আমার বাংলা ব্লগ। এর জন্য দায়ী কারা??। ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য। আগস্ট ২৭,২০২১।
- আমার বাংলা ব্লগে,
- সবাইকে স্বাগতম।
- আমি @emon42.
- বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগে আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আজ আমি আমার পোস্টে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এই বিষয়ে বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা এতোটা আসক্ত হয়ে গেছে এখনই যদি এর প্রতিকার না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। তো চলুন শুরু করা যাক। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।
বর্তমান সময়ের ছেলেরা ফোনের প্রতি একটু বেশিই আসক্ত হয়ে গেছে। এবং তাদের আসক্ত হওয়ার কারণ ওই যে দুটি পাবজি, ফ্রী ফায়ার। পাবজী ফ্রী ফায়ার খেলে না এমন কিশোর পাওয়া এখন খুবই দুস্কর। কিন্তু কিছু ব্যতীক্রমও আছে। ব্যতিক্রম বলতে এদের পিতামাতা সচেতন এইজন্যই এরা এখনো এগুলো থেকে দূরে আছে। করোনা ভাইরাসের জন্য বাংলাদেশে আজ ১৮ মাস সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলে মেয়েদের সেরকম কাজ নেই লেখাপড়াও সেরকম নেই। সবার বাড়ির অভিভাবক তো আর সচেতন না। লেখাপড়া না থাকাই এরা যেভাবেই হোক স্মার্টফোন নিয়েছে বাড়ি থেকে। আমার এলাকায় এরকম উদাহরণ ও আছে ছেলেটার বয়স ১৫ বছর। স্মার্টফোন নেওয়ার জন্য সে তিনদিন খাইনি। কী আর করার তার বাবা মা বাধ্য হয়ে তাকে ফোন কিনে দেয়। এখন সে সারাদিন ফোনে গেমস নিয়ে পড়ে থাকে। এইরকম আরও অনেকগুলো ছেলে আমার এলাকায় আছে।
ছবিতে দেওয়া ছেলেগুলার অবস্থা দেখেছেন। এরা ফোনে এতটাই ব্যস্ত যে আশপাশ কোনো খেয়াল করছে না তারা। এরা সবাই আমার এলাকার। এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে এই দেশের ভবিষ্যত খুব খারাপ আছে। এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এর জন্য কোনোদিন এদের অনুশোচনা হয়নি। বরং এরা আরও খুশি। কিন্তু কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল পাবজী ফ্রী ফায়ার ব্যান করে দেব। সেসময় এরা খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। বলা যায় এরা ডিপ্রেশে চলে গেছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পরীক্ষা বন্ধ হওয়াই এরা খুশি হয় কিন্তু গেমন বন্ধ হওয়াই এরা দুঃখ পাই। তাহলে ভাবেন এরা এই গেমসের প্রতি কতটা আসক্ত হয়ে গেছে।
এজন্যে বর্তমানে আমাদের এলাকার অধিকাংশ কিশোর আর মাঠে খেলতে যায় না। মাঠগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে। মাঠে খেলতে গিয়ে সুস্থ্য শরীরকে ব্যস্ত করে কে বলুন। এদের বিনোদন তো ফোনের মধ্যেই আছে। এবার একটা মজার ঘটনা শুনেন আমার এলাকার এক ছেলে সম্পর্কে আমাদের ছোট ভাই হয়। ও সারাদিন ফোনে পাবজি খেলে এবং বিকেলে আমি মাঠে ফুটবল খেলতে ডেকে নিয়ে যায়। এইরকম ও একদিন খেলার মধ্যে বলছে এই বল দে বল দে পিছনে এনিমি মার মার ও না বল দে পিছনে এনিমি চিন্তা করেছেন এদের অবস্থা কী পর্যায়ে চলে গেছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সব এলাকাতেই এই অবস্থা বিরাজ করছে।
এর জন্য দায়ী কারা??
চলুন এবার একটু বিশ্লেষণ করা যাক এর জন্য আসলেই কারা দায়ী। প্রকৃতপক্ষে এর জন্য সরকারকে কোনোভাবেই দায়ী করা যায় না। কারণ সরকার বড়জোর গেমসটা ব্যান করতে পারে এতে কী লাভ। সবাই ভিপিএন দিয়ে খেলবে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পিতামাতাকে তাদের সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মা বাবা নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে। তারা ছেলে মেয়েদের সেরকম সময় দেয় না। এই সময় ছেলে মেয়ে যেন তাদের বিরক্ত না করে এজন্য পিতা মাতাই তাদের হাতে ফোন তুলে দিচ্ছে। কিন্তু এর পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা কখনোই ভেবে দেখে না। আমার ছেলে ফোন নিয়ে কী করছে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে এজন্য পিতা মাতা কেই দায়ী করব। কারণ তাদের অবহেলায় নয়তো তাদের অতি ভালোবাসায় ছেলে মেয়েগুলো নষ্ট হচ্ছে। আপনারা আপনাদের মতামত শেয়ার করুন। সবাই ভালো থাকবেন।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আমি মনে করি এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই, পিতামাতা মোবাইল সম্পর্কে কী ই বা বোঝে?আমরা তাদের যা বোঝাই তাই তারা বোঝে।কিন্তু আমাদের মাথায় তো সাধারণ জ্ঞান রয়েছে, আমরা তো জানি এটা আমাদের ক্ষতি করছে কিন্তু আমরা কেন এরকম গেম পরিত্যাগ করতে পারছি না?এর জন্য আমি মা বাবাকে দোষ দিবো না। বার্থতা আমাদের😥😥
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই শুভ কামনা রইলো।
জী ভাই আপনার যুক্তিটাও সঠিক। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। এবং আপনি যে এটা সম্পূর্ণ পড়েছেন এর আপনাকে সাধুবাদ
🥰
যুব সমাজ কে নষ্ট করার পিছে পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের কোন বিকল্প নেই,আর এর কারন হলো অসচেতন মা বাবা,ছেলে ছোট থাকতেই হাতে ফোন ধরিয়ে দেয়। ফোন ধরিয়ে দিয়ে আর কোন খোজ খবর রাখে না। পরিবার অসচেতন হওয়ার কারনেই এই অবস্থা
যথার্থই বলেছেন ভাইয়া। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা মোবাইলের প্রতি এতটা আসক্তি হয়ে গেছে ,তাদের এই আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
গঠনমূলক একটি পোষ্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মতামতের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
খুবই সচেতন মুলক ও শিক্ষণীয় পোস্ট। সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। বাচ্চাদের গেম খেলায় যে বড্ড বেশি আসক্ত সেটা আপনি ক্যামেরা বন্দি করেছেন। দুর্দান্ত কন্টেন্ট ভাই। শুভেচ্ছা রইলো
ধন্যবাদ দাদা। সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে আপনি যে মন্তব্য করেছেন এতে আমি ধন্য।
এখন সবাই গেমিং এর প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে বলার বাহিরে।এভাবে চলতে থাকলে ছেলেমেয়েরা বখে যাবে একসময়।যাইহোক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
যথার্থই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামতের অসংখ্য ধন্যবাদ।
গেম খেলা এখন বাচ্চাদের রক্তের সঙ্গে মিশে নেশা হয়ে গিয়েছে।এতে প্রচুর মানসিক প্রভাব বিস্তার করছে বাচ্চাদের মনে।সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন দিদি। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এটা সমাজের একটা একেবারে সাধারণ ব্যাধি বর্তমান সময়ে। আমি এর জন্য প্রথমেই যা কে দায়ী করবো সেটা হচ্ছে পরিবার। অনেকেই হয়তো সরকার সমাজ প্রযুক্তি সহ আরো অনেক বিষয় কে দোষারোপ করবে কিন্তু আমি পরিবারকে সবচেয়ে বেশি দেখা করবো কারন পরিবার চাইলেই অনেক কিছু থেকে তাদেরকে বিরত রাখতে পারতো।
যথার্থই বলেছেন ভাইয়া। আমি আপনার সাথে একমত।