মহানগর ( তৃতীয় ও চতুর্থ পর্বের ) রিভিউ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
সিরিজের নাম | মহানগর |
পরিচালক | আসফাক নিপুন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ০৮ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার, জাকিয়া বারী মোমো, নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে।। |
শাপে বর
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ওসি হারুন আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ওসি হারুন বলছে স্যার আপনি যখন বলেছেন ২০ লাখ যথেষ্ট। যাইহোক এরপর মোটামুটি কথা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তখন দেখা যায় থানার নিচে অসংখ্য সাংবাদিক চলে এসেছে। সাংবাদিকরা একবার ঘটনা ছড়িয়ে দিলে আর কিছু করা যাবে না। এজন্য ওসি হারুন বেশ রেগে যায়। এবং মলয় কে বলে কে খবর দিয়েছে সাংবাদিক কে। কিন্তু কেউ বলতে পারে না। পরে দেখা যায় ওসি হারুন বলছে কোনো সাংবাদিক যেন থানার ভেতরে আসতে না পারে। এরই মধ্যে দেখা যায় থানার সবচেয়ে বড় অফিসার চলে আসে। উনি একজন মেয়ে এবং উনি খুবই কঠোর। এসেই বলে হারুন সাহেব একবার আমার রুমে আসেন। হারুন সাহেব ঐ পুলিশের রুমে যায়। তখন ওই পুলিশ হারুন এর থেকে ঘটনার সব বিবরণ নেয়। হারুন একেবারে সরাসরি বলে দেয় এটা অ্যাক্সিডেন্ট। কিন্তু ঐ পুলিশ ধরে ফেলে এটা হারুন সাহেব বানিয়ে বলছে।
এরপর দেখা যায় মলয় একটা কেস এর ফাইল আনতে যায়। তখন আবির বলে মলয় দা আমি তো কিছু করি নাই আমার নামে কোনো কেসও নেই আমি এখানে কেন। আমাকে ছেড়ে দেন। বার বার এক কথা বলায় মলয়ের রাগ হয়ে যায় এবং চলে যায়। এরপর আফনান চৌধুরী ঐ মহিলা অফিসার এর রুমে যায়। তখন ঐ অফিসার বলে আপনি কী নেশাগ্রস্ত ছিলেন। আফনান চৌধুরী বলে না।তখন ঐ অফিসার বলে আপনার অ্যালকোহল টেস্ট করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই। একজন এসেছিল তাকেও ভয় দেখিয়ে দূর করে দিয়েছে হারুন। এটা শুনে ঐ অফিসার রেগে যায়। এরপর আবার যে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তার লাশ বা দেহ কোথায় পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আফনান চৌধুরী আমজাদ কে গিয়ে বলে আমার গাড়ির চাবি দেন আমি চলে যাব। তখন ওসি হারুন বলে আপনি কী পাগল হয়ে গেছেন। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে এসেছি এখন চলে গেলে আর কিছু সামলানো যাবে না। এইভাবে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। একপর্যায়ে ওসি হারুনকে থাপ্পড় দেয় আফনান চৌধুরী। এবং ওসি হারুন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এখানেই শেষ হয় এই পর্বটা।।
গলার কাঁটা
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ভ্যানে করে একটা লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা শহরের কোনো গলিতে। এই লাশটা হলো যে ব্যক্তি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তার। এরপর একজন ব্যক্তি লাশটা রেখে চলে যায় বলে পরে এসে নিয়ে যাবে। এরপর দেখা যায় আমজাদ সাহেব আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলছে ঐ থাপ্পড় মারার বিষয়টি নিয়ে। একপর্যায়ে গিয়ে আমজাদ সাহবে ওসি হারুনকে বলে আমার স্যার আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্যাপার টার জন্য। হারুন বলে ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না। কিন্তু থাপ্পড় এর বিষয়টি ভুলতে ২০ লাখ টাকা লাগবে। হারুন বলে টাকাটা আমার জন্য না আফনান যখন আমাকে থাপ্পড় মারছিল তখন দুজন কনস্টেবল দেখছিল। ওদের দেব ওরা খুশি হবে। এরপর দেখা যায় আবিরের গার্লফ্রেন্ড আবিরকে ফোন করছে। কিন্তু আবির যে থানায় সেটা সে জানায় না।। এরপর মলয় কন্ট্রোল রুমে গিয়ে বলে রহমত গঞ্জের অ্যাক্সিডেন্ট লোকেশনের সিসিটিভি ফুটেজ বের করতে। কিন্তু ঐ সিসিটিভি ফুটেছ তো হারুন আগেই সরিয়ে ফেলেছে।।
তখন ঐ অফিসার হারুনকে গিয়ে বলে ফুটেজ কোথায়। কিন্তু হারুন বলে সেটা আমি কী করে জানব হয়তো কন্ট্রোল রুমে আছে।। এরপর দেখা যায় ঐ অফিসার আমজাদ সাহেবকে বলে চলে যেতে এবং উনি বাধ্য হয়ে চলে যায়। এরপর হারুন রাতের খাবার খাচ্ছে সামনে বসে রয়েছে আফনান। তখন হারুন জিজ্ঞেস করে আপনি তো পার্টিতে ছিলেন ওখানে কী হয় বলুন তো। এরপর পার্টিতে যা হয় সেটা আফনান চৌধুরী হারুনকে বলতে থাকে। আফনান পার্টিতে জুয়া খেলে হেরে গেছিল সেটাও বলে। এরপর দেখা যায় থানার বাইরে এসে মলয় সিগারেট খাচ্ছে এবং হারুন তার কাছে বলছে লাইটার দাও। তখন হারুন বলে তোমার বউয়ের বাচ্চা হবে যেতে হবে না। মলয় বলে ছুটির দরখাস্ত আপনার টেবিলে আছে। তখন হারুন বলে ঠিক আছে আমি কাল অনুমোদন দিয়ে দেব। এরপর হারুন বলে মলয় আমি কিন্তু বই পড়ে পড়ে অফিসার হয় নাই ফিল্ডে কাজ করে অফিসার হয়েছি।। তখন হারুন বলে মলয় এসি স্যার আসছে কিছুক্ষণ পর চলে যাবে থানা কিন্তু তোমাকে আর আমাকে সামলাতে হবে। এবং হারুন মলয়কে বলে ভক্তি ভালো জিনিস কিন্তু অতিভক্তি চোরের লক্ষণ। এরপর দেখা যায় সাংবাদিকের কাছে এক মহিলা এসে বলছে আমার স্বামীকে খুজে পাচ্ছি না। আমি শুনেছি উনি অ্যাক্সিডেন্ট করছে। তখন সাংবাদিক উনার সাক্ষাৎকার নেবে ঠিক ঐসময়ে একজন নায়িকা চলে আসে যে আফনানের গার্লফ্রেন্ড । এরপর ঐ নায়িকা সরাসরি অফিসারের রুমে চলে যায়। এখানেই এই এপিসোডটা শেষ হয়ে যায়।।।
ব্যক্তিগত মতামত
মহানগর ওয়েব সিরিজের প্রথম দুইটা এপিসোড আমি গত সপ্তাহে রিভিউ করেছিলাম। আসলে সিরিজগুলো খুবই থ্রীলার টাইপের সেজন্য এপিসোড ভাগ করে রিভিউ দিলে প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যায়। এই দুই এপিসোডে আফনান চৌধুরীর অ্যাক্সিডেন্ট টা আরও জট পাকিয়ে যায়। কারণ থানায় চলে আসে এসি স্যার। তখন ওসি হারুন চিন্তায় পড়ে যায় কীভাবে আফনান চৌধুরী কে বাঁচাবেন কারণ তিনি ইতিমধ্যে বিশ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়েছে। তারপর ঘটনাচক্রে আফনান আবার ওসি হারুনকে থাপ্পড় মেরে দেয় এর জন্য ওসি হারুন আরও বিশ লক্ষ টাকা চাই। এরপর শেষের দিকে দেখা যায় আফনান এর হিরোইন গার্লফ্রেন্ড থানায় হাজির। এখানেই শেষ হয়ে যায় এই দুই এপিসোড। পরের সপ্তাহে পরবর্তী দুই এপিসোডের রিভিউ নিয়ে আসব।।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০
ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
এইটা কি আপনার কাছে আছে ভাই?থাকলে একটু দিয়েন তো আমারে।অনেকদিন থেকে দেখব দেখব করতেছি কিন্তু কোথাও পাচ্ছিলাম না।এই জন্যে এখনো দেখাও হয় নি।আর এজন্য আপনার রিভিউটা স্কিপ করে গেলাম,কিছু মনে করবেন না।🙏
না ভাই সমস্যা নাই বুঝতে পারছি। আমি হইচই থেকে দেখেছি। বাইরে কোথাও পেলে আপনারে দিব।।