বিকেলের অবসাদ কাটাতে পূবের মাঠে এবং কিছু স্মৃতিচারণ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শুভ বড়দিন। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ আবার আমার গ্রামের অন্য একটি বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব। গতকাল ছিল শুক্রবার। বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এক সপ্তাহ হলো নতুন সেমিষ্টার শুরু হয়েছে। বেশ চাপে রয়েছি। কারণ করোনাতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেছে এইজন্যই চাপটা বেশি। কলেজ কাজ লেখাপড়া এর বাইরে আর কোনো সময় পাই না। আজ এক সপ্তাহ পড়ে বিকেলে সময় পেলাম বলা যায়। কিন্তু বিকেলে কিছুই করার নেই। বাড়িতে বসে বসে বিরক্ত হচ্ছিলাম। হঠাৎ ভাবলাম যাই একটু ঘুরে আসা যাক। কোথায় কোথায় যায় ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল পূর্ব দিকের মাঠে অনেকদিন যাওয়া হয়না। তো সেরকম কিছু না ভেবেই চলে গেলাম।
পূর্বের মাঠের স্মৃতিচারণ
মাঠে গিয়ে কিছুটা অবাক হয়। কারণ ছোট থেকে এই সময়ে এই মাঠের যে অবস্থা দেখে আমি বড় হয়েছে এখন তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এবং গতকাল গিয়ে এটা মনে পড়লে কষ্টই লাগছিল। বেশিদিন না এইতো ২০১০-১১ সালের দিকেও এই পূর্বের মাঠে তাকালেই শুধু আখ আর আখের ক্ষেত দেখা যেত। এবং আখ মাড়াই করে গুড় তৈরির বেশ কয়েকটা খোলা ছিল বটে। আখের ক্ষেত থেকে কত আখ ভেঙ্গে খেয়েছি। এবং মালিক দাবড়ানি খেয়ে দৌড় দিয়েছি তার ঠিক নেই। কিন্তু বর্তমানে এই পূবের মাঠে এক খন্ড জমিতেও আর আখের চাষ হয় না। প্রথম কারণ আমাদের জেলা কুষ্টিয়াতে আখ থেকে চিনি তৈরি করার যে কারখানা ছিল সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবং দ্বিতীয় কারণ হলো সময়। সাধারণত আখ ফসলের জন্য যে সময় লাগে তাতে করে ঐ জমিতে ঐ একই সময়ে দুই বা ততোধিক ফসল ফলানো যায়। এজন্যই আর কেউ আখের চাষ করতে চাই না। সত্যি ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। পুরানো সেই কথাগুলো মনে করেই একটু খারাপ লাগছিল।
তখন বিকেল। সাধারণত বিকেলে এই মাঠে সেরকম কেউ থাকে না। একেবারে শুনশান। যতদূর চোখ গেল শুধু মাঠ আর মাঠ কোনো মানুষ নেই। এর অবশ্য বেশ কিছু কারণ আছে। এই মাঠ নিয়ে আমার গ্রামের লোকেদের মাঝে একটি ভয়ংকর ঘটনার প্রচলণ আছে। সেটা অন্যদিন বলব।এইজন্যই সন্ধ্যার আগে দরকার ছাড়া কেউ আর এই মাঠে আসে না। যাইহোক দক্ষিণ দিক থেকে দক্ষিণা হাওয়াই সরিষা ফুল দোল খাচ্ছে। সেই সাথে আমার শরীরের মধ্যে এক প্রকার শিহরণ তৈরি হচ্ছে। মাঠের পর মাঠ সরিষা ফুল ফুটে আছে। দেখতে অসাধারণ লাগছে। সরিষা খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। এর তেল তো খুবই উপকারী। সরিষা বাদেও আরও অনেক ফসল ছিল। তবে সরিষার পরিমাণটাই বেশি। এবং আমি এই সবুজ হলুদের সৌন্দর্য টা উপভোগ করি। এরপর আরও সামনের দিকে যায়।
সরিষা বাদে এখন এই মাঠে মটর এবং খেসারি এই দুই ধরনের সফল রয়েছে। এটা একটা মটরের ক্ষেত। আপনারা মটরের ডাউল খেয়েছেন হয়ত। খুবই সুস্বাদু। যাইহোক এগুলো হলো মটরের ফুল। আমি এগুলোর মাক্রো ফটোগ্রাফি করার সামান্য চেষ্টা করেছি আর কী। এবং এই মটর শাক কিন্তু খাওয়া যায়। বিশেষ করে ভর্তা এবং ভাজি তো আমার খুবই পছন্দ। আপনারাও অবশ্যই খেয়ে থাকবেন। এখানে পাশাপাপাশি কয়েকটা জমিতে এই মটর চাষ করা হয়েছে।
এটা হলো একটি খেসারি ক্ষেত। খেসারি মটর জাতীয় ফসল। প্রথম এই অবস্থায় এর শাক খাওয়া যায়। এবং পরে খেসারি হলে তা থেকে ডাউল এবং বেশম তৈরি করা হয়। বেশম সাধারণত চপ পেয়াজি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেকে আবার খেসারি কাচা অবস্থায় গরুকেও খাওয়ানো হয়। আপনারা খেসারি ফুলের কিছু ছবি পারছেন। এটা স্থায়ী কোনো ফুল না। তবে ফুলটা খুব সুন্দর এবং আমার খুবই পছন্দ। যাইহোক অনেকক্ষণ এসেছি। সন্ধ্যা হয়ে গেছি। তাই আর বেশি ঘুরাঘুরি না করে বাড়ির দিকে যায়। এই মাঠ নিয়ে একটি বেশ ভয়াবহ একটি ঘটনার প্রচার আছে আমার এলাকায়। এবং এটা একদিন শেয়ার করব।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
টুইটার শেয়ার লিংক:https://twitter.com/Emon423/status/1474668021146808322?t=3sHd0eT6RuA5qEbIRlcGgA&s=19
ভাইয়া অসাধারণ একটি বিকাল কাটিয়েছেন। আপনার কাটানো মুহুর্তগুলোর কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ছবি গুলো খুব ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু🙂🙂
অতি পরিচিত কিছু ফুলের অসাধারণ ফটোগ্রাফি। সেইসঙ্গে প্রাঞ্জল বর্ণনা। দারুন হয়েছে আপনার পোস্টটি। বিকেলে আমরা সবাই কম-বেশি ঘুরতে বেরোই কিন্তু আমরা অনেকেই ভাল লাগার বিষয়গুলো ঠিকমত বর্ণনা করতে পারিনা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোষ্টের জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।।
পুবের মাঠে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া প্রকৃতির মাঝে।তাছাড়া চিনি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এটি সত্যিই দুঃখজনক।যাইহোক আলোকচিত্রগুলি খুবই মনমুগ্ধকর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দিদি🙂🙂
বাড়ীর খুব কাছাকাছিই যদি এমন জায়গা থাকে তবে অবসাদ কাটানোর খুবি সহজ।ছবিগুলো ভালোই তুলেছেন। সময়টাও নিশ্চয়ই ভালই কাটিয়েছেন । ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাই💖💖। ধন্যবাদ।।
নতুন সেমিস্টার এর চাপের মধ্যেও সময় বের করে ঘুরাঘুরি করেছেন পূবের মাঠে শুনে খুব ভালো লাগলো।প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।সরিষা ক্ষেত খুব সুন্দর লাগছিল।সরিষা সম্পর্কে খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন।সব গুলো ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই💖💖