রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব‍্যবহৃত সামগ্রী।

যখন আমার পায়ের চিহ্ন পড়বে না আর এই বাটে। আমি বাইব না বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে গো..। এটা হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় একটি গানের লাইন। উনি তখনই বলে গিয়েছিলেন একদিন উনার পায়ের চিহ্ন আর এই বাটে পড়বে না। কিন্তু উনার স্মৃতিবিজড়িত জায়গা শিলাইদহের কঠিবাড়ি এখনও উনাকে ধারণ করছে। ধারণ করছে উনার স্মৃতি।আর করবেই না কেন বিশ্বকবি বলে কথা। কিছুদিন আগে আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ঘুরতে গেছিলাম। এর আগের দুই পর্বে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির বাইরের অংশ ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। আজ আমি আপনাদের দেখাব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগ্রহশালার কিছু সংগ্রহ। তো চলুন শুরু করা যাক।

---

---

---

w3w

---

• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই শিলাইদহে আসতেন পদ্মা বোট নামক একটি নৌকায় বা বজরায়। যদিও আসলটার হদিস এখন নেই। কিন্তু ঐ পদ্মা বোটের আকৃতিতে পরে এই নৌকা টা তৈরি করা হয়। এবং এটা বেশ যত্মে এবং নিরাপত্তাব্যবস্থায় এখানে সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং এটা ২০১৩ সালে বাংলাদেশের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ হতে সংগহ করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।

---

---

---

w3w

---

• এটা হলো লোহার তৈরি রোলার অর্থাৎ এটা মাটি সমান করার জন্য ব‍্যবহৃত করা হতো। এই শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ১১ একর জায়গার উপর অবস্থিত এর অধিকাংশ পরিমাণ অংশ সমতল ভূমি। এবং এটার মাটি সমান রাখার জন্য এটা ব‍্যবহার করা হতো এবং সেটা এখন না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ে। এবং লোহা টা বেশ পুরাতন কাছে থেকে দেখলেই বোঝা যায়। এটা সযত্নে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

---

---

---

w3w

---

এখানে আমি দুইটা পালকীর ছবি দিয়েছি। এগুলো রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির যাদুঘরে সযত্নে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবং আগে তো পালকীর অনেক প্রচলন ছিল। এখানে প্রথমটা ৮ বেহারার পালকী অর্থাৎ এটা বহন করার জন্য ৮ জন লোকের প্রয়োজন হতো। এবং নিচের টা হলো ১৬ বেহারার পালকী এটা বহন করতে ১৬ জন মানুষের প্রয়োজন হতো। এবং এতোটাই ভালোভাবে তৈরি যে এখনো ঠিক আছে। আগে পালকীর অনেক প্রচলন ছিল।

---

---

---

w3w

---

• এই খাটটা রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শোবার ঘরে। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন এই শিলাইদহে থাকতেন তখন উনি এই কক্ষে থাকতেন এবং খাটে ঘুমাতেন। খাটটা এখনও অক্ষত আছে। এবং খাটটার মধ্যে অভিজাত একটি ব‍্যাপার আছে। একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে আমরা এটা দেখতে পারব কিন্তু স্পর্শ করা বা বসা সম্পূর্ণ নিষেধ।

---

---

---

w3w

---

• এটা হলো লোহার সিন্ধুক। এবং এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতৃক ব‍্যবহ‍ৃত। এটাকে দেখলেই বোঝা যায় এটা কয়েকশ বছর আগে তৈরি কারণ এইটার গঠন। কারণ এই গঠনের সিন্ধুক আর এখন তৈরি হয় না। এটা এক কোণে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা রয়েছে।

---

---

---

w3w

---

• এটা হলো আলমারি। যদিও এখন আলমারির ব‍্যবহার হ্রাস পেয়েছে তবে আগে অনেক ব‍্যবহার করা হতো। এই আলমারি টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কার। তবে উনি ব‍্যবহার করেছেন কীনা এটা সঠিক জানি না। তবে আলমারি টা দেখতে বেশ সুন্দর।

---

---

---

w3w

---

• এটা হলো পানির ফিল্টার। এটা আমার কাছে অনেকটা অবাক লেগেছে যে তখনও পানির ফিল্টার ছিল। এবং এটা অনেক আলাদা গঠনের বর্তমানের থেকে। এটা লোহার তৈরি। এবং এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কার। সত্যি অসাধারণ একটি সংগ্রহ এইটা। বর্তমানে এই ফিল্টার সক্রিয় আছে কী না এটা আমাদের জানা নাই।

---

---

---

w3w

---

• এটা হলো পানির ফিল্টারের স্ট‍্যান্ড। অর্থাৎ আগেরটা ছিল পানির ফিল্টার এবং এটা ফিল্টার স্ট‍্যান্ড এর উপরে পানির ফিল্টার রাখা হতো। এটা বেশ অদ্ভূত গঠনের। এবং এই গঠনের স্ট‍্যান্ড আমি এই প্রথমবার দেখলাম।।

---

---

---

w3w

---

• তখনকার সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অএ এলাকার জমিদার। এবং উনি লোকজনের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতেই এই অঞ্চলে উনার আগমন হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগে দ্বারকানাথ ঠাকুর এখানকার খাজনা আদায় করতেন।যাইহোক এটা হলো সেই খাজনা আদায়ের চেয়ার এবং টেবিল। এই টেবিলে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খাজনা আদায় করতেন। খাজনা মানে ট‍্যাক্স।

---

---

---

w3w

---

• আগেই বলেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ১১ একর জমির উপর অবস্থিত। এবং এই জমিতে ঘাস হতো। সেই ঘাস কাটার জন্যই এটা ঘাসকাটার মেশিনটা ব‍্যবহার করা হতো। এবং এটা বেশ অনেক আগেকার। বর্তমানে ঘাসকাটার মেশিন সহজলভ্য হলেও তখন একেবারে সোনার হরিণ ছিল। এবং এটার গঠন ও বেশ জটিল। আজ এই পর্যন্তই। পরেরদিন আবার দেখা হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।।

---

---

১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---