"এগারো⚽" সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বুধবার,২৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



Screenshot_20210928_135047.jpg

আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ আমি একটি মুভি রিভিউ করব। মুভিটা আমার খুবই পছন্দের একটি মুভি। এই মুভিটা ফুটবল এবং ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আজ আমি এই মুভির ছোট একটি রিভিউ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।



-----------------
পরিচালকঅরুন রায়
মুক্তি১১ জানুয়ারি,২০২১
দেশভারত
ভাষাবাংলা
সংগীতময়নাক
এডিটসংলাপ ভৌমিক,শ‍্যামল কর্মকার।


নামচরিএ
শঙ্কর চক্রবর্তীনগেন দা
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীক্লাব প্রেসিডেন্ট, মোহনবাগান।
খরাজ মুখর্জীশ্রী হরি
হিরক দাসশিবদাস ভাদুরী
তমাল রায় চৌধুরীমেসোমশায়
রনদ্বীপ বোসঅভিলাস ঘোষ
বিজিত বসুরাজেন্দ্রনাথ
উদয় প্রতাব সিংহীরালাল
অন‍্যান‍্য চরিএেআরও অনেকে


মুভির কাহিনি সংক্ষেপ:

Screenshot_20210928_135024.jpg

Screenshot_20210928_135100.jpg


সাল ১৯১১। ভারতবর্ষ তখন ইংরেজদের অধীনে। ইংরেজরা তখন কলকাতা থেকেই পুরো ভারতবর্ষ শাসন করত। কিন্তু তাদের দমন পীড়ন নিপীড়ন অত‍্যাচার মানুষ আর কতদিন সহ‍্য করবে। এর প্রতিবাদে কিছু বীর সন্তান শুরু করল স্বদেশী আন্দোলন। তারা ইংরেজ নারী শিশুদের কিছু করত না। কিন্তু অত‍্যাচারি পুলিশ বড়লাটদের বোমা মেরে হত্যা করত। ইংরেজ সরকারও বেঁচে বেঁচে শিক্ষিত এবং স্বদেশীদর হত্যা করতে লাগল। তখন ইংরেজ সরকার সাধারণ জনগণের নজর এসব আন্দোলনের উপর থেকে সরানোর জন্য একটি ফুটবল লীগ আয়োজন করে। নাম দেয় কমিউনিটি শিল্ড কাপ। এতে অবশ‍্য ইংরেজ দলগুলার প্রভাব ছিল বেশি। তারা ফুটবল খেলত খুব ভালো। কিন্তু কলকাতা এবং ভারতের গৌরব মোহনবাগান এফসি সবাইকে তাক লাগিয়ে কমিউনিটি শিল্ড এর ফাইনালে উঠে যায়। দলে খেলত বাংলার কিছু ফুটবল প্রেমি দামাল ছিল। তারা ঠিক ঠিক এগারো জন ছিল। দলের অধিনায়ক এবং নেতা ছিলেন অভিলাস ঘোষ। তারা বিশ্বাস করত এই বড়লাট মেরে এখনো ইংরেজ দূর করা যাবে না।তাদেরকে ভদ্র ভাষায় খেলার মাঠে জবাব দিতে হবে। ফাইনালে মোহনবাগানের বিপক্ষে খেলে ইংরেজদের সবচেয়ে সফল দল। যারা কীনা সবদিক দিয়ে মোহনবাগানের থেকে এগিয়ে।



Screenshot_20210928_135141.jpg

Screenshot_20210928_135146.jpg

Screenshot_20210928_135218.jpg



ফাইনালকে উদ্দেশ্য করে মোহনবাগান দলের খেলোয়ার রা কঠোর পরিশ্রম শুরু করে। যেকোন মূল্যে তাদের ফাইনাল জিততেই হবে। দেখিয়ে দিতে হবে ইংরেজদের। ইংরেজ খুব ফাউল করে খেলত। এর বিষয়ে তারা আলোচনা করে ইংরেজ রা মারলে আমরাও মাঠে পাল্টা আঘাত করব। এদিকে ইংরেজ রা একে একে নির্দোষ যুবক ছেলেদের স্বদেশী ভেবে হত্যা করতে থাকে। অত‍্যাচার পৌঁছে যায় চরমে।



Screenshot_20210928_135215.jpg

Screenshot_20210928_135107.jpg

Screenshot_20210928_135221.jpg



একসময় স্বদেশী আন্দোলনরত রা বুঝতে পারে এভাবে তারা ইংরেজদের শেষ করতে পারবে না। এজন্য তারা ঠিক করে ফুটবলে ইংরেজদের হারিয়ে এই কলকাতা বাংলা থেকে বিদায় করতে হবে। সেসময়ে তারাও আগ্রহ প্রকাশ করে ফুটবলে। ফুটবল হয়ে যায় প্রতিবাদের ভাষা। ফাইনাল কে কেন্দ্র করে চরম উওেজনা বিরাজ করতে থাকে। ফাইনাল দেখার জন্য শুধু কলকাতা না বাংলাদেশের যশোর,বরিশাল,খুলনা, থেকেও অসংখ্য জনগণ যায়। তাদের সবার এক আশা ইংরেজদের পরাজয় দেখবে।



Screenshot_20210928_135332.jpg

Screenshot_20210928_135404.jpg

Screenshot_20210928_135328.jpg



ফাইনালে অসংখ্য লোকের আগমন করে মাঠে। একটা জমজমাট ম‍্যাচের আভাস পাওয়া যায়। ম‍্যাচে ইংরেজরা সবদিক থেকেই এগিয়ে থাকে। ম‍্যাচে ভালোই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। ইংরেজরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাউল করে খেলতে থাকে। ম‍্যাচে প্রথম গোল করে লিড নেয় ইংরেজদের দল। এতে করে সমস্ত বাঙ্গালীরা ভেঙ্গে পড়ে। সবাই চিন্তায়। এরই মধ্যে শেষ হয় প্রথম হাফের খেলা।



Screenshot_20210928_135506.jpg

Screenshot_20210928_135338.jpg

Screenshot_20210928_135406.jpg



এরপর দ্বিতীয় হাফে দারুনভাবে খেলায় ফিরে মোহনবাগান। ফলস্বরুপ দ্রুতই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। খেলায় সমতা ফেরে। দারুণ ভাবে খেলা চলতে থাকে। হঠাৎ একটি ঘটনার জেরে মাঠের সব দর্শক দাঁড়িয়ে বলতে থাকে বন্দে মাতা রাম কী সেই হুংকার। ম‍্যাচের শেষের দিকে গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। মাঠে আনন্দের বন‍্যা বয়ে যায়। এরই মাঝে শেষ হয়ে যায় ম‍্যাচ। জিতে যায় মোহনবাগান। ম‍্যাচের শেষে উৎসুক জনতার ভয়ে মাঠ থেকে পালাই ইংরেজরা। ইংরেজ রা বুঝতে পারে এখানে এভাবে আর থাকা যাবে না। এরপর তারা বাধ্য হয়েই তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে হস্তান্তর করে। এবং দিল্লিতে চলে যায়। ইংরেজদের প্রভাব অনেকটাই মুক্ত হয় বাংলা।



মুভির আইএমডিবি রেটিং : ৮.৬/১০

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯.৫/১০



মুভির লিংক



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।



7b4bio5hobgt1ToxyJNZ2CBe2hrJJxxFumrTYgdiB16dsHGkxy5u76CUy1NXorPzXaMcRyXict6abfZKwupPgossU5rvzNFrfZu3mixHrTzqWdZpkJ9YsuTNWgaCHKTM7Z8rmrTgLzaeAtSZQApiPzpBJDDQ.png



FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png

Sort:  
 3 years ago 

মুভি টা আমিও দেখেছি। অনেক সুন্দর একটা মুভি। সবাই অনেক ভালো অভিনয় করেছেন মুভিটাতে। আপনি মুভি সম্পর্কে অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব‍্যের জন্য।।

ভাইয়া যদিও আমি মুভিটি দেখিনি। তবে আপনার উপস্থাপন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর ইচ্ছা জাগল মুভিটি দেখার। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

দেখতে পারেন। খুব ভালো মুভি

খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছো। শুভ কামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ।।

মুভিটি রিভিউ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ

 3 years ago 

মুভিটা এখনো দেখা হয় নাই
আপনার রিভিউ পড়ে মুভিটির ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।ধন্যবাদ।

 3 years ago 

দেখতে পারেন। খুব ভালো মুভি।।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 64058.80
ETH 3150.15
USDT 1.00
SBD 3.99