কখনো নিজের অবস্থান নিয়ে আফসোস করবেন না। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

সমস্যাহীন পৃথিবী হয় না। পৃথিবীর বয়স যত বেড়েছে সভ‍্যতা যত এগিয়েছে সমস্যা গুলো যেন আরও বেশি জটিল হয়েছে। এমনকোনো মানুষ নেই যে যার জীবনে সমস্যা নেই। এক এক জনের সমস্যা ভিন্নরকম। তবে আপনি আপনার সমস্যাকে নিয়ে কতটা ডিপ্রেশনে থাকবেন সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন দৃষ্টিতে সমস্যাটাকে দেখছেন। সবার জীবনে সমস্যা আছে থাকবেই এটা প্রকৃতির নিয়ম। আপনি হয়তো কাউকে দেখে ভাবছেন ও ভালো আছে ওর জীবনে কোনো সমস্যা নাই। এটা আপনার ভুল ধারণা। সবার জীবনে সমস্যা আছে তবে সবাই সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করে না। কারণ তারা জানে মানুষ মাএই মহামানব আর যারা সেটা জানে তারা কখনো সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করে না। বতর্মান জেনারেশের মধ্যে দেখা যায় কোনো কিছু না পেলে আত্মহত্যা করে। অল্প কিছুতেই ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। এদের মধ্যে ধৈর্যের অভাব। এবং ধৈর্যের পেছনে না থাকার পেছনে রয়েছে আমাদের সোসাইটি। আমাদের সোসাইটি তাদেরই মূল‍্যায়ন করে যারা দিনশেষে সফল। যারা ব‍্যর্থ আমাদের সমাজ তাদের কখনো অনুপ্রেরণা দেবে না তাদেরকে শুধু ডিমোটিভেট করবে।

---

---

প্রথমত আমাদের মধ্যে আফসোসের সৃষ্টি হয় কারো ভালো অবস্থা দেখে যে ও ভালো একটা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে বাহ ও সহজেই অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে হাইপ্রোফাইল জীবনযাপন করছে। আপনি ঐ লোকের সঙ্গে আপনার নিজের তুলনা করে দুঃখ পাচ্ছেন। অথচ কখনো ভেবে দেখেছেন এই সমাজে এমন অনেক লোক আছে যারা দু বেলা ঠিকমতো খেতে পাই না। তাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। অথচ দিনশেষে ওরা কিন্তু হাসিখুশি থাকে। আমাদের মনে এমন কোনো চিন্তা আসে না যে সৃষ্টিকর্তা ওর থেকে আমাকে ভালো অবস্থানে রেখেছে। আমরা যে পজিশনে আছি এটাও অনেকের কাছে স্বপ্ন। আপনি যদি বিষয়টি এভাবে দেখেন তাহলে মনে হয় আপনার অবস্থা নিয়ে আপনি কখনো দুঃখপ্রকাশ করবেন না। আপনার অবস্থা আপনার আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

---

---

---

---

Source

---

---

আমাদের দেশের বাবা মায়েদের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আফসোসের সৃষ্টি হয় সেটা হলো সন্তানের লেখাপড়া চাকরি নিয়ে। দেখুন কেউ সবদিক থেকে পারফেক্ট না। সবাই যে লেখাপড়াই ভালো হবে সবাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে বিষয়টি এমনও না। কিন্তু নিজেদের সম্মান রক্ষায় সোসাইটিতে ভালো অবস্থানে থাকতে আমাদের দেশের বাবা মায়েরা সন্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয় জিপিএ ফাইভ পেতে হবে বাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হবে। যদি কোনো ছেলেমেয়ে এটা না করতে পারে তাহলে সে পারিবারিক সামাজিক উভয় জায়গা থেকে হেনস্থার স্বীকার হয়। এবং লেখাপড়ার চাপ সহ‍্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম নয়। এর পেছনে দায়ী ঐ মনোভাব যে আমাদের সমাজ ব‍্যর্থদের দ্বিতীয়বার চেষ্টা করার অনুপ্রেরণা দেয় না।

---

---

আমাদের এই জেনারেশনে আফসোসের আরেকটা বড় কারণ আপনাকে ছেড়ে কেউ চলে গেছে। আমাদের এই জেনারেশনে রিলেশন যেমন সর্বএ সহজলভ্য বিচ্ছেদ টাও তেমন সহজ। অধিকাংশ ক্ষেএে দেখা যায় আপনার খারাপ অবস্থার জন্য আপনাকে ছেড়ে কেউ চলে গেছে। আপনি তখন নিজের অবস্থান নিয়ে আফসোস করবেন। আপনি কেন আফসোস করবেন?? নিজেকে সেভাবে তৈরি করুন নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যেন সে একদিন আপনাকে দেখে আফসোস করে যে সে কাকে ছেড়ে চলে এসেছে। মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য তাকেই রেখেছেন যে আমাদের জন্য সেরা। যে চলে গেছে যেতে দিন তার থেকে ভালো কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এটা নিয়েও কখনো আফসোস করবেন না। কখনো অন‍্যের জন্য বাঁচবেন না। নিজের ইচ্ছাটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন। মনে রাখবেন নিজের বাবা মা পরিবারের থেকে কেউ বেশি আপন হয় না। যদি হয় সেটা সাময়িক। তবে এক্ষেত্রে বন্ধুর বিষয়টি আলাদা। বন্ধু পরিবারেরই একটি অংশ।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---