!! দিনটা ছিল আমাদের!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক। আজকে শেষ রমজান। সৃষ্টিকর্তা যেন পরের বছর আবার আমাদের কপালে বরকতপূর্ণ মাস রমজান নসীব করেন। রমজান মাসে সবাই প্রায় ইফতার পার্টি করেছে বন্ধুদের সাথে। তবে সেদিক থেকে আমি একটু ভিন্ন। কারণ আমি প্রতিটা রমজানে ইফতার করেছ আমার এলাকায়। আমার গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ইফতার সিস্টেম আছে। বহু আগে থেকেই আমাদের গ্রামের মসজিদে মাস জুড়ে ইফতার পার্টি হয়। যাইহোক এই ইফতার বন্টনের দায়িত্ব থাকে এলাকার ছেলেদের উপর। বিগত বেশকিছু বছর ধরে এই দায়িত্ব রয়েছে আমার উপর। আমি এবং আমার আরও তিনজন বন্ধু মিলে আনন্দের সঙ্গে কাজটা করে থাকি। তবে আমাদের এলাকার সব ইয়াং ছেলেরা মিলে একদিন ইফতার দেয় এবং সেটা দেয় শেষ রমজানে বা তার আগের দিন। গতকাল ছিল আমাদের ইফতার দেওয়ার দিন। গতকাল সারাদিন অনেক ব‍্যস্ত ছিলাম। সব টাকা তোলা বাজার করা ইফতার পরিবেশন আমরা তিনজন মিলে করেছি। তাই রমজান টা আমি আমার এলাকাতেই কাটাতে পছন্দ করি। একটা উৎসব মূখর পরিবেশ থাকে।

---

---

---

---

আমাদের লক্ষ্য মোটামুটি সব থেকে ভালো ইফতার দেব। আমাদের অনেক বড় ভাই চাকরিজীবী এখন। সুতরাং তারা বলছে টাকা কোনো সমস্যা না। যাইহোক সবমিলিয়ে ভালো একটা বাজেট আমরা সংগ্রহ করি। তো মোটামুটি ইফতারের আইটেমের একটা লিস্ট করে ফেললাম। এরপর আমরা তিনজন আমার সঙ্গে ছিল আমার দুই বড় ভাই আমিনুর এবং নাজমুল চলে গেলাম বাজারে। আমাদের ইফতারের আইটেমগুলোর মধ্যে ছিল ছোলা, খেজুর, কলা,আনারস, তরমুজ, আপেল,মাল্টা,বাঙ্গি, পেঁপে,আঙ্গুর,ডিম, আলুর চপ বেগুণী, পেয়াজী, সিঙ্গারা, সন্দেশ, আরও অনেক কিছু। বাজার করে আসতে আসতে বাজলো ৪:৩০ টা। এরপর মসজিদে সবকিছু রাখলাম। বাসা থেকে নিয়ে গেলাম ছুরি। এরপর সেগুলো দিয়ে ফলগুলো শুরু করলাম কাটা।

---

---

---

---

আমাদের সবাই আন্তরিক। সেজন্য সবাই কাজ করেছে। সবাই হাতে হাতে সব দ্রুত তৈরি করে ফেললাম। এখন কাজ আমার। পরিবেশন করতে হবে। আমরা মোটামুটি ১০০ জনের আয়োজন করেছিলাম। পরিবেশনে আবার আমরা খুব দক্ষ। এতগুলো আইটেম দিতে আমাদের ২০ মিনাটের বেশি লাগে নাই। আমরা অনেক দিন ধরে এইকাজ করি। পরিবেশনও শেষ হলো। ইফতারের সময় হয়ে গেল। অনেকেই আছে যারা বাইরে থেকে এসেছে বাড়িতে ইফতার করে আমরা বিশেষ ভাবে তাদের অনুরোধ করেছি আজ যেন মসজিদে ইফতার করে। ইফতারে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে বেশ ভালো লাগছিল। এরপর শুরু করে দিলাম আসল কাজ। সবার সামনে ইফতার পরিবেশন করে দিলাম। এর ফাঁকে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম।

---

---

---

---

এতো ব‍্যস্ততার মধ্যে কখন যে ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছে ঠিকই পাইনি। আজান দেওয়ার পরও আমি ইফতার করতে পারিনি কারণ তখনও অনেকে আসছে তাদের কে পরিবেশন করা লাগছে। অবশেষে শরবত দিয়ে আমি ইফতার করলাম। এবং ইদানিং আমি ইফতারের সময় পানি খাই অতিরিক্ত। শরবত পানি মিলিয়ে দেড় লিটার হয়ে যায়।তাই তখন আর অন্য কিছু খেতে ইচ্ছা করে না।‍ যাইহোক মোটামুটি ইফতার শেষ হলো। আমিও যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কারণ অনেক বড় একটি দায়িত্ব থেকে বাঁচলাম। নামাজ শেষ করে আমরা চারজন বসলাম। মিলিয়ে দেখলাম কত খরচ হয়েছে এবং কত চাঁদা উঠেছিল। যাইহোক সবকিছু শেষ করে আমাদের ফান্ডে ৭০০ টাকা রয়েছে। যেটা আমরা পরবর্তী বছরের জন্য রেখে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে আবার পরের বছর এভাবে ইফতার আয়োজন করব। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	মে,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---