অপরিকল্পিতভাবে হয়ে যাওয়া নৈশভোজন। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বন্ধুরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় এবং আনন্দের মূহুর্ত গুলো অপরিকল্পিতভাবেই হয়ে থাকে। এবং সেটাতেই বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। এবং একটি কাজের আবার বেশি পরিকল্পনা করলে সেটা আবার পূরণ হতে চাই না। গতকাল আমাদের সাথে এইরকমই একটি অপরিকল্পিত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটায় যদিও আমি বেশ আনন্দিত। কারণ এই রকম মাঝে মাঝে হলে খারাপ হয় না। এখন আমি এই বিষয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করব। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
বেশ ভালো শীত পড়া শুরু হয়েছে। আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করে দিয়েছি। এই প্রতিদিন ৮ টার দিকে শুরু করি। গতকালও সেটাই করছি। যথাসময়ে খেলা শুরু করছি। আমার পরীক্ষা চলার কারণে আমি বেশিক্ষণ খেলি না। খেলা চলছে এরকম সময় এই ৯ টার একটু বেশি বাজে। এমন সময় হঠাৎ আমার এক ভাই খেলার মাঝে বলে উঠে আজ পিকনিক করব। আমরা ভাবলাম হয়তো মজা করছে। কিন্তু দেখি ওই ভাই খুবই সিরিয়াস। সে বলছে যাবতীয় খরচ আমার। তোমরা শুধু রান্নার ব্যবস্থা কর। আমাদের এই খেলার জায়গাই আমরা প্রতিবছর ২,৩ বার পিকনিক করেই থাকি কিন্তু সেটা পরিকল্পিত ভাবে। যাইহোক ঐ ভাই বাজারে চলে গেল এবং আমরা এদিকে বাকি আয়োজন করতে লাগলাম। ঠিক হলো বিরিয়ানি রান্না হবে। এদিকে এক গ্রুপ খেলছে দুইজন বাজারে এবং আমরা তিনজন রান্নার সব আয়োজন করছি। আগেই বলে রাখি আমি এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। কিন্তু সবাই এখানে বন্ধুর মত ব্যবহার করে। যথারীতি ভাই কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজার করে নিয়ে চলে আসল। আমরা ১১ জন মানুষ ছিলাম। শুরু হয়ে গেল আমাদের রান্নার আয়োজন।
আমাদের এখানে একটা বিশেষত্ব আছে। অন্যরা পিকনিক করলে শুনি সবার মধ্যে দুইজন বা তিনজন কাজ করে। কিন্তু এখানে আমরা সবাই কোনো না কোন কাজ করেছি। যেহুতু রাত বেশ ভালো হয়েছে রান্নাটা একটু তাড়াতাড়ি করতে হবে। তাই সবাই মিলে হাতে হাতে করেছি। যাইহোক আমাকেও বেশ ভালো কাজ করতে হয়েছে। রান্না করার জন্য আমাদের আলাদা একজন আছে। সে আমাদের এক ভাই। মোটামুটি রান্নাটা বেশ ভালো করে। আমরা এভাবে পিকনিক করলেই ঐ ভাই রান্না করে। যথারীতি মাংস টা কেটে নিয়ে চুলায় দিয়ে দেওয়া হলো হালকা ভাজা ভাজা করার জন্য। এরই পাশাপাপাশি আমরা তিনজন অন্যান্য পেঁয়াজ রসুন পরিষ্কার করছি। এখানে সবাই আনন্দের সাথে কাজ করছে। এবং বাকি কয়জন খেলছে। ইতিমধ্যে আমার কাজ শেষ হলে আমিও খেলতে যায়। এখন রান্নার জায়গাই তিনজন রয়েছে। ওরাই সব দেখে নিবে। মাঝে মাঝে এসে দেখছি এবং কিছু ছবি তুলছি।
যাইহোক তখন রাত প্রায় ১১:৩০ এর মতো। রান্না অর্ধেক শেষ বলা যায়। এদিকে আজ অনেকক্ষণ খেলেছি আর খেলতে ইচ্ছে করছে না। তাই একটু ঢুকলাম ডিসকোর্ডে। দেখলাম সেরকম কেউ নেই। তাই আমার স্টিম প্রোফাইলের নোটিফিকেশন গুলো চেক করলাম। ওই দিকে রান্নার কাজ চলছে। এতো তাড়াতাড়ির উপর আমরা কাজটা বেশ ভালোভাবে সামলে নিয়েছি। যদিও কোনো পরিকল্পনা না থাকায় একটু বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। কিন্তু সেটা কোনো ব্যাপার না। এখন যে আনন্দ হচ্ছে যে মজা এটা বলে বোঝানো যাবে না। ইতিমধ্যে দেখি রান্না টা শেষ হয়েছে।
আমি উৎসাহ বসে রান্না শেষ হওয়া বিরিয়ানির হাড়ির কিছু ছবি তুলি। বেশ ভালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এবং বিরিয়ানির ঘ্রাণটা অসাধারণ আসছে বোঝাই যাচ্ছে যে অসাধারণ স্বাদ হয়েছে। এরই মধ্যে আমি দোকানে গিয়ে কিছু ড্রিংকস ( স্প্রাইট) কিনে নিয়ে আসি। এবং অন্যদের বলি সবাই তৈরি হও আমাদের রান্না শেষ। কয়েকজন এখনও খেলছে। ওদের খেলা শেষ হলেই আমরা হাড়িটা খুলি। সবারই বেশ ভালো খিদা লাগছে। আমার অনেক বেশি। আমি সাধারণত ৯ টার মধ্যেই রাতের খাবার খাই। কিন্তু আজ ১২ টা পার। বুঝতে পারছেন অবস্থা টা। তাই আমারই একটু বেশি তাড়া ছিল😄।
এখানে সবাই আমরা আমরাই। প্লেটে পরিবেশন করা হচ্ছে এবং যে যার মতো নিয়ে বসে পড়েছে। যদিও খাওয়াটা সবাই একসঙ্গে শুরু করেছি। বিরিয়ানি টার যা স্বাদ হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না। এককথায়
অসাধারণ। সবাই বেশ আনন্দের সাথে খাচ্ছে। এরই মধ্যে আমি আমার কাজও সেরেছি। আমি কিন্তু খাওয়ার মাঝেও ছবিগুলি তুলতে ভুলে যায় নাই😄। সবাই বেশ আনন্দের সাথে গল্পে গল্পে খাওয়া দাওয়া করছে। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই চলল খাওয়া দাওয়া।কিন্তু সবা ক্লান্ত। খাওয়াটা শেষ হলো মাএ। কিন্তু এখনো বেশ কিছু কাজ বাকি। জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে। যাইহোক সবাই হাতে হাতে করলাম হয়ে গেল। রাত তখন প্রায় ১ টা। মাএ কিছুসময়ের মধ্যে আমরা কতকিছু করে ফেললাম। যেগুলো কিনা আমাদের কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। এরকমটা মাঝে মাঝে হলে মন্দ হয় না কী বলেন?
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আসলেই ভাই বেশি পরিকল্পনা করলে অনেক সময় সেই কাজটি আর হতে চায়না এবং সেই কাজটি পূরণ না হলে অনেক খারাপ লাগে। হঠাৎ করেই কোন কাজটি সম্পন্ন হয় তাহলে সেই কাজটির মজাটাই অন্যরকম হয়ে যায়। আপনাদের সকল বন্ধুদের সঙ্গে হঠাৎ করে পিকনিক দেখে আমারও খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল ভাইয়া এভাবেই আপনাদের সকল বন্ধুদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক এগিয়ে যাক।
হ্যা আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকেউ ধন্যবাদ।।
শীতকাল মানেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয়ে যায়। শীতের আমেজ শুরু হলেই বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলা দেখতে পাওয়া যায়। আমিও মাঝে মাঝে সময় পেলে আমার বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠি। তবে আপনারা সবাই মিলে হঠাৎ করে দারুণ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে হয়ে যাওয়া নৈশভোজন করতে অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।।
এ ধরনের আয়োজন এর মজাই আলাদা। আমরাও প্রতিবছর ব্যাডমিন্টন খেলি কিন্তু এ বছর এখনো শুরু করিনি। খেলাধুলার মাঝে এ ধরনের পিকনিকের আয়োজন সত্যিই অসাধারণ
ঠিকই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
একদম ঠিক ভাইয়া কোন কাজ বেশি পরিকল্পনা করলে শেষে ঠিকমতো হয়না।পরিকল্পনাকারী ছাড়া কাজই সুন্দর হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনারা খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। এবং অনেক মজাদার খাবার খেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনাদের বিরিয়ানিটা দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।পিকনিক এর খাবার এমনিতেই মজা লাগে।
হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর কাঙ্ক্ষিত একটি মন্তব্য করার জন্য।।।
খেলাধুলার মাঝে ভোজের ব্যবস্থা থাকলে কি যে মজা। আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলি কিন্তু পাশাপাশি এভাবে পিকনিক করা হয়নি।আমরা কিন্তু মাসে ছয় থেকে সাতবার পিকনিক করে থাকি।আমাদের মধ্যে কেউ ভুল করে পিকনিক এর কথা উচ্চারণ করলেই সেটা সম্পুর্ন করি।খুব ভালো লেগেছে আপনার পিকনিক করার গল্প। 😍😍
মাসে ৬-৭ বার পিকনিক বিশাল ব্যাপার বলা চলে।
আমার মনে হয় কম বলেছি আমরা যারা পিকনিক করি তারা আরও বেশি বলতো।🙂
পরিকল্পনা ছাড়াই এমন অনেক কাজ আছে যেগুলোতে অনেক আনন্দ আছে। পরিকল্পনা করে থাকলে সেগুলো বেশিরভাগ সময় আর হয়না। আপনারা কত সুন্দর শীতের ভিতর ব্যাডমিন্টন খেলছেন দেখতে খুবই ভালো লাগছে এই শীতের ভিতর ব্যাডমিন্টন খেলা দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমরাও ছোটবেলায় ব্যাডমিন্টন খেলতাম এখন আর খেলা হয়না।আপনার খাবারটা দেখতে খুব লোভনীয় হয়েছে। শীতের রাতে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি অফ কি যে মজা।দারুন কাটিয়েছেন ভাইয়া মুহূর্তটি।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ভাইয়া পরিকল্পনা ব্যাতিত ভোজের কাজটি দারুণ মজার হয়।যদিও কষ্টটা খুব দ্রুতই হয় একটু তবে অনেক মজা পাওয়া যায়।এছাড়া সবাই একসাথে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে শীতের রাতে।খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর সময় সম্পর্কে জানতে পেরে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ দিদি আপনার এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।।
গতবছর শীতের সময় এর কথা মনে পড়ে গেল ভাই। আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে সবাই মিলে খেলার পর পোলাও করে খেয়েছি। কোন প্রকার পরিকল্পনা ছাড়াই। আপনার লেখাটা পড়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।