!! গরমে গোলা রিভিউ!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

আচ্ছা আপনার কাছে গরম ভালো লাগে না শীত? আমার কাছে কিন্তু মোটামুটি শীত ভালো লাগে। তবে কিছু খাবারের জন্য আমি গরম কাল অনেক মিস করি। এরমধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, গোলা, সফট ডিংঙ্কস। আপনারা গোলা নিশ্চয়ই চিনেন। আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস। গরমে এর কোনো তুলনা হয় না। আমি একটা মফস্বল শহরে থাকি। এখানে গোলার কোনো দোকান নেই। গতবছর শীতের কয়েকদিন আগের কথা। হঠাৎ দেখি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টের একজন গোলার ছবি দিয়েছে। আমি বললাম ভাই এটা কোথায় বিক্রি করে। উনি বললেন কুষ্টিয়া থানা মোড়ে। পরেরদিন কলেজে গিয়ে ক্লাস শেষ করে চলে গেলাম। আমার কলেজ থেকে বেশি দূরে না। গিয়ে দেখি গোলা বিক্রেতা নেই। এরপর শীত চলে আসে। শীতে তো আর কেউ গোলা খাবে না। তাই তার বিক্রি বন্ধ। আমি পুরো শীতের সিজেনটা অপেক্ষা করছি যে শীত গেলে গরম আসলেই গোলা বিক্রি হবে। আমার বন্ধু নাভিদ আমাকে বলতো ইমন গোলা খাবি না। এটা বলে মজা নিত।

---

---

---

---

বেশ ভালো গরম পড়ে গেছে। কিন্তু আমার কলেজের ক্লাস অফ করে দিয়েছি। এবং ২ তারিখ থেকে আমার পরীক্ষা। হঠাৎ আমার বন্ধু নাভিদ বলল ইমন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে গোলা বিক্রি করে। আমি শুনেই বললাম সত্যি। ও বলল হ‍্যা। আমি বললাম তাহলে দ্রুতই খেতে হবে। কারণ কয়েকদিন পরেই রমজান মাস। গত মঙ্গলবার কলেজে গিয়েছিলাম এডমিট কার্ড আনতে। আগেরদিন রাতে আমি এবং আমার বন্ধু নাভিদ তুহিন ইকরা প্ল‍্যান করে ফেলি আগামীকাল সবাই মিলে গোলা খাব। সবাই রাজি। পরের দিন কলেজের কাজ শেষ করে গোলা খেতে যাব চারজন। এমন সময় ইকরা তর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে চলে গেল। বেশ রাগ হচ্ছিল। আমরা আলোচনা করছি আমরা তিনজন সিঙ্গেলের মধ্যে ওর রিলশনটা বেশ বাঁধার কারণ। যাইহোক আমরা তিনজনই চলে গেলাম গোলা খেতে।

---

---

---

---

বেশ গরম পড়েছে। আমাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে এই পাঁচ মিনিটির দূরত্বে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ। গিয়ে দেখি গোলার দোকান। বেশ ভালো ভীড় গরম পড়েছে তাই। অধিকাংশ মেয়ে ছেলে নাই বললেই চলে। অর্ডার দিলাম মামা তিনটা গোলা দিও। বলল মামা দাড়াও একটু দেরী হবে। আমি বললাম মামা এই গোলার জন্য পাঁচমাস অপেক্ষা করছি তুমি না হয় আর পাঁচ মিনিটই অপেক্ষা করাবে তাতে কী। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোলা দিয়ে দিল আমাদের। গোলা কিন্তু সম্পূর্ণ বরফ দিয়ে তৈরি। বরফের উপরে বিভিন্ন ফ্লেভার এর জুস টাইপের কিছু দেয়। এবং শেষে লেবু দিয়ে দেয়। দাম মাএ ২০ টাকা।

---

---

এই যুগের ছেলে আমরা। ছবি না তুললে কেমনে হয়। নাভিদ এর থেকে ছবি আমি বেশি তুলি এবং কেন তুলি সেটা বলার প্রয়োজন নেই। তো যাইহোক গোলা খেতে বেশ সময় লাগে। আমরা গল্প করতে করতে গোলা টা শেষ করি। বেশ অনেকক্ষণ লাগে খেতে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলাদা একটা ফিলিংস। শরীর টা একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেল। কুষ্টিয়া আর আসা হবে না। আসব পরীক্ষা দিতে রমজান মাসের মধ্যে। এটা খেতে খেতে আবার ঈদের পর। তাই বেশ মিস করছিলাম। দারুণ ছিল আমাদের গোলা আড্ডা টা।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---