||| কিছুই ভালো লাগছে না 😩😩 ||

সেমিষ্টার ফাইনাল শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। গতকাল পরীক্ষা ছিল। শেষ হবে সেপ্টেম্বর এর ২০ তারিখ। গতকাল প্রচণ্ড গরম ছিল। তারপর পরীক্ষার পূর্বে আন্দোলনে যোগ দিলাম কারণটা অন‍্যদিন বলব। অবশেষে স‍্যারদের সাথে সমঝোতায় এসে পরীক্ষায় বসলাম। পরীক্ষা শুরু হলো ৩০ মিনিট পর। এইদিকে বারে বারে লোডশেডিং প্রচণ্ড গরম লাগছে। শুরু হয়ে গেল মাথা ব‍্যাথা। কোনোরকম পরীক্ষা টা শেষ করলাম। এরপর ঐ গরমে বাড়ি আসলাম। বাড়ি এসে দুপুরের খাওয়া গোসল শেষ করে একটা ঘুম দিয়েছিলাম। কারণ পরীক্ষার জন্য আজ অনেক সকালে উঠেছিলাম। যাইহোক ঘুম থেকে উঠলাম ৬:৩০ টাই। আগামী ২৫ তারিখ পরীক্ষা আছে। কিন্তু পড়তে বসতে ইচ্ছাই করছে না। সন্ধ‍্যার পর কমিউনিটি এবং ডিসকোর্ডে ছিলাম। রাতে ঘুমালাম একটু দেরীতে। কিন্তু ঘুম আসে না। এপাশ ওপাশ করে ঘন্টাখানেক কাটালাম তারপর ঘুমিয়েছিলাম।

---

---

---

---

সকালে উঠে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। ফ্রেশ হয়ে খেয়াল করি শরীর টা খুবই দূর্বল লাগছে। কোনো কিছুই করতে ইচ্ছা করছে না। ওদিকে ২৫ তারিখ রয়েছে পরীক্ষা সময় কম। পুরো বই দুইবার তো দেখতেই হবে। কিন্তু টেবিলে বসে এতটা বিরক্ত লাগল কী বলব। কিসের পড়া বই রেখে এসে বসে কমিউনিটিতে ঢুকলাম। বেশ কিছু পোস্ট পড়লাম কমেন্ট করলাম। ঐদিকে আকাশের অবস্থা টাও ভালো না। মানে আকশটা মেঘলা। তবে এই ওয়েদার আমার বেশ ভালো লাগে। আমার ধারণা গতকালের অতিরিক্ত গরমের পর আজকের এই ঠান্ডা আবওহাওয়ার জন্য আমার শরীরের এই অবস্থা। কোনো কিছুই করতে ভালো লাগছে না। বাইরে তাকাইলাম জানালা দিয়ে। গন্ধরাজ ফুল ফুটেছে চোখে পড়ল। ভাবলাম যাই কিছু ফটোগ্রাফি করে নেওয়া যাক বেশ অনেকদিন গন্ধরাজ এর ফটোগ্রাফি করি না। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।

মধ‍্যরাতের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে গন্ধরাজ ফুলগুলো একেবারে তরতাজা হয়ে উঠেছে। যাইহোক এরপর ভাবলাম যাই বাইরে ঘুরে আসি তাহলে যদি এই ভাবটা কাটে। বাইরের ওয়েদার টাও বেশ দারুণ ছিল।।

---

---

---

---

এরপর চলে গেলাম শরীফ ভাইয়ের দোকানে। শুনেছি কফি খেলে নাকী মাইন্ড ফ্রেশ হয়ে যায়। কফি আমি খুবই কম খাই। সাধারণত শরীফ ভাইয়ের দোকানে যায় সফট ডিংঙ্কস এবং লেবু চা খাওয়ার জন্য। আজ ভাবলাম যাই কফি খেয়ে দেখি কাজ হয় কীনা। শরীফ ভাইকে বলতেই বলল অপেক্ষা কর দিচ্ছি। আমার অনেক বড় হলেও ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কারণ উনার সঙ্গে আমার খেলার আড্ডা বেশ ভালো জমে। উনি মাস্টার্স পাশ। আমি ইয়ার্কি মেরেই বলি মাস্টার্স পাশ চা দোকানদার যদিও শরীফ ভাই কিছু মনে করে না। কিছুক্ষণের মধ্যে শরীফ ভাইয়া এক কাপ ব্ল‍্যাক কফি দিল। বেশ সময় নিয়ে কফিটা শেষ করলাম। মোটামুটি ফ্রেশ লাগছিল। কফিটা খাওয়ার পর মাথাটা বেশ হালকা হয় গেল। কিছুটা শান্তি অনুভব করলাম।।

হাঁটতে হাঁটতে বাসায় আসলাম। ভাবলাম না সময় নেই এবার বই নিয়ে বসা যাক। বই নিয়ে বসে মোটামুটি ঘন্টাখানেকের বেশি পড়লাম। এরপর ভাবতে ভাবতে আবিস্কার করলাম যে আমার যখনই খারাপ লাগে আমি লেখাপড়াকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাই। মানে এটা থেকে কিছুক্ষণ দূরে থাকলে খারাপ লাগাটা কেটে যায় হি হি। আপনাদের ক্ষেএেও কী এইরকম হয়। না এটা শুধু আমার ক্ষেএেই।।।

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	আগষ্ট,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---