পরিবর্তন।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পরিবর্তন নাকী সংসারের নিয়ম। এই পৃথিবীর সবকিছুই নাকী পরিবর্তন হয় স্থান কাল ক্ষেএবিশেষে। কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষের অনিচ্ছা সত্বেও হয়ে যায়। কারণ তার জন্য সেটাই উওম। আবার কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষ নিজের ইচ্ছায় করে থাকে। আপনার আমার পরিবর্তনে আশপাশের মানুষ গুলো অনেক কথা বলতে পারে। আপনি যদি ভালো থেকে খারাপ হন তাও বলবে আবার যদি খারাপ থেকে ভালো হন তাও বলবে। আসল কথা আপনার যেকোনো পরিবর্তন অন্যের চোখে জ্বালা ধরাবে। আবার কিছু মানুষ আছে যারা আমাদের প্রকৃত শুভাকাঙ্খি তারা আমাদের যেকোনো ভালো পরিবর্তনে এপ্রিশিয়েট করবে। তবে মানুষের পরিবর্তন মানুষের উপর যতটা না প্রভাব বিস্তার করে তার থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে পরিবেশের পরিবর্তন।
এই কথাটা বলার কারণ বিগত কিছুদিনের আবওহাওয়া। আপনাদের অঞ্চলের কী অবস্থা সেটা বলতে পারব না। তবে আমাদের অঞ্চলে শীত কিন্তু প্রায় আগত। শেষ রাতে তো বেশ ঠান্ডা লাগে আবার ভোরে চারিদিকে কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেই সঙ্গে শরীর ত্বকেরও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা গোসলের সময় পানি টা বেশ ঠান্ডা লাগছে। অর্থাৎ ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে বদলে যাবে অনেক কিছু যেগুলোর সঙ্গে আমরা ছোট থেকে অভ্যস্ত। শীত আমার বেশ ভালোই লাগে। তবে আমাকে যদি বলেন তাহলে আমি দুপুরের গোসল এবং সকালে ঘুম থেকে উঠা এই দুইটা স্কিপ করব। কারণ শীতের সময়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর এটাই। সেই শীত এসে গেছে। যদিও শহর অঞ্চলে নাকী এখনো বেশ গরম আছে। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলের ব্যাপার টা আলাদা। আমাদের এডমিন শুভ ভাই নিজের বিগত একটা পোস্টে এইরকম কিছু নিয়ে আলোচনা করেছিল। যাইহোক এটা তো গেল ঋতু পরিবর্তন যেটা মানুষের উপর সামান্য প্রভাব বিস্তার করে। যেটার সঙ্গে আমরা বেশ ভালোভাবে পরিচিত।
কিন্তু বর্তমানে যেটা পুরো বিশ্বের মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। কোনো স্থান বা এলাকার ৩০ বছরের গড় আবওহাওয়াকেই জলবায়ু বলে। কিন্তু এই জলবায়ু যখন পরিবর্তন হয় তখন সেটা বেশ বিরুপ প্রভাব বিস্তার করে মানুষ এবং প্রাণীকূলের উপর। যে প্রভাব এর ফলাফল ঋতু পরিবর্তন এর থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। একটি দেশ বা অঞ্চলের জলবায়ু যখন পরিবর্তন হয় তখন সেই দেশের মানচিএ পযর্ন্ত বদলে যেতে পারে। দিনে দিনে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট এর কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এছাড়া ফসিল ফুয়েল এর মাএাঅতিরিক্ত ব্যবহার তো আছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ক্ষতিকর। হয়তো এর ফলে অন্যান্য দেশ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিন্তু বাংলাদেশের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য সেটা আরও বিরুপ হতে পারে।
আপনারা অনেকেই এমনটা শুনেছেন যে ২০৫০ সালের দিকে বাংলাদেশর অর্ধেক বা একটা অঞ্চল পানির নিচে চলে যাবে। হ্যা এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পেছনে রয়েছে এই জলবায়ু পরিবর্তন এবং এই অব্যবস্থাপনা। এইরকমটা হলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানী হবে এবং যারা বেঁচে থাকবে তারাও মানবেতর জীবন যাপন করবে। না হবেই আমি এমনটা বলছি না। তবে এর সম্ভাবনা আছে। এইরকম অনাকাঙ্খিত দূর্যোগের প্রধান কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। উদাহরণ হিসেবে আপনারা এবার বর্ষাকালের উদাহরণ নিতে পারেন। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি ছিল না বললেই চলে। মাঠ ঘাঠ একেবারে খা খা করছিল। এটার পেছনেও রয়েছে ঐ জলবায়ু পরিবর্তন। এখন কথা এমনটা হলে আপনার আমার কী করার আছে। না আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এক্ষেত্রে প্রকৃতির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দিতে হবে। আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য প্রকৃতিকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করছি। এখন প্রকৃতি তার স্বরুপে ফিরলেই আমরা অসহায়। যেটার প্রমাণ ছিল কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিএাং। মানুষের কর্মের ফল মানুষকেই বহন করতে হবে সেটা যেভাবেই হোক না কেন।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
কোন পরিবর্তন মানুষ মেনে নিতে পারে না।খারাপ থেকে ভালো হলেও সমালচনা করে আর ভালো থেকে খারাপ হলে তো কথাই নেই। কিন্তু পরিবর্তন টর পিছনে কি তা কেউ খুঁজে না।যাই হোক ঢাকাতেও ভোরের দিকে একটু একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে।যদিও কুয়াশা পরে না।জলবায়ুর পরিবর্তন তো প্রতিদিনই ঘটছে।কি জানি ২০৫০সালে কি হবে,আগে এতদিন অব্দি বাঁচি 😆😆।তারপর না পানির নিচেই বসবাস করা হবে।হা হা।ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ
একদম বাস্তব কথা বলেছেন আমাদের কর্ম দোষেই বিপদ গুলো আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিশেষ করে জলবায়ুর উপরে চাপ না কমাতে পারলে, দিন দিন আরো বড় বড় বিপদ আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ থেকে যাবে।ধন্যবাদ বাস্তবমুখী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া সব কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে এখনকার আবহাওয়া আর মাসের সাথে কোন মিল নেই। আগে মাস দেখেই মানুষ বুঝতে পারত এই মাসে এই অবস্থা তৈরি হবে। এখন বর্ষাকালে বৃষ্টি নেই, শীতের মাসগুলোতে শীত পড়ছে না এই হয়েছে অবস্থা। শুভ ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যমে আমিও জানতে পেরেছি শহর অঞ্চলে বেশ গরম এখনো। এমনকি এই মুহূর্তেও আমার রুমে ফ্যান চলছে। তবে আগে দেখতাম অক্টোবরের প্রথম থেকেই বেশ ঠান্ডা থাকতো।
আবহাওয়ার পরিবর্তন তাই চারিদিকে এখন একটু ঠান্ডা পড়ছে। গ্রামের শহরের সবদিকে ভোরবেলা এখন ঠান্ডা পড়ে। এবং কি কুয়াসাও ঝরে। যাইহোক এখন কেউ কারো পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না ভাইয়া হোক সে ভালো হচ্ছে বা খারাপ থেকে ভালো হচ্ছে। কিন্তু তার পিছনের কারণ কেউ কখনো জানতেও চেষ্টা করে না।
পোস্টটি পরে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে আপনি বাস্তব কথা বলেছেন। ভালো আর খারাপ যা আসে আমাদের কর্মফল। আমাদের পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে হবে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা যদি পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে না চলতে পারি তাহলে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হবে ।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পরিবর্তন নিয়ে খুবই ভালো লিখেছেন ভাই। আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবর্তন হলে আমাদের সকলেরই চোখে পড়ে এবং সেটা ভাল হোক বা খারাপ হোক এবং সেটা যদি হয় প্রকৃতির পরিবর্তন সেটাও আমরা বুঝতে পারি এবং সেই জিনিসগুলি আপনি খুব চমৎকারভাবে আপনার পোষ্টের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের যে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যাগুলো আসলে আমরা এর জন্য দায়ী তাই এখনো সময় আছে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবাই যদি সবার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি তাহলে হয়তো এই মহান দুর্যোগ থেকে আমরা পরিতান পেতে পারি। ভাই এভাবে আরো লিখবেন ভালই লেগেছে আপনার লেখাগুলা যতই পড়ছি ততই আরো পড়ার ইচ্ছা জাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া আমাদের সমাজ পরিবর্তন মেনে নিতে চাইনা।এখান কার আবহাওয়া ও মাসের সাথে পরিবর্তনের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বর্তমানে।আগে অক্টোবর মাসেই শীত পড়ত আর এখন এই মাসে শীত কোথায়?আপনি সত্যিই বলেছেন শীতের সময় সব চেয়ে বড় বিষয় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠা আর দুপুরে গোসল করা।এটা সত্যি বলেছেন ভাইয়া মানুষের কর্মের ফল মানুষকেই বহন করতে হবে।
ভাল, খারাপ যেটাই হোক মানুষের মানতে কষ্ট হয়। এখন শীত পড়ার কথা অথচ ঢাকায় এখনও গরম। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে বাঁচা মুস্কিল।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।