|||☆ কারাগার ☆||| চতুর্থ ঔ পঞ্চম এপিসোডের রিভিউ।।।

এই এপিসোডের প্রথমেই দেখা যায় জেলার মোস্তাক আহমেদ একজন ইমামকে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে গেছেন। সেটা ছিল তার ছেলের কবর মাএ দুই মিনিট ছিল পৃথিবীতে। এরপর দেখা যায় মাহা হাসপাতালে তার মায়ের কাছে বসে আছে। মাহার মা লাইফ সাপোর্টে আছে। এমন সময় মাহার খালা এসে বলে এভাবে আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখবি এটা শুনে মাহা বেশ রেগে যায়। মাহা জানে তার তার বাবা মারা গেছে কিন্তু মাহার মা বলে না তার বাবা বেঁচে আছে। এরপর দেখা যায় জেলার মুস্তাক আহমেদ জেলের সব পুলিশকে জিলেপি খাওয়াচ্ছে এবং জিজ্ঞেস করছে আপনাদের কারো দাদা বা দাদি বেঁচে আছে। একজন বলে হ‍্যা বেঁচে তার বয়স ৮৭ বছর। তখন জেলার মুস্তাক আহমেদ বলে তাহলে এই কয়েদী ২৫০ বছর ধরে কীভাবে বেঁচে আছে। অন‍্যদিকে দেখা যায় জেলারের বউ পান্না তার ছেলের জন্মদিন পালন করতে জেলে এসেছে। জেলারের ছেলে মূলত অন‍্য জনের অপরাধ জেল কাটছে কিন্তু ঘটনাটা এখনো পরিষ্কার করা হয়নি। এরপর দেখা যায় ঐ জেলের একশ্রেণির সুবিধাবাদী কয়েদী ঐ নতুন আসা কয়েদীকে গাজী পীর বলে দাবি করছে। বলে উই ঐখানেই ছিলেন অনেক বছর আগে হঠাৎ গায়েব হয়ে গেছিলেন আবার ফিরে এসেছে এটা সবাই বিশ্বাস করে নেয়।

---

---

---

---

এরপর দেখা যায় জেলার মুস্তাক ঐ ডিবি অফিসার এবং মাহা আবার যায় ঐ কয়েদীর কাজে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তখন মাহা জিজ্ঞেস করে অনেক প্রশ্ন।সেই অনুসারে ঐ কয়েদী বলে আমি ২৫০ বছর ধরে জেল খাটছি মীরজাফর কে হত‍্যার অপরাধ। আমি প্রথমে ছিলাম রস আইল‍্যান্ড এর কারাগারে এরপর আমাকে পাঠানো হয় আন্দামান এর কারাগরে। সেখানে আমি ১৪৫ নম্বর সেলে ছিলাম। এবং একদিন হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি আমি এখানে চলে এসছি। এটা শুনে মোটামুটি সবাই অবাক হয়ে যায়। এবং আরও বলে এখানে এমন অনেকে আছে যারা কোনো অপরাধ না করেও জেল খাটছে। ঐ কয়েদী ইশারায় বলে ৩০২ নং কয়েদী অন‍্যের অপরাধে এখানে রয়েছে। এটা শুনে জেলার নিজেও অবাক হয়ে যায় এই কথা এই কয়েদী কীভাবে জানল। এরপর দেখা যায় হঠাৎ সব কয়েদী থালা এবং গ্লাস দিয়ে আওয়াজ করছে। তারা অনেক রেগে গেছে। তারা মনে করছে এতোক্ষণ ধরে পুলিশ ঐ সেলে রয়েছে নিশ্চয়ই গাজী পীরের কোনো ক্ষতি করছে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড।।

---

---

লাইট এন্ড শ‍্যাডো

---

---

---

---

এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় মাহা বের হয়ে যাচ্ছে জেল থেকে এবং যাওয়ার সময় জেলার মুস্তাকের সঙ্গে দেখা। তখন মাহা বলছে এই কয়েদী কে সে এতকিছু কীভাবে জানে। যাইহোক এরপর জেলার মোস্তাক এবং ঐ ডিবি অফিসার ৩০২ নাম্বার কয়েদী কে ডেকে পাঠায়। ৩০২ নাম্বার কয়েদী আসলাম সিকদার এর খুনের অপরাধে জেলে রয়েছে কিন্তু খুন সে করে নাই। খুন করছে রাজেশ্বর পল সে ছিল আসলাম সিকদারের ডাক্তার। কিন্তু সে এখন মিসং তাই তাকে অপরাধী সাজিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ৩০২ নাম্বার কয়েদীকে ঐ কয়েদীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তখন ঐ কয়েদী খাতায় লিখে দেয় যে ঐ রাজেশ্বর পল কোথায় আছে। এরপর দেখা যায় সবাই ভলিবল খেলছে। তখন ঐ জেলের পুরাতন একজন কয়েদী গিয়ে বলে বড় সাহেব বাবার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। এরপর হাসপাতালে মাহার সঙ্গে দেখা করতে যায় জেলার মোস্তাক বলে আপনি আরেকবার চলুন।।

মাহা যেতে রাজি হয় কিন্তু সে বলে আমাকে একা কথা বলতে দিতে হবে। এরপর জেলার মোস্তাক আতাউর নামের একজনের বাড়ি যায়। গিয়ে তার বউকে বলে আতাউর কোথায় তাকে পাঠাও। আসরে আতাউর এর অপরাধেই তার ছেলে জেল খাটছে। এখন তার ছেলে বিদেশ যাবে এবং আতাউরের জেলে যাওয়ার কথা এমনটাই চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু আতাউর নাকী দুবাই চলে গেছে। এরপর জেলে যায় তখন সহকারী জেলার এবং প্রধান জেলার মুস্তাক কথা বলছে। এই অবস্থায় সহকারী জেলার বলে স‍্যার ঐ কয়েদী কে কৌশল করে মেরে গুম করে দিয়ে বলব জ্বীনে নিয়ে গেছে। এবং জেলার তাতে সহমত পোষণ করে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড।।

---

---

ব‍্যক্তিগত মতামত ও শিক্ষা

---

---

গত সপ্তাহে আমি কারাগার ওয়েব সিরিজের প্রথম তিন এপিসোডের রিভিউ দিয়েছিলাম। আজ পরের দুই এপিসোডের রিভিউ দিয়েছি। এই এপিসোডে প্রথমেই ঐ কয়েদী কে মাহার সাহায্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কয়েদী বলে সে ২৫০ বছর ধরে জেল খাটছে এবং সে অনেক কিছু জানে এই জেলে অনেকেই আছে যারা অন‍্যের অপরাধে জেল খাটছে। এটা শুনে জেলার মুস্তাক রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। অন‍্যদিকে একশ্রেণির সুবিধাবাদী কয়েদী ঐ কয়েদী কে গাজী পীর দাবি করতে থাকে। কয়েকদিন পর জেল শিফটিং এবং অডিট আছে। কিন্তু ঐ কয়েদীকে নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সেজন্য সহকারি জেলার আবুল খায়ের বলে ঐ কয়েদী কে গোপনে মেরে ফেলতে। এখানেই এই দুইই এপিসোড শেষ হয়। ওয়েব সিরিজটা বেশ দারুণ রহস‍্যের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।।।

---

---

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯.৫/১০

---

---

কারাগার সিরিজের ট্রেলার

---

---