🙂🙂ভালো হওয়ার শুরু 🙂🙂। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমি আমার জীবনের বাস্তব একটি ঘটনা সম্পর্কে কথা বলব। আমি মনে করি যে ঘটনার জন্য আমি আজ এই পযর্ন্ত এসেছি। মোটামুটি ছোট থেকে ভালো ছাএ ছিলাম। পঞ্চম শ্রেণিতে ভালো গ্রেড পেয়ে পাশ করি। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর আর সেরকম গুছিয়ে নিতে পারিনি। আমি আমাদের জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ‍্যাপিঠে ভর্তি হয়। যখনই সবকিছু গুছিয়ে নেব তখনই আমার জীবনে একটা দূর্ঘটনা ঘটে যায়। যেটার জন্য আমি বা আমার পরিবার কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমার লেখাপড়া চলতে থাকে কোনোরকম। অন‍্যসব বিষয়ে আমি ভালো করলেও একটি বিষয়ে আমি কোনোভাবেই ভালো করতে পারতাম না। সেটা হলো গণিত। আমি মোটামুটি পাটিগণিত এবং পরিসংখ্যান করে পাশ করতাম গণিতে। এভাবেই চলে দুইবছর। এরপর আমি নতুন স‍্যারের কাছে পড়তে যায় অষ্ঠম শ্রেণিতে উঠে। উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। উনি আমাকে অনেক খেয়াল করলেন কয়েক মাস ধরে। আমি সেরকম কথা বলতাম না। নিজে না বুঝলেও বলতাম না স‍্যার বুঝি নাই।

---

---

Source

---

---

যাইহোক স‍্যার লক্ষ্য করেছিলেন আমি অন‍্যান‍্য সব বিষয়ে ভালো করি। কিন্তু গণিতে ভালো করতে পারি না। কারণ আমি বীজগণিত কিছুই বুঝতাম না। যাইহোক তখন স‍্যার আমাকে একা কিছুসময় বিষয়গুলো বোঝায়। আমি বেশ অল্প কয়েকদিনে বিষয়টি আয়ও করে ফেলি। যাইহোক এরপর আমি জেএসসি পরীক্ষা দেয়। আমার ফলাফল অনেক ভালো হয়। এরপর আমি নবম শ্রেণিতে টেকনিক্যাল এ ভর্তি হয়। কিন্তু এখানে এসে যেন আমার মধ্যে আরও বেশি গাফিলতি ভর করে। যাইহোক সম্পূর্ণ এক সপ্তাহ স‍্যার একটা অধ‍্যায় ভালো করে করিয়েছে। বলেছে বৃহস্পতিবার পরীক্ষা নেব। সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। স‍্যার ৬ টা অংক দেয়। ৬ টা অংকের নাম্বার ১৫। দেখলাম দুই একজন বাদে সবাই বেশ খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে। আমার টা সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছিল। আমার বন্ধু রাসেল ১৫/১৫, ইকরা ১৩/১৫ পেয়েছে। এবং অন‍্য সবাই মোটামুটি পেয়েছে। কিন্তু আমি??

---

---

হ‍্যা আমি একমাত্র ছাএ যে কীনা ০০ পেয়েছি। স‍্যার বলল যারা ১৫/১৫ পাইস নাই তারা দাড়াও। সবাই দাঁড়ালাম। ভাবলাম হয়তো কয়েকটি মেরে ছেড়ে দিবে। কিন্তু বিশ্বাস করেন ঐদিনের মাইরের কথা আমি জীবনেও ভুলতে পারব না। স‍্যারের কাছে ছিল জোড়া বেতের লাঠি। একদিক থেকে শুরু করল বারি। মাইরের চোটে রুমে ধুলা উড়তে শুরু করেছে। একলাইন শেষ। স‍্যার হাপিয়ে গেছে। পরের লাইনের প্রথমে আমি। স‍্যার চোখ বুঝে মাইর শুরু করল। আমার হাত কেটে যায় বাড়ির জন্য। রক্ত পড়তে থাকে। মাইর খেয়ে কোনরকম বাড়ি আসি। আসার পরেই আমার ধুম জ্বর। টানা তিনদিন জ্বর ছিল। যে মাইর দিছিল। এরপর আমি প্রতিজ্ঞা করি জীবনে আর কখনো গণিতে ফেল করব না। এরপর থেকে আমি যতগুলো গণিত পরীক্ষা দিয়েছি সবগুলো তে উল্লেখযোগ্য নাম্বার পেয়েছি। মুলত ঐ মাইর খেয়েই আমার লেখাপড়ার মোড় পরিবর্তন হয়। এরপর থেকে আমি গণিতের প্রতিটা বিষয়ে ভালো করতে থাকি। স‍্যারের ঐ দিনের মাইরের জন্য অনেক কষ্ট লেগেছিল। কিন্তু এখন বুঝি সেটা আমার জন্য কত উপকারী ছিল। তারপর থেকেই আমি অনেকটা লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়। বিশ্বাস করেন সেই বেতের বারির দাগ এখনো আমার পিঠে আছে। আমি কখনো যখন খালি গায়ে বাড়ির লোকের সামনে যায় তখন সবাই বলে উঠে ওঠা কিসের দাগ। এটা আমার ভালো হওয়ার শুরুর💖💖💖।

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---