!! সব খেলার সেরা বাঙালির "তুমি ফুটবল"!!!

উপমহাদেশের বিখ‍্যাত শিল্পী মান্না দের সেই বিখ‍্যাত গান টাই দিলাম আজকের পোস্টের শিরোনাম। অনেক খেলাই তো আছে পৃথিবীতে। তবে বাঙালি কিন্তু ফুটবল টাকেই বেশি ভালোবাসে মনে প্রাণে ফুটবল টাকেই ধারণ করে। এইদেশের মানুষের ফুটবল প্রিয়তা আজ থেকে না। সেই ব্রিটিশ শাসনামলে ব্রিটিশদের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে লড়াই করে মোহনবাগানের একঝাক তরুণ। ফলশ্রুতিতে তারা হয় ঐ কাপের চ‍্যাম্পিয়ন। তারও আগে থেকে বাঙালির ফুটবল প্রিয়তা। আমি নিজেও একজন ভেতো বাঙালি এজন্যই ফুটবল টাকে একেবারে মনে প্রাণে ধারণ করি। ফুটবল বলতে আমি একেবারে অজ্ঞান বলা যায়। ক্রিকেট পছন্দ তবে ততটা না। বিশেষ করে আমাদের লোকাল ফুটবল কিন্তু অনেক জনপ্রিয়। যেখানেই টুর্নামেন্ট হোক না কেন অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে। আমাদের পাশের উপজেলায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই শক্তিশালী দল ঝিনাইদহ জেলা বনাম মাগুরা জেলা। তো সেই ম‍্যাচ আমি দেখতে যাব না সেটা কী করে হয় বলুন।

---

---

---

---

আগের দিনই আমি এবং আমার এলাকার কিছু ফুটবল প্রেমি বড় ভাই ঠিক করে রাখি আমরা খেলা দেখতে যাব। ম‍্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল চারটাই। তো আমরা তিনটার সময় বাড়ি থেকে বের হয়। খেলার স্থানে যেতে আমাদের প্রায় ২০ মিনিট এবং ১৫ টাকা ভাড়া লাগে। যাইহোক আমরা মাঠে পৌছায় ম‍‍্যাচ শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে। গিয়ে দেখি চারিদিকে অসংখ্য লোকের সমাগম। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ঝিনাইদহ জেলা দল এবং মাগুরা জেলা দল। তো আমরা দেরিতে যাওয়ায় খেলা দেখার জায়গা খুজতে আমাদের বেশ কষ্ট করতে হয়। অবশেষে কোনোরকম একটা জায়গা পেয়েও যায়।

---

---

---

---

এরপর জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। তারপর শুরু হয়ে ম‍্যাচ। মাগুরা জেলা দল তাদের দলে দুইটা নাইজেরিয়ান খেলোয়ার নিয়ে এসেছিল। তারা ছিল আকর্ষনের কেন্দ্রে। কিন্তু ম‍্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে ঝিনাইদহ দল। একের পর এক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। ম‍্যাচের একপর্যায়ে গোল পেয়ে যায় মাগুরা দল। তারা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এরপরও যথারীতি খেলা চলতে থাকে। এরমধ্যে ঝিনাইদহ দল কয়েকটি দারুণ শর্ট নিলেও মাগুরা দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সেগুলো প্রতিহত করতে থাকে। এভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয় হাফের প্রথম থেকেই গোল শোধের তীব্র নেশায় একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ঝিনাইদহ দল। কিন্তু কোনো কিছুইতে যেন কিছু হচ্ছিল না। মাগুরা দলের গোলরক্ষকের দারুণ দারুণ সব সেভ। এবং মাঝে মাঝে কাউন্টার অ‍্যাটাকে চলে আসছে মাগুরা দল। এভাবেই গড়িয়ে চলছে খেলা।

---

---

---

---

তখনও ১-০ গোলে এগিয়ে মাগুরা। ঝিনাইদহ একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তাদের সামনে যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় মাগুরার গোলরক্ষক। শেষ পযর্ন্ত রেফারির শেষ বাশি বেজে উঠে এবং মাগুরা দল ১-০ গোলে ঝিনাইদহ দলকে পরাজিত করে। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হয় মাগুরা দলের গোলরক্ষক। এবং ম‍্যাচ শেষে প্রধান অতিথি চ‍্যাম্পিয়ন দলের হাতে নগদ ৫০,০০০ টাকা এবং ট্রফি তুলে দেয়। এবং রানার্স আপ দলের হাতে ৩০,০০০ টাকা এবং ট্রফি তুলে দেয়। মোটামুটি ম‍্যাচটা ভালো ছিল উপভোগ করেছি তবে কীনা ঝিনাইদহ দল ভালো খেলেছে কিন্তু তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত গোল অর্জন করে নিতে পারেনি। যাইহোক অনেকদিন পর এইরকম একটা ম‍্যাচ দেখে বেশ ভালো লাগল। অনেক উপভোগ করেছি ম‍্যাচটা।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	জুন,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---