সময়জ্ঞান।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বতর্মান যুগে টাকার থেকে সময় বেশি দামি। যারা সময়ের সঠিক ব্যবহার করেছে সময়কে গুরুত্ব দিয়েছে সময়ের কাজ সময়ে করেছে তারা আজ সফল। তবে এখনো আমাদের চারপাশে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা সময়কে গুরুত্ব দেয় না। বিশেষ করে আমাদের সবার ফ্রেন্ড সার্কেলে এমন দুই একজন সবসময় থাকবে যারা সবসময় দেরী করে আসে। এরা অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমি চেষ্টা করি যেকোনো জায়গাই নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছাতে। আমি চাই না আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করুক। আপনারা ভাবছেন আজ আমি হঠাৎ সময় নিয়ে পড়লাম কেন। আছে এর কারণ আছে। কারণটা বেশ মজার। আমি অনেক কিছু শিখেছি। সেজন্য ভাবলাম সময় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কিছু কথা আলোচনা করা যাক। বলা হয় বড় মানুষেরা সবসময়ই সময়ের দাম দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেএে এর ব্যতিক্রমটা বেশি দেখা যায়। হাসপাতালে ডাক্তার স্কুলে শিক্ষক জনসভায় নেতা কেউই সময় মতো আসে না।
আসল ঘটনায় আসা যাক। আমাদের কলেজে যে কজন শিক্ষক আছেন মানে যাদের ক্লাস পেয়েছি তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক শিক্ষক কে দেখেছি সময় মতো ক্লাসে আসতে। মানে দেরী করে ক্লাস নিতে আসা যেন তাদের অভ্যাস। না অনেকে আবার একেবারে ঠিক সময়ে এসে হাজির হয়। তবে অধিকাংশ ঐ দেরী করার তালিকায়। অনেক সময় তো আবার স্যারদের ফোন দিয়ে ডেকে আনা লাগে। আমি নিজেই কতবার ফোন দিয়েছি এবং এখনো দেয় তার ঠিক নেই। স্যার রা যখন দেরী করে ছাএরা যে দেরী করবে এটাই স্বাভাবিক। ঠিক আমরাও ক্লাস টাইমে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি বলা যায়। প্রায় সবাই দশ মিনিট পনের মিনিট পরে যায় ক্লাসে। এখন আমরা তো এটা করবই। কারণ আমরা জানি স্যার দেরীতে আসবে তো আমরা আগে গিয়ে কী করব। সেজন্য আমরাও দেরীতে যেতাম। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এবার প্রথম আমরা ক্লাস পেয়েছি আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান ইয়াকুব আলী স্যার এর।
বাংলাদেশের পলিটেকনিক গুলোতে সাধারণত ক্লাস হয় দুই শিফটে সকাল শিফট এবং বিকেল শিফট। সকাল শিফট ৮-১:১৫ পযর্ন্ত। এবং বিকেল শিফট ২-৭:১৫ পযর্ন্ত। সকাল শিফটে যাদের ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয় তারা কেউই ৮ টাই ক্লাস শুরু করে না। আবার স্যার রাও দেরী করে আসে সেজন্য আমরাও দেরী করে যায়। বলা যায় এটা আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। ইয়াকুব আলী স্যার এবার আমাদের এসি মেশিন-১ ক্লাস নিচ্ছে। তো বৃহস্পতিবার সকাল ৮-১০:১৫ পযর্ন্ত স্যার এর ব্যবহারিক ক্লাস। আমরা সবাই ধরেই নিয়েছি স্যার ৯ টার আগে ক্লাসে আসবে না। সেজন্য আমরাও দেরীতে যাব। হয়তো অল্প কয়েকজন ঠিক সময়ে আসবে। যাইহোক আমার বন্ধু তুহিন এবং আমি একসঙ্গে যাওয়া আসা করি। কারণ আমাদের বাড়ি এক জায়গা। তো তুহিন আমাকে বলছে কাল ৮ টাই যাব না কারণ স্যার দেরীতে আসবে। আমি বললাম না ভাই এটা করা যাবে না ধর স্যার চলে আসলো তাহলে। স্যার খুব রাগী। ও বলল ঠিক আছে তাহলে সময় মতোই যাব।
বৃহস্পতিবার কলেজে গেলাম সময় মতো। কিন্তু পথে কিছুটা দেরী হয়ে গেল। ক্লাসে গেলাম ঠিক ৮:১২ এর সময়। ওমা গিয়ে দেখি স্যার বসে আছে। এবং স্যার এর সামনে অল্প কয়েকজন। তো স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করলেন। মোটামুটি ৮:২৫ এর মধ্যে যারা এসেছে স্যার তাদের ক্লাসে ঢুকতে দিয়েছে কিন্তু এরপর যারা এসেছে তাদের আর ক্লাসে ঢুকতে দেয় নাই। পরে স্যার বলছে তোমরা এখন বড় হয়েছ তোমাদের সময় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমি আশা করেছিলাম সবাই হয়তো সময় মতো আসবে কিন্তু অল্প কয়েকজন এসেছ। আসলে আমাদের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে এমন। স্যার বললেন হ্যা যেহেতু সকাল দশ মিনিট পনের মিনিট দেরী হতে পারে। তাই বলে এতো দেরী মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের সবার ভালো শিক্ষা হলো। আমরা অন্য সব স্যারের সঙ্গে ইয়াকুব আলী স্যার কেউ তুলনা করছিলাম। কিন্তু তিনি সময় মতো এসে আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আজ তার থেকে সময় সম্পর্কে এই জ্ঞান টা পেলাম।।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আসলেই সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত ৷ সময়ের সঠিক ব্যবহার না করলে তা নিজের-ই ক্ষতি হয় ৷ তবে আপনি ঠিক বলেছেন কিছু বন্ধু থাকে যারা সব সময় দেরিতে আসে ৷ এবং কিছু ডাক্তার , শিক্ষক ও নেতাও আছে যারা কখনো কথাও সঠিক সময়ে উপস্তিত হতে পারে না ৷ যাই হোক আপনার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ ভাগ্যিস একটু কম দেরিতে ক্লাসে উপস্তিত হয়েছেন , ৮:২৫ এর পরে আসলে আপনারাও ক্লাস করতে পারতেন না ৷
হুম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার শিক্ষা জীবনেও এমনই দেখা। কোন শিক্ষক সময়ে আসতেন না। সময়ানুবর্তীতা হয়তো স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটির মধ্যে শুধু ২-৩ জন স্যার ম্যাডামকেই দেখেছি।এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের তপন স্যার ছিলেন আপনার ইয়াকুব স্যারের মত। এই স্যাররা সত্যিই পথ প্রদর্শক হন। এনাদের ক্লাসে আমরাও সময়ে উপস্থিত হয়ে যেতাম।
একেবারে ঠিক বলেছেন দিদি আপনি। এরাই সত্যিকারের আদর্শ শিক্ষক।।
আমি অবশ্য পলিটেকনিক এ থাকার সময় এমনটা হতোনা। স্যার রা ঠিক মতই আসতো। আর যেদিন আসতোনা সেদিন তো কল করেও পাওয়া যেতোনা। আপনাদের ইয়াকুব আলী স্যার এর মত আমাদের ও একজন স্যার ছিলেন। সে সময় নিয়ে খুবই সচেতন ছিলেন। ৫ মিনিট পর আর কাওকে ক্লাসে ঢুকতে দিতেন না।
হা হা। এমন স্যার দরকার আমাদের।।
স্যাররা কলেজ দেরি কর আসলে আমার অবশ্য ভালই লাগত হাহা।তবে পলিটেকনিক গুলোতে এর পিছনে একটা কারণ ও আছে,তারমধ্যে অন্যতম হলো যথেষ্ট শিক্ষক এর অভাব।আর পারলে তো এক স্যার কে দিয়েই সব ক্লাস করিয়ে নেয়।আর এই জন্যে স্যাররাও ইচ্ছে করেই দেরি করে আসে।আসলে ওদের ও তো একটু আরামের দরকার আছে😁।
একেবারে সঠিক একটা কথা বলেছেন ভাই।।