!! রাজধানী ঢাকা ভ্রমণ ( চতুর্থ পর্ব)।!! ১০ % বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

সন্ধ‍্যার সময় বাসায় কেউ নাই। সুমন ভাইয়ের বউ ভাইয়ের মেয়ে আয়েশা কে কোরআন পড়াতে নিয়ে গেছে। বাসায় আমি এবং ভাইয়ের ছোট ছেলে উসামা। উসামা আবার খুব দুষ্টু। ভাইয়া এসে কলিং বেল দিল। আমি দরজা খুললাম। দেখলাম সঙ্গে ভাইয়ের বউও চলে আসছে। এরপর সুমন ভাইয়ের বউ আমাদের জন্য নাস্তা তৈরি করল। নাস্তা খাওয়ার সময় আমি ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করছি। ভাইয়া আমার বৃওিপএ দেখল। হঠাৎ তখন রোহান ভাইয়ের ফোন। আমি বললাম ভাইয়া আমার কাজ শেষ। বলল তাহলে তুই আমার ক‍্যাম্পাসে আসতে পারবি। আমার কাছে কয়েকদিন থাক। তোকে নিয়ে ঘুরব। সুমন ভাইয়া বলল রোহান ও ঢাকায় মাএ দুইদিন দিনের বেলায় কিছু ঠিকমতো চেনে না রাতে কীভাবে তোর ক‍্যাম্পসে যাবে। যাইহোক রোহান ভাইয়া বলল ঠিক আছে আমি তাহলে আসতেছি তোকে নিতে। এটা শুনে সুমন ভাইয়ের বউ অনেক রকম খাবার তৈরি করল। ঘন্টাখানেক এর মধ্যে রোহান ভাইয়া হাজির। খাওয়া দাওয়া শেষ করে গেলাম রোহান ভাইয়ের সঙ্গে। ভাইয়ার হলে দুইদিন থাকব। আগেই বলেছি ভাইয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ইইই তে পড়ে। রাতের বেলা বাসা থেকে বের হলাম। তখন প্রায় রাত ৯:৩০।

---

---

ঢাকা শহরে একটা সুবিধা আছে। সারারাত যানবাহন পাওয়া যায়। যাইহোক রিক্সায় উঠলাম। আমি এবং রোহান ভাইয়া গল্প করতে করতে যাচ্ছি। রাতের ঢাকা শহর টা কী যে অসাধারণ লাগে। আমরা দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র টিএসসিতে নামলাম। সেখানে অনেক ছেলেমেয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আমরা ঐটুকু হেঁটে গেলাম। বেশ অসাধারণ এক অনুভূতি। এরপর আবার রিক্সায় উঠলাম। এখান থেকে কাছেই ভাইয়ার ক‍্যাম্পাস। রাতের আধারে আমি প্রথমবার প্রবেশ করি বাংলাদেশের সেরা বিদ‍্যাপিঠে। রোহান ভাইয়া শেরে বাংলা হলের ২১১ নাম্বার রুমে থাকে। ভাইয়ার সঙ্গে আরও যারা থাকে তারা সবাই এখন বাড়িতে আছে। একজন আগামীকাল সকালে আসবে। আর বাকী দুজনের বাড়ি এই পাশেই। ভাইয়ার হলের রুমে ঢুকতেই দরজায় ঠক ঠক। ভাইয়া দরজা খুলল। বলল মামা কী অবস্থা। বুয়েটে প্রতি রাতে ঐ সময়ে রুমে রুমে শরবত দিয়ে যায়। ভাইয়া আমাকে বলল ইমন কী খাবি লেবু না রুহ আফজা। আমি বললাম লেবু। লেবুর শরবত খেতে খেতে বাইরে গেলাম। বাহ কী সুন্দর পরিবেশ।

---

---

সুমন ভাইয়ের বাসা থেকে খেয়ে এসেছি রাতে আর খাওয়ার দরকার হবে না। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রোহান ভাইয়া ল‍্যাপটপ অপেন করে পড়তে বসল। এবং আমি পাশের বেডে শুয়ে ফোন টিপছি। হঠাৎ ভাইয়ার এক বন্ধু একইসঙ্গে পড়ে। পাশের রুমে থাকে। ভাইয়ের নাম ছিল ফাহিম। উনি এসে আমার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেন। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে গল্প শুরু করল। আমি বললাম ভাইয়া বাইরে যাব। ভাইয়া বলল এইদিক দিয়ে সোজা শেষে চলে যা বাথরুম টয়লেট দুইটাই আছে। আমি একজন কিশোর ঐ রাতে আমাকে দুই একজন দেখে প্রশ্ন করল কার কাছে এসেছ। আমি বললাম ২১১ রোহান ভাইয়া। তখন উনারা বললেন ঠিক আছে। ভাইয়ারা যাইহোক অনেক ভালো বেশ ফ্রেন্ডলি ব‍্যবহার। এসেছি প্রায় দুইদিন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে সেরকম কথা হয়নি। রাতে ফোন দিয়ে মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কথা বললাম। এরপর ঘুমিয়ে গেছি। রোহান ভাইয়া পড়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু ঘুমিয়ে গেছি। হঠাৎ রাত তিনটার সময় ভাইয়া আমাকে ডাকলো। বলল ইমন চল উঠ। আমি বললাম কোথায় যাব। বলল চল খেয়ে আসি। খিদে নেই কৌতুহলবশত গেলাম। গিয়ে দেখি এলাহীকান্ড। বুয়েটর ক‍্যান্টিন সারারাত খোলা থাকে। ভাইয়া মুরগির মাংস এবং ভাত নিল আমিও তাই নিলাম। হঠাৎ একটা চশমা পড়া ছেলে এসে ভাইয়াকে সালাম দিয়ে বলল ভাই কেমন আছেন। ভাইয়া বল বস। কেমন আছ। বাড়ি কবে যাবা। ছেলেটা বলল আগামীকাল ভাই। ছেলেটাকে নিয়ে আমার তখন কোনো কৌতূহল হয়নি। কিন্তু একসপ্তাহ পরে ছেলেটাকে পুরো জাতি চিনে যায়।হ‍্যা ছেলেটা ছিল আবরার ফাহাদ। ছেলেটার বাড়ি আমাদের কুমারখালী থানায়। রোহান ভাইয়ের এক বছরের জুনিয়র। সেই সূএে রোহান ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। ভাইয়ারে বেশ সম্মান করত। খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে গেলাম রুমে। ভাইয়া বলল এখন ঘুমা। কাল সকালে আমার ক্লাস নেই আমার ক্লাস বিকেলে। সকালের দিকে তোকে নিয়ে ঘুরতে বের হবো। শুনেই খুশিতে মনটা ভরে গেল।

---

---

চলবে......

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---