সুদর্শন হওয়াও ঝামেলা : পর্ব ২(শেষ)। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। গতকাল আমি আমার গল্প সুদর্শন হওয়াও ঝামেলা পর্ব ১ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমার বন্ধুরা আপনারা গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আজ আমি এই গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সবাই সাথেই থাকবেন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
ছবিটি Pixabayথেকে নেওয়া হয়েছে।
সুদর্শন হওয়াও ঝামেলা আছে।
পর্ব :২(শেষ)
এরপর সাগর এবং সুইটি সাগরের বাড়িতে একসাথে থাকতে থাকে। এভাবে কিছুদিন যায় সাগরের একটি বড় ভাই ছিল সে এখনো বিয়ে করেনি। সাগরের বাবা সেইরকম ধনী নয় যে ওদের দুজনের খরচ বহন করবে। তাও এভাবে কিছু দিন চলল। একসময় সাগরের বাবার পক্ষে আর সাগর এবং সুইটির খরচ বহন সম্ভব হলো না। বাধ্য হয়ে সাগরকে কর্মজগতে নামতে হলো। পরে খবর পেলাম সাগর একটি অটো কিনেছে। অটো হলো তিন চাকার একটি যানবাহন।সাগর এখন অটো চালায়। স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল এটাই ছিল সাগরের ইনকামের পথ। মাঝে মাঝে সাগরের সাথে দেখা হতো কথা বলতাম।
এরপর অনেক দিন কেটে যায় সাগরের সাথে সেরকম কোন যোগাযোগ হয় না।আগের মত অনলাইনে আসে না।এরই মধ্যে খুলে দেয়া হয় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেখা হয় সাগরের সাথে।সাগর লেখাপড়াটা চালিয়ে যাবে শুনে খুব খুশি হয়। সাগরকে দেখে একটা জিনিস খুবই খারাপ লাগছিল সাগর আর আগের মত নেই। আগে যতটা সুদর্শন ছিল। এখন ওর শরীরের উজ্জ্বলতা অনেকটাই কমে গেছে। শরীরটা শুকিয়ে গেছে সারাদিন। খুব পরিশ্রম করে বেচারা।দেখে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল।
গত সোমবার পরীক্ষা দিয়ে আমি সাগর এবং আমার আরো কিছু বন্ধু কুষ্টিয়া থেকে কুমারখালীতে ফিরছিলাম। ফেরার সময় অটোর মধ্য থেকে সাগর আমাদের সাথে অনেক কথা শেয়ার করে। এখন পরিবারের প্রায় সকল দায়িত্ব সাগরের উপরে। সাগর অটো চালিয়ে পরিবারের খরচ চালায়। ওর বাবা এবং ভাই সে রকম খরচ দেয় না। সাগর বাড়িতে মা এবং বউকে নিয়ে থাকে। এবং অটো চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাড় করতে হয় ওকে। সাগর বলছিল ওর মা এবং বউ এর মধ্যে মাঝে মাঝেই কথা কাটাকাটি হয়।অনেক বিষয়ে মনোমালিন্য হয়। এই বিষয়ে সাগরের বউ সুইটি সাগর কে বলে।
আবার সাগরের মা সাগর কে বলে। সাগর এখন একটি ঝামেলার ভেতর দিয়ে দিন পার করছে। খুবই দুঃখের সাথে কথা গুলো আমার সাথে শেয়ার করে সাগর। আমাদের সাথে শেয়ার করে কারণ আমরা ওর বন্ধু। বিশেষ করে আমি ওকে অনেক কিছুটা সান্তনা দেই। সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তোমাকে এদের নিয়ে চলতে হবে।
আমি ভাবি এই সাগর কি ছিল কি হয়ে গেল।এত সুন্দর হাসি খুশি একটা ছেলে মাথার উপরে এখনো এত বড় একটা দায়িত্ব।
বাকিটা পথ আসার আসার সময় আমি নিজের মনে মনে ভাবলাম সাগর হয়তো বেশি সুদর্ষণ হওয়াই মেয়েদের নজরে বেশি পড়ত। এবং সেইজন্যই এই বয়সে এরকম একটি পরিস্থিতি শিকার হতে হলো।এজন্য আমি সেসময় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেই যে আমি এতটা সুদর্শন নই। এত সুদর্শন হলে হয়তো আমার ভাগ্যে এমন হতে পারত। সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।এই প্রেক্ষাপট এর উপর ভিত্তি করেই আমার গল্পটি লেখা। বন্ধুরা আপনারা কী বলেন?সুদর্শন হওয়া কিন্তু আসলেই খুব ঝামেলার। ব্যাপার তবে সবার জন্য না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আসলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেমন দিয়েছেন তেমন ই ঠিক।
সাগর একা হয় আসলে!
একা নয় বলতে সাগর এর মতো অবস্থা বর্তমানে প্রায় ছেলেমেয়ের।
ভালো লাগলো পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আসলে খুবই ভালো লাগলো পর্ব 1 পড়ে পর্ব টু পড়ার জন্য একদম অস্থির হয়ে গেছিলাম এবং পরবর্তীতে এত সুন্দরভাবে ফিনিশিং হবে অসাধারণ ছিল আপনার পরিবেশনাটি সবচেয়ে প্রধান কথা হল যে ছেলেটা আজকে ভালো পড়াশোনা করে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানো দরকার ছিল সেই ছেলেটা আবেগের বশে ভুল ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আজকে এই পরিস্থিতি ও জীবনযাপন করছে ফ্যামিলি সংসার চালাচ্ছে সত্যি খুবই কষ্ট দায়ক মূহুর্ত। আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্যের জন্য।।।
পর্ব গুলি অসাধারন ভাবে গুছিয়েছেন ভাই আমার। আসলে সুন্দর সবাই। কেউ যদি পারতো নিজেকে সুন্দর করতে তাহলে সে চেষ্টা করতো এই পৃথিবির সব থেকে সুন্দর মানুষ হতে। তাই আমি মনে করি সবাই সুন্দর।
হুম ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।