ঐতিহ্যের লড়াই!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার পোস্টের টাইটেল দেখে হয়তো মনে করছেন আজ আমি কোনো ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। হ্যা বিষয়টা ঐতিহ্যবাহী তবে সবার ক্ষেএে সেটা না। ফুটবল বতর্মানে পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা। পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের একটা সুসংগঠিত ফুটবল দল রয়েছে। যাইহোক ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি এগুলো বলতে পারেন। আর বর্তমানের এই ম্যানসিটি মাএ কয়েক বছর আগে থেকে টাকার জোরে উঠে এসেছে। সেজন্য সিটি কে আমি ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বলতে পারব না। উপরের ক্লাবগুলোর অতীত পারফরম্যান্স এবং বতর্মান পারফরমেন্স এককথায় কিন্তু অসাধারণ। তবে একমাএ লিভারপুল ধরে রাখতে পেরেছে তাদের সেই ঐতিহ্য টা সেই খেলার ছন্দটা। কিন্তু ম্যান ইউ বা আর্সেনালের মধ্যে কিছু টা ঘাটতি থাকলেও আর্সেনাল আবার ফিরে এসেছে।
গতকাল রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব লিভারপুল এবং ম্যান ইউনাইটেড এর ম্যাচ ছিল। ম্যাচ টা ছিল অ্যানফিল্ডে অর্থাৎ লিভারপুলের ঘরের মাঠে। অন্যদিকে সময় টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না ম্যান ইউ এর। ইতিমধ্যে তারা উচল এর প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছে। গতকাল লিভারপুল তাদের একেবারে পরিচিত ফর্মেশন ৪-৩-৩ তে খেলতে নামে। অন্যদিকে ম্যান ইউ নামে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। আমার ধারণা ছিল ম্যান ইউনাইটেড ম্যাচটা হারবে। সেজন্য যথারীতি প্রথম থেকেই আক্রমণ আটকানোই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। ম্যান ইউ আক্রমণে গিয়েছিল কিন্তু সেটা একেবারেই কম। ম্যাচের ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল লিভারপুল এবং ৩২ শতাংশ ছিল ম্যান ইউ এর দখলে। এটাই প্রমাণ করে ম্যাচে লিভারপুল এর প্রভাব। লিভারপুলের ৩৪ শর্ট এর বিপরীতে ম্যান ইউ নিয়েছে মাএ ৬ টা শর্ট।
লিভারপুল ম্যাচে ১২ টা কর্নার কিক পেলেও একটাও কর্নার কিক পাইনি ম্যান ইউ। একেবারে স্বাভাবিকভাবেই সবদিক থেকে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই গোলটা পুরো নব্বই মিনিটে আদায় করতে পারেনি তারা। ফলাফল আর কী ম্যাচ গোল শূণ্য ড্র হয়। এবং লিভারপুলের ড্র করে পয়েন্ট হারানোই ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে আর্সেনাল এবং এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লিভারপুল। এবার আসি স্প্যানিস লা লীগায়। রিয়াল মাদ্রিদ আমার অনেক পছন্দের একটা ক্লাব। রিয়াল মাদ্রিদ সাপোর্ট করার প্রায় দশ বছর হয়ে গিয়েছে। গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে। এবং ম্যাচটা ছিল বার্নাব্যুতে অর্থাৎ রিয়ালের ঘরের মাঠে। ম্যাচ টা মোটামুটি সহজভাবেই জিতে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ সেটা বলা যায়। যথারীতি রিয়াল তার চিরচেনা ফর্মেশন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে নামে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় জুড বেলিংহাম।
পরবর্তীতে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল করে রদ্রিগো। কিন্তু সেটা রেফারি অফসাইড ধরলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কল্যানে গোলটা ফিরে পায় রদ্রিগো। ফলাফল ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ। হাফ টাইমের পর ভিয়ারিয়াল একটা গোল পরিশোধ করলেও আর কোন কিছু করতে পারেনি। পরবর্তীতে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজ এবং ৬৮ মিনিটে লুকা মদ্রিচ গোল করলে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ৪-১ গোলেই ম্যাচ জিতে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ রেটিং নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছে লুকা মদ্রিচ। এই নিয়ে ১৭ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মানে জানো উত্তেজনা পূর্ণ একটা ফুটবল লিগ। আর যখন এই লীগের বড় দুটি দল মুখোমুখি অংশগ্রহণ করে তখন খেলা দেখার আনন্দটা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যায়। গত দিন ব্যস্ত থাকার কারণে খেলাটা উপভোগ করতে পেরেছিলাম না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বিষয়গুলো জানতে পেরে ভালো লাগলো।