!! অসমাপ্ত উপন‍্যাস!! পর্ব: ২। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

হঠাৎ গনেশবাবু বলে উঠলেন কী রে বিজু তোর উপন‍্যাস কী মানুষ আর পড়ছে না এইজন্যই তোর মন খারাপ। এতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে গনেশ বাবু চলে গেলেন। যাওয়ার আগে বিজু বাবুর বিড়াল সাইমনকে বললেন কী রে বাবুর কী হয়েছে কিছু জানিস। এরপর গনেশবাবু হীরালালকে বলল আমি এখন যায় যদি বাবু ঠিক হয় খবর দিস আসব আবার। আর যদি অবস্থা বেশি খারাপ হয় তাহলেও খবর দিস। বিজুবাবুর বিড়াল প্রতিদিন বিকেলে বিজু বাবুর সাথেই বাইরে বের হতো। কিন্তু সে বেশ কিছুদিন ঘর থেকে বের হয় না এজন্য সাইমন নিজেই এইদিন বের হয়েছে। হীরালাল ঘরে গিয়ে বললেন বাবু চা কফি কিছু লাগবে। বিজুবাবু হাতের ইশারায় বলে দিলেন না। ঐদিকে বিজু বাবুর খাওয়ার রুচি কমে গেছে। শরীর টাও শুকিয়ে গেছে মুখে যেন চিন্তার ভাঁজ।

---

---

এইভাবে আরও কিছুদিন কেটে গেল। বিজুবাবু শুধু তার কলম হাতে নিয়ে টেবিলে বসে থাকে কিছু লিখতে পারে না। কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে। এরই মধ্যে হীরালাল এর গ্রামের বাড়ি থেকে খবর এসেছে বাড়িতে তার মেয়ে অসুস্থ‍্য তাকে যেতে হবে। হীরালাল বিজু বাবুকে বলতেই বললেন তুই যা। এর আগে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে বিজু বাবু এতো সহজে রাজি হয় নি। সেদিন বিকেলে হীরালাল চলে গেল। এতো বড় বাড়িতে এখন শুধুমাত্র সাইমন এবং বিজু বাবু। হীরালাল খুবই দায়িত্ববান চাকর। অন‍্যসময় যে কদিন হীরালাল এখানে থাকত না সেইকদিন মোটামুটি বিজু বাবু নিজেই কোনোমতো চালিয়ে নিত। কিন্তু এইবার যেন কিছুই ঠিক নেই। বিজুবাবু তার টেবিলে বসে শুধু বিড়বিড় করত। প্রায় দিন পনের পর হীরালাল ফিরে এলো। এসেই দেখে বাবু সাইমন দুজনের অবস্থায় শোচনীয়। হীরালাল বুঝল বাবু নিজের সাথে সাইমন কেউ কষ্ট দিয়েছে।

---

---

রাতের খাবার সময় হীরালাল বলে বাবু খেতে দেব। অনেকদিন পর বিজু বাবু কথা বলে। সে উওরে বলে আমার লাগবে না তুই সাইমনরে দে। ও বেচারা বেশ কয়েকদিন না খেয়েই আছে। আমি তো ওকে চিনি ও তো ইদুর পোকামাকড় খেতে পারেনা মানুষের মতো ওর ভাজা মাছ চাই। তখন হীরালাল বলল বাবু আপনি। গম্ভীর ভাবে বিজু বাবু বলল তুই যা শুয়ে পড় অনেক দূর থেকে এসেছিস। জোৎস্নার রাত চাঁদটা ঠিক বিজুবাবুর ঘরের জানালার উপর। সাইমন পাশে শুয়ে আছে। হঠাৎ বিজু বাবু চিৎকার আমি লিখতে চাই,,না হলে আমি মুক্তি চাই,, আমি লিখতে চাই। এমন উচ্চস্বরে চিৎকার শুনে সাইমন ধড়ফড় করে উঠে পড়ল। হীরালালের ঘুম ভেঙে গিয়েছে। পাশের রুম থেকে হীরালাল এসে দেখে বিজু বাবু টেবিলের উপর শুয়ে পড়ে কাঁদছে। হীরালাল গিয়ে বলল বাবু আপনার কী হয়েছে। জবাবে বিজু বাবু হাউমাউ করে কাঁদছে আর বলছে হীরালাল আমি লিখতে চাই আমি লিখতে চাই। সেদিন রাতটা কাটলো। হীরালাল ভাবল কদিন সে ছিল না খাওয়া ঘুমের ঠিক নাই তাই হইত বিজু বাবুর এই অবস্থা। হীরালাল গেল গনেশ বাবুর বাড়িতে। হীরালালকে দেখেই গনেশ বাবুর প্রশ্ন কী হীরালাল তোর বাবু কী কথা কইছে না আগের মতোই আছে। সব খুলে বলে হীরালাল। সব শুনে গনেশ বাবু বলে হীরালাল তুই বাড়িতে যা আমি গ্রামের হর ডাক্তার কে নিয়ে আসছি। এই গ্রামে মোটামুটি ঐ একটাই ডাক্তার। নাম হরনাথ সবাই হর ডাক্তার বলে। সে একটা ছোট হাসপাতাল চালায় এই গ্রামে। বিজুবাবুর বাড়িতে গিয়ে হর ডাক্তার দেখে বলে সে কোনো একটা বিষয়ে খুবই চিন্তিত। এবং বেশ কদিন ঘুমাই না। তাই একটা ঘুমের ইনজেকশন দেয় হর ডাক্তার। মূহুর্ত্তের মধ্যেই বিজু বাবু ঘুমিয়ে যায়। পাশে হীরালাল দাঁড়িয়ে কাঁদছে। গনেশ বাবু বলে হীরালাল কাঁদিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা তো আছি.......

চলবে.....

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---