||| ভালো থেক( প্রথম পর্ব ))|||

অরিএ বেশ শান্ত স্বভাবের একটা ছেলে। ছোটবেলা থেকেই ওকে যারা দেখছে তারা জানে ও কতটা ভদ্র এবং লাজুক। অরিএের লাজুকতার একটা বৈশিষ্ট্য দেয় ও কোনো মেয়ের সঙ্গেই কথা বলে না সেরকম কোনো আত্মীয় বাড়ি যায় না। অরিএের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে খেলাধুলা নিয়ে। অরিএ ফুটবল বেশ পছন্দ করে। অরিএের বয়স তখন ২০ বছর। লেখাপড়া বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর ফুটবল এইটা নিয়েই থাকত। এলাকার অরিএ কলেজে গিয়ে যেন আরও চুপচাপ থাকে। সেরকম কোনো কথা বলে না। তবে অনেকদিন বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে মিশতে কিছুটা আপডেট হয়েছে। অরিএের সব বন্ধু রাহুল, প্রিতম, বিজয় সবার গার্লফ্রেন্ড আছে। ওরা অরিএকে বলে আচ্ছা তুই মেয়েদের এতো ভয় পাস কেন। তোর তো এখনই সময় একটা প্রেম কর স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা কর। অরিএের সোজা না ভাই আমার দ্বারা হবে না। এভাবেই দিন যাচ্ছিল।।

---

---

অরিএ এই নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছে এই মাস তিনেক। সেরকম করে কলেজ ক‍্যাম্পাসটা সে ঘুরে দেখেনি। তো একদিন ক্লাস তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ায় অরিএ এবং অরিএের তিন বন্ধু ক‍্যাম্পাস ঘুরছে। ঘুরতে ঘুরতে একসময় অরিএ যায় নিজের ডিপার্টমেন্ট এর ভবনের দিকে। তখন সামনে থেকে কয়েকজন মেয়ে আসছিল। ওখানে সুন্দর গঠনের একটা মেয়েকে অরিএ দেখে এবং তার ভালো লেগে যায়। হঠাৎ অরিএ দাঁড়িয়ে যায়।

বিজয় বলছে কী রে অরিএ কী হলো চল। অরিএ বলছে ভাই ঐ মেয়েটাকে দেখ একেবারে মাঝে রয়েছে দারুণ না। রাহুল বলছে তোর পছন্দ হয়েছে। অরিএ বলে না ঠিক পছন্দ না তবে ভালো লাগল দেখে। প্রিতম বলছে চল কথা বলে আসি। অরিএ না থাক যাব না বাদ দে। অন‍্যরা বলল ঠিক আছে। তবে ভালো লাগলে বল আমরা দেখব। অরিএ বলে না ভাই থাক।।

---

---

source

---

---

পরের দিন ক্লাস শেষ করে অরিএ আবার তার ডিপার্টমেন্ট ভবনের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। সেদিন অরিএের তিন বন্ধু ওর সঙ্গে ছিল না। হঠাৎ মেয়েটা বের হলো ডিপার্টমেন্টের ভবন থেকে। মেয়েটা আজ একাই আছে। অরিএ আজ যেন ভালো করে দেখলো মেয়েটাকে। মেয়েটা অরিএকে দেখেও না দেখার মতো করে চলে গেল। অরিএ পেছন পেছন কিছুদূর গেল। এরপর মেয়েটা বের হয়ে চলে গেল। মেয়েটার লম্বা চুল চোখগুলো বেশ টানা টানা গায়ের বর্ণটা একেবারে সাদা না তবে সুন্দর দেখতে। অরিএ দেখে মেয়েটাকে পছন্দ করে ফেলেছে। পরেরদিন অরিএ ওদের তিনজনকে বলে ভাই মেয়েটাকে আমি পছন্দ করে ফেলেছি। এখন কী করব??

বিজয় বলছে আরে এটা কোনো ব‍্যাপার। আজকেই খোঁজ নিচ্ছি সব। চল যায় ডিপার্টমেন্ট ভবনে। ডিপার্টমেন্ট ভবনের প্রতিটা রুম খুঁজে দেখল মেয়েটা নেই। এরপর দেখে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ছে। কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। পরে প্রিতম বলে যাওয়া লাগবে না। ঐ মেয়েটার সঙ্গে যে আরেকটা মেয়ে বসে আছে ঐ মেয়ে আমার এলাকার। আমি সব খোঁজ নিয়ে দিচ্ছি।।

পরের দিন প্রিতম সব খোঁজ নেয়। মেয়েটার নাম অদিতি। বাড়ি অন‍্য জেলায়।এখানে মামার বাসায় থেকে লেখাপড়া করে। মামার বাসাটা পাশের এলাকায়। প্রিতম বলে কিন্তু ঝামেলা একটাই। আমরা পড়ি প্রথম বর্ষে কিন্তু মেয়েটা পড়ে দ্বিতীয় বর্ষে। মানে মেয়েটা আমাদের সিনিয়র। এটা শুনে সবাই বলে অরিএ ভাই চেষ্টা ছেড়ে দাও সিনিয়র পটানো সম্ভব না তোমার দ্বারা। অরিএ বলে আমি জীবনে প্রথম কোনো মেয়েকে পছন্দ করেছি তাকে ভুলে যাব বয়সে বড় বলে, কখনোই না। সেদিন ঐ সময়ে অরিএ দাঁড়িয়ে আছে সাথে আছে রাহুল প্রিতম এবং বিজয়। মেয়েটা ডিপার্টমেন্ট ভবন থেকে বের হতেই অরিএ জিজ্ঞেস করে আপু আপনার নাম কী বলবেন। বলে আমার নাম অদিতি। অরিএ বলে আপু আমি আপনার জুনিয়র আমরা তো একই ডিপার্টমেন্টে আপনার নাম্বারটা দিবেন। কোনো সমস্যা হলে ফোন দিতাম। অদিতি সরাসরি বলল দেখা ভাই সমস্যা হলে সরাসরি কথা বলো। নাম্বার দিতে পারব না।।

---

---

চলবে......

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---