!! 💞💕ভালোবাসা অন্ধ💞💕 !!!

সাদিক একজন মুসলিম পরিবারের ছেলে। কিন্তু সে ইসলামি রীতিনীতি খুব একটা মানে না। তার বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নাই। যাইহোক সাদিক অনেক বড় একজন প্রফেসর। সে দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। সে একটু বেশিই শিক্ষিত বলেই কীনা এসব মানে না। তবে সাদিক মানুষ হিসেবে অসাধারণ। সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তার কথা হচ্ছে মানুষ মানুষের জন্য। সাদিক এখন প্রাপ্তবয়স্ক। বাড়ি থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। সে এই যুগের ছেলে হওয়া স্বত্ত্বেও প্রেম ছিল না তার। যাইহোক এভাবেই বেশ কিছুদিন যায়। সাদিকের জন্য যে মেয়ে ঠিক করা হয় তার নাম শিলা। শিলা বেশ ভালো মেয়ে। নির্দিষ্ট দিনে দুজনের বিয়েও হয়ে যায়। শিলা এবং সাদিক বেশ সুখে দিন পাড় করতে থাকে। তবে বলে রাখা ভালো সাদিকের সম্পূর্ণ বিপরীত চরিএ হলো শিলা। সাদিক যেমন সৃষ্টিকর্তাই বিশ্বাস করে না। শিলা ঠিক তার উল্টা সে তার দিনের বিশেষ একটি অংশ সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে ব‍্যয় করে। সাদিক শিলাকে বলে এসব করে কোনো লাভ আছে শুধু সময়ের অপচয়। সাদিক নিষেধ করে কিন্তু শিলা শোনে না। এভাবে কয়েকবছর কেটে যায়।

---

---

Source

---

---

অবশেষে সাদিক এবং শিলার পরিবারে নতুন এক অতিথি আসে। সাদিক এবং শিলার একটা ছেলে হয়। তার নাম রাখা হয় রাতুল। ছেলেটা দেখতে বেশ সুন্দর। সাদিক এবং শিলার মধ্যে অনেক মিল তাদের সংসারে কোনো ঝামেলা হয় না কখনো। তবে এতোদিনেও কেউ পরিবর্তন হয় নি। সাদিক যেমন সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে না ঠিক একইভাবে শিলা আধুনিক বিজ্ঞান একটু কম বিশ্বাস করে। তার বিশ্বাস ভক্তিই সব। এভাবেই দিন কাটতে থাকে। দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে যায় রাতুল। এখন মোটামুটি রাতলের ৬ বছর বয়স। রাতুল বেশ হাসি খুশি ছেলে। সারাদিন বাড়ি টা মাতিয়ে রাখে। হঠাৎ একদিন খেলতে গিয়ে রাতুল পড়ে যায়। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার জ্ঞান ফিরে না। অবশেষে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে বললেন রাতুল মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এবং মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। দ্রুত অপারেশন করতে হবে। কিন্তু অপারেশন এ সফলতার সম্ভাবনা কম। একটু এমন তেমন হলে হয়তো রাতুল স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে বা পাগল হয়ে যেতে পারে। এইরকম অবস্থায় ডাক্তার বলেন সাদিক সাহেব আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করব। আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য চান। ছেলে রাতুল সাদিক এবং শিলার প্রাণ বলা যায়। ওর জন্য সাদিক সবকিছুই করতে পারে। শিলা এবং সাদিক রাতুলের এই অবস্থায় অনেক ভেঙে পড়েছে।

---

---

একপর্যায়ে সাদিক কোনো উপায় না দেখে সিদ্ধান্ত নিলো সে তার বছরের জীবনেও যা করেনি এবার সেটা করবে। সাদিক প্রায়ই শিলার থেকে শুনত সৃষ্টিকর্তার কাছে নাকী যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায় । কিন্তু সাদিক এসব বিশ্বাস করত না। সাদিক নিজের জন‍্যও কখনো কিছু চাইনি। তবে সে এবার সিদ্ধান্ত নেয় নিজের ছেলেকে ফিরে পেতে তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবে। অবশেষে তাই করল। ভালোবাসা যে অন্ধ সবকিছুই করতে বাধ‍্য করে সাদিকের কর্মকান্ড সেটাই প্রকাশ করে। সাদিক সৃষ্টিকর্তার কাছে বলে আমি আপনার কাছে কখনো কিছু চাইনি। আমি কখনো আপনার ইবাদতও করিনি। তবে আমি আজ আমার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। এটা বলে সাদিক কান্না করতে থাকে। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। যে সাদিক সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে না সেই সাদিক এখন দিনের অধিকাংশ সময় ব‍্যয় করে সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে। ছেলের প্রতি ভালোবাসা সাদিক কে অন্ধ করে দিয়েছে। অবশেষে আসে সেই দিন। রাতুলের অপারেশন সফলভাবে হয়ে যায়। সাদিক যেন আবার বাঁচার আশা ফিরে পায়। আমরা সবাই কিন্তু এই প্রকৃতির। নিজের ভালোবাসা বাঁচাতে যে কোন কিছু করতে পারি।।।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---