটা আমাদের ভালো লেগেছে। রাস্তার দুপাশে ধান ক্ষেত আশেপাশে কোনো বাড়িঘর নেই একেবারে শুনশান রাস্তা। সুন্দর বাতাস বইছে এজন্য আমি এবং লিখন সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। মূহুর্ত্তের মধ্যে যেন দুজনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। এরপর আবার যাএা শুরু করলাম। দুজনেই রোজা রেখেছি এজন্য সেরকম কোথাও দাড়াচ্ছি না। অল্প সময়ে ঘোরাঘুরি করা যায়।

---

---

---

---

এরপর বাড়ির দিকে ফেরার পালা। কারণ ইফতারের আর বেশি সময় বাকি নেই। আসার সময় আমি লিখন প্ল‍্যান করলাম ঈদের দিনে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব ঈদটা কীভাবে উৎযাপন করব এইসব। আমার আর দুইটা পরীক্ষা আছে ১৯ তারিখ এবং ২১ তারিখ। লিখনকে বললাম পরীক্ষা শেষ হলে একটা ইফতার পার্টি দেব আমরা। ও বলল ঠিক আছে। এরপর ক্রমেই চলে এলাম বাড়ির দিকে। সবমিলিয়ে দারুণ কাটে বিকেলটা। সারাদিনের প্রশান্তি চলে আসে দূর হয়ে যায় ক্লান্তি। এভাবে ঘোরাঘুরি করতে কে না চাই বলুন। আমি ভ্রমণ অনেক পছন্দ করি। আজ এই পযর্ন্তই সবাই ভালো থাকবেন।।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---