🔒🔒লকডাউন ডায়েরি 📓📒।(০১ -০৫-২০২০ থেকে ৩১-০৮-২০২০ পর্যন্ত )। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার আরেকটি লকডাউন ডায়েরি তে আপনাদের স্বাগতম। মে মাস শুরু হয়েছে। বেশ গরম পড়তে শুরু করেছিল বাংলাদেশে। যাইহোক অন্যদিকে চলছিল রমজান মাস। ততদিনে সরকার লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দিবে এমনটা ভাবছে। করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। চারিদিকে থমথমে একটি অবস্থা। কিন্তু আর বাড়িতে এভাবে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ৪ অথবা ৫ মে সিদ্ধান্ত নেই বাইরে বের হবো। সেই অনুসারে মাস্ক পড়ে বেরও হয়। অনেকদিন পর এলাকার বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। আমাদের এলাকার একটি বাগানে বসে সবাই গল্প করতাম। বেশ ভালো সময় কাটত আমাদের। এবং ঐ বাগানের দিকে সেরকম কেউ যেত না। এইরকম করে আরও কিছুদিন কেটে গেল। এরপর বাংলাদেশের উপর আসলো নতুন এক বিপদ। নাম তার আমফান। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল এই আমফান। সেদিন সারারাত ধরে চলেছিল এই আমফানের তান্ডব। আমাদের এলাকায় অনেক ক্ষতি হয়। এবং তার ভেতরে প্রায় তিনদিন আমরা বিদ্যুৎ পাইনি। সে আগেকার মতো হ্যারিকেন চার্জার এবং মোমবাতির ব্যবহার করছিল সবাই। এবং উল্লেখ্য ৫ টাকার একটি মোমবাতি ১০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছিল না। যাইহোক মোটামুটি আমফান তান্ডব টা কাটিয়ে উঠা গেল। এরপর চলে এলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ইদুল ফিতর। কিন্তু প্রথমত করোনা তারপর আবার আমফান কারো মধ্যেই উৎসবের কোনো আমেজ ছিল না। যাইহোক কোনোমতো ঈদটা কেটে যায়।
ঈদে আমি নিজেও বাড়ি থেকে বের হয় নাই। শুধুমাত্র এলাকার বন্ধুদের সাথে বসে বাগানে গল্প করা। এবং অতীব প্রয়োজনে বাজারে যাওয়া। এবং উল্লেখ্য এই ঈদে আমি সেরকম কোনো পোষাকই কিনি নাই। আসলে করোনার লকডাউনে মানুষের কাজ নেই সবাই অভাবগ্রস্ত। এইসময়ে ঈদের জন্য পোষাক ক্রয়টা বিলাসীতা ছিল। যাইহোক ঈদের কদিন চলে গেল। লকডাউন আবার কঠোর করা হলো। এবার অবশ্য শুধু বাড়িতে সীমাবদ্ধ থাকিনি। একদিন আমি শিমুল এবং মেহেদী চলে গেলাম আমার বন্ধু তোহার বাড়িতে। তোহাদের আবার অনেক বড় জামরুল গাছ ছিল। এবং জামরুল আমার খুবই পছন্দের। ঐদিন ওদের বাড়িতে গিয়ে অনেক জামরুল পেড়েছিলাম।
এভাবে আরও কিছুদিন অতিবাহিত করলাম। এবার সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করব। লেখাপড়া বন্ধ। বাড়ি থেকে হাত খরচের জন্য কোনো টাকা দিচ্ছে না। তাই আমরা চার বন্ধু মিলে একটি কাজের চেষ্টা করি। এটা ফাইবারের একটি কাজ। আমার বন্ধু মেহেদীর বেশ ভালো অভিজ্ঞতা ছিল কাজটা সম্পর্কে। তখনো কিন্তু আমি স্টিম প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়নি। যাইহোক বেশ কিছুদিন কাজ করলাম। বেশ কিছু অর্ডারও পেলাম। এরই মধ্যে আমাদের একটি সমস্যার জেড় ধরে কাজটি বাদ হয়ে যায়। আবার সেই বেকারত্ব। দিনগুলো খুবই অলসতায় কাটছিল।
এরপর চলে এলো মুসলমানদের আরেকটি প্রধান উৎসব ঈদুল আযহা। ততদিনে অবশ্য করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এবং সরকার লকডাউন শিথিল করেছে। অনেকদিন কোনো পিকনিক করা হয় না। তাই আমি উদ্যোগ নিলাম এবং ঈদের আগেরদিন পিকনিক করলাম। পিকনিকের মেন্যু ছিল চিকেন বিরিয়ানি রাঁধুনি আমরাই। এবং সবচেয়ে মজার ঘটনা ঐদিন আমার চাচাতো ভাই রোহান রান্নার কাছে আমাদের বেশ সাহায্য করে। ঈদুল আযহা টা মোটামুটি ভালোই কাটায়। এর ঠিক ৪ দিন পর ৫ আগষ্ট আমার সাথে ঘটে যায় এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। সেদিনই প্রথম আমার সুমন ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। এবং উনি আমাকে স্টিম প্লাটফর্মে যুক্ত করেন। মোটামুটিভাবে সবকিছুই শুরু হয়। বেশ ভালোই এগিয়ে চলেছিলাম স্টিম নিয়ে। যদিও তখন স্টিম নিয়ে আমার ধারণা অনেক কম। যাইহোক এভাবেই আগষ্ট মাসও অতিবাহিত হয়ে যায়। করোনার মধ্যে লকডাউনে দীর্ঘ ৫ মাস কাটিয়ে দেয়।...........
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
টুইটার
জি ভাইয়া এখনো মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা করোনাভাইরাস মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায় এবং সারাদেশে লকডাউন পড়ে যায়। সবাই খুবই ঠাণ্ডা হয়ে যায় ভয়ে সবাই আতঙ্কিত হয়ে যায়। 😭😭😭মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই রোগ থেকে হেফাজত করুক।
সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আপু।।
আসলেই ২০২১ সালটা ছিল সবার জন্যই বেদনা দায়ক আর কষ্টের।সব দিক দিয়েজ বাধা।বেশ গুছিয়ে লিখেছো।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
🙂🙂🙂। ধন্যবাদ
হমম ভাই সত্যি লকডাউনের সময় আমার সময়টা অনেক খারাপ কেটেছে যা আমি কল্পনা করতে পারি নাই।শুরুতে একটু ভালো লাগলে ও পরে অনেক খারাপ লাগছিল।প্রথম প্রথম স্কুল কলেজ বন্ধ আহা কি মজা। পরে এর জন্য অনেক খারাপ লাগছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য
একেবারে মনের কথাটা বলেছেন ভাই💖💖
লকডাউন এরমধ্যে আপনার কিছু অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি আমাদের মাঝে দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি ভাইয়া। লকডাউনের কারো জন্য সুখকর হলেও বেশিরভাগ মানুষের জন্য অনেকটাই কষ্ট দায়ক ছিল। আর সাধারণ মানুষদের দুঃখ সুখের এই জীবন কাহিনী গুলোই আপনি আপনার পোস্টে আজকে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর এবং কষ্টদায়ক মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টা পড়ে কাঙ্ক্ষিত একটি মন্তব্য করার জন্য।।
ভাই সেই অভিশপ্ত অতীতে আর যেতে চাইনা। আপনার পোস্ট দেখে সেই ভয়াবহ দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। খুব খারাপ ছিলো সেই কভিড এর দিনগুলো। আপনার পোস্টে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথাগুলো লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।।
❤️❤️❤️❤️
বাহ,আপনার লকডাউনের ডায়েরিটা খুবই সুন্দর ছিল।পড়ে ভালো লাগলো।আপনাদের পিকনিক আশা করি খুবই মজার ছিল।আবার পৃথিবী আগের মতো শান্ত হোক এই কামনা করি,ধন্যবাদ ভাইয়া।