অনেকদিন পর "মটকা চা"।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
চা হচ্ছে পানির পরে সর্বাধিক পান করা তরল পদার্থ। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এটা থাকে। কেউ দিনে একাধিকবার চা খেয়ে থাকে। তবে চায়ের অনেকরকম ভেরিয়েশন আছে। রং চা, লেবু চা, মরচি চা, গ্রীন টি, তুলসি চা, দুধ চা আরও কত কী। তবে আমাদের পাশের বাংলা কলকাতায় শুনেছি মাটির ভাড় বা পাএে চা বিক্রি করে। কিন্তু আমাদের দিকে ব্যবহার করা হয় কাপ যা কাঁচ বা চিনামাটি জাতীয় পর্দার্থ দিয়ে তৈরি। তবে ইদানিং আমার শহরেও মটকা চা টা বেশ নাম করে উঠেছে। ফেসবুকে আমার বন্ধুদের স্ট্যাটাস এবং কয়েকজনের মুখে শুনেছি এই মটকা চা এর কথা। এটা তৈরি বিক্রি করে অবশ্য আমার খুবই চিরচেনা জায়গাই।। মনে আছে আমি আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পাশে নদী নিয়ে আপনাদের সাথে কিন্তু অনেক আলোচনা করেছি। ঐ নদীর পাড়ে একটা দোকান আছে ঐখানে বিক্রি করে মটকা চা।তো সিদ্ধান্ত নিলাম যাব একদিন মটকা চা খেতে।
কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু লিখন আমার বাড়িতে এসেছিল। তো হঠাৎ তখনই আমরা প্ল্যান করে ফেলি আজকে বিকেলেই যাব মটকা চা খেতে। তো বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম। এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি করে আমরা চলে গেলাম আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গাই। এটা গড়াই নদীর পাশে অবস্থিত। তবে আমাদের শহরের লোকজন এখন এটাকে এম এন পার্ক বলে থাকে। এম এন পার্ক নামটা এসেছে কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর নাম থেকে। ওখানে এখন বেশ কয়েকজন মটকা চা বিক্রি করে। তবে এটার প্রচলন শুরু করছে জাহিদ। জাহিদ উনি অবশ্য আমাদের থেকে অনেক বড় আমরা মামা বলতে ডাকতাম অনেক আগে থেকেই। আগে টিফিন টাইমে এখানে এসে আমরা জাহিদের পুরি এবং প্যাটিস খেতাম তবে তা এখন অতীত। জাহিদ মামার সঙ্গে আমাদের পরিচয় আগে থেকে উনি আমাদের মোটামুটি ভালোই চিনে।।
যেহুতু আমরা গিয়েছিলাম শুক্রবার বিকেলে সেজন্য অনেক ভীড় ছিল। কোনোমতো একটা জায়গা দেখে বসলাম। সামনে নদীর বিশাল ভিউ বেশ চমৎকার দৃশ্য। তো জাহিদ মামাকে বললাম মামা দুইটা মটকা চা দিও। মামা বলল বসতে হবে একটু দেরী বললাম ঠিক আছে আমরা আছি। আমি এবং লিখন নদীর পাড়ে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। এবং চারিদিকে তাকিয়ে লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করলাম। আসলে এখন সবাই ব্যস্ত। তাই এই ছুটির দিনের বিকেলটা সবাই চাই একটু আলাদাভাবে কাটাতে। এবং আমাদের এই মফস্বল শহরে সেরকম ভালো জায়গা নেই। থাকার মধ্যে ইকো পার্ক এবং এম এন পার্ক। ইকো পার্ক ওখান থেকে কাছেই ওখানে মূলত একটু উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের আগমণ বেশি হয়। কিন্তু এখানে সব বয়সের মানুষ আসে তবে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা বেশি। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ লিখনের সঙ্গে আশপাশের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম। প্রায় মিনিট পনের পর জাহিদ মামা আমাদের মটকা চা দিয়ে গেল।।
মাস ছয়েক আগে জাহিদ মামার মটকা চা খেয়েছিলাম। তবে এখন অনেকটা ভিন্নতা এসেছে। মটকা চা এর ক্ষেএে মাটির মটকা টা বেশ গরম থাকে ওটা টিস্যু দিয়ে ধরতে হয়। এবং এবার দেখলাম উপরে গুড়া দুধ দিয়ে দিয়েছে যেটা আগে কখনোই দিত না। এটা একটু নতুন ছিল। দুধটা চামচ দিয়ে মিক্সড করে একটা চুমুক দিতেই আলাদা একটা স্বাদ পেলাম। প্রথমে ডাবল হিটের দুধ চা তার সঙ্গে দুধের কড়া মালাই অর্থাৎ স্বর এবং উপরে গুড়া দুধ সবমিলিয়ে একেবারে জমে গেছে। দারুণ লাগল মটকা চা টা। তবে পরিমাণ অনুসারে দামটা মোটেও ঠিক ছিল না। মানে যাকে বলে আট আনার খরচায় আড়াই টাকা ইনকাম। তবে পরিমাণ অল্প হলেও মটকা চা টা ছিল একেবারে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। শেষ বিকেলে নদীর পাড়ে হাতে মটকা চায়ে চুমুক বে দারুণ ছিল কিন্তু অনূভুতি টা। চা খাওয়া শেষ করে আমরা আর বেশিক্ষণ ওখানে অপেক্ষা করিনি। কারণ ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সেজন্য আমরা বেরিয়ে পড়ি। মটকা চায়ের সাথে বিকেলটা বেশ কাটে আমাদের।।।
------ | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Redmi Note 10 pro. |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২২ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এম এন পার্কে আপনার পূর্বে পরিচিত জাহিদ মামার তৈরি মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে নদীর তীরে বিকেল টাইমটা পার করার মজাই আলাদা, সেই সাথে আবার স্পেশাল একটা চা ও খাওয়া সব মিলিয়ে দারুন ছিল। তবে ভাই ফটোগ্রাফি গুলো আরো ক্লিয়ার হলে বেশ ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
মটকা এটা আবার কি ধরনের চা।
আগে কখনো নাম শুনি নাই তবে সেটা দেখিও নেই। কিন্তু ভাই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেটা আজকে প্রথম দেখলাম। দেখতে যেমন সুন্দর লাগতেছে খেতেও মনে হয় তেমনি মজাদার হবে।চা খাওয়ার পাশাপাশি আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
মাটির তৈরি মটকার মধ্যে বিক্রি করে বলে এটার নাম মটকা চা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আপনার মটকা চা দেখে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু । অনেক রকম চা খেয়েছি এরকম চা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি অনেক রকম চায়ের নাম জানেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে নদীর পাড়ে বসে মটকা চা খুব মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে অন্যরকম একটি চায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আরও অনেক প্রকার চা আছে তবে আমি এইগুলোই খেয়েছি সেজন্যই নাম জানি।। ধন্যবাদ
আপনাকে।।
গড়াই নদীর অনেক নাম শুনেছি। আজ আপনার পোস্টে নদীর দৃশ্য দেখে ভাল লাগলো। আপনার বন্ধু লিখন ত বিরিয়ানি খাওয়ালো না এখন আপনি তাকে মটকা চা খাওয়াচ্ছেন? হা হা হা মজা করলাম। যাই হোক মাঝে মাঝে এরকম দূরে গিয়ে ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া করতে ভাল লাগে আমারও। জাহিদ মামার মটকা চা দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। আমি এর আগে মটকা চা খেয়েছি কিন্তু এরকম উপরে দুধ দিয়ে ডেকোরেশন করা খাইনি। আলাদা করে গুড়া দুধ দেয়াটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। নিশ্চয়ই খুব মজা হওয়ার কথা। ধন্যবাদ ভাইয়া.
কী আর করার ভাই ছেলেটা ঐরকমই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
সত্যি হঠাৎ করে বন্ধুর সাথে প্রিয় কিছু যেমন অনেকদিন পর মটকা চা খেতে গিয়েছিলেন অনেক ভালো লাগলো দেখে আসলে এই ধরনের মটকা চা কখনো খাওয়া হয়নি। এবং আপনি দেখছি বন্ধুর সাথে অনেক এনজয়মূলক সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আসলেই আমরা প্রায় বিভিন্ন ধরনের চায়ের নাম শুনেছি এমনকি খেয়েছি ও। কিন্তু মটকা চায়ের নাম আমি কখনোই শুনিনি। এমনকি দেখিনি। সব থেকে বেশি আশ্চর্য হলাম চায়ের উপরে গুড়া দুধ দিয়ে ডেকোরেশন করেছেন বেশ দারুণভাবে। আপনার ছবিতেই দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। উপরের দুধটা দেওয়ার কারণে মনে হচ্ছে একটু বেশি সুস্বাদু হবে চা টা। কখনো খাওয়ার সৌভাগ্য হলে অবশ্যই ট্রাই করবো।
জী আপু অবশ্যই ট্রাই করবেন আশাকরি ভালো লাগবে।।
নদীর পাড়ে বসে চা খাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি বেশ চমৎকার লাগে আমার কাছেও। চায়ের জগতে মটকা মটকা টা আমার কাছেও বেশ ভালই লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
শীতের সময় মটকা চা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। অনেকদিন হলো এই জায়গাটিতে গিয়ে এই মটকা চা খাওয়া হয় না। নদীর পাশে বসে এই ধরনের খাবার উপভোগ করা সত্যিই অনেক সুন্দর মুহূর্ত দারুন ছিল।
ধন্যবাদ ভাই।।
চা হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি খাবারের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। কবে থেকে চা খাওয়া শুরু করেছি ঠিক মনে নেই।অনেক ধরনের চা পাওয়া যায় কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় হলো দুধ চা। আপনার মটকা চা খাওয়ার দৃশ্য দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে, বেশ ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহুর্ত গুলো। আমাদের এলাকায় মটকা চা পাওয়া যায় না তাই কখনো খাওয়া হয়নি, যদি কখনো সুযোগ আসে তাহলে অবশ্যই একবার এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করার ইচ্ছে আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই মটকা চা খুব একটা বেশি জায়গাই পাওয়া যায় না আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।
চা আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে ৷ অনেক ধরনের চা খেযেছিও কিন্তু মটকা চা এখনো খাওয়া হয়নি ৷ নদীর পাড়ে বসে চা খাওযার বিষয়টা সত্যি চমৎকার ৷মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ
আপনাকে ভাই।।