এমনটা যদি প্রতিদিন হতো।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের জীবনে মাঝে মাঝে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সেগুলোর আসলে কোনো ব্যাখ্যা থাকে না। সেগুলো হঠাৎই হয়ে যায়। তবে তব অনাকাঙ্খিত ঘটনা খারাপ হয় না কিছু কিছু ঘটনা আবার বেশ ভালো হয়ে থাকে। আর সেই অনাকাঙ্খিত ঘটনা যদি খাবারের বিষয় হয়ে থাকে তাহলে মজা টা বেড়ে যায়। কারণ আমরা বাঙালি খাদ্যরসিক মানুষ। যদিও আমি বেশি খাই না। আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগে এইরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ আমার বন্ধু লিখন আমাকে বেশ দারুণ চমৎকার একটা সারপ্রাইজ দেয়। যেটা আমার কাছে অনাকাঙ্খিত ছিল এবং আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমার বন্ধু লিখন আমাকে ট্রিট দিচ্ছে। যাইহোক আজ সেই মূহুর্তের কিছু কথা এবং ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।
ঘটনাটা গত রবিবারের। অন্যদিনের মতো আমি সেদিনও কলেজে গিয়েছি। ক্লাস চলাকালীন সময়ে দশটার দিকে আমার বন্ধু লিখন আমাকে ফোন করছে। বলছে ইমন তুই কোথায়। আমি বললাম আমি কলেজে আছি কেন। ও বলল আচ্ছা ঠিক আছে আর কিছু বলল না। যথারীতি আমার ক্লাস শেষ হয় ১২:৩০ টার সময়। ক্যাম্পাস থেকে বের হচ্ছি ঠিক সেই সময়ে লিখন ফোন করল বলল ইমন মেহেরজানে আয়। মেহেরজান আমাদের কুষ্টিয়ার মধ্যে বেশ ভালো একটা রেস্টুরেন্ট। এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমার কলেজ থেকে বেশি দূরে না। যাইহোক আমি লিখনকে বললাম কেন হঠাৎ মেহেরজানে কেন যাব। হঠাৎ ও বলে উঠল তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে আজ তোকে ট্রিট দিব। আমি বললাম বাহ বেশ দারুণ তো। তবে আমার কিছুটা সন্দেহ হচ্ছিল কোনো ঝামেলা নেই তো। না হলে আমার বন্ধু লিখন কোনো কারণ ছাড়া আমাকে ডেকে ট্রিট দিবে। যাইহোক আমি চলে গেলাম মেহেরজান রেস্টুরেন্টে। গিয়ে দেখি লিখন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। লিখনের সঙ্গে ভেতরে যেতেই একটু চমকে উঠলাম।
ভেতরে গিয়ে দেখি লিখনের গার্লফ্রেন্ড কথা বসে আছে। এখন অবশ্য ওকে লিখনের গার্লফ্রেন্ড না বলে বউ বলা যায়। কারণ ওদের বিয়ে পারিবারিকভাবে ঠিক। যাইহোক আমি ওকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম। যেতেই কথা বলে উঠল ভাইয়া কেমন আছেন। প্রায় বছরখানেক পর কথার সঙ্গে আমার দেখা। এরমধ্যে কথা হতো মাঝে মাঝে কিন্তু দেখা হতো না। বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম কথার সঙ্গে। কথা বলল আমরা দুজন আসছিলাম ঘুরতে ভাবলাম আপনি কুষ্টিয়ায় আছেন আপনাকে আসতে বলি। যাইহোক ততক্ষণে লিখন এবং কথার খাবার অর্ডার করা হয়ে গেছে। মেহেরজান রেস্টুরেন্ট টা কাপলদের জন্য বেশ ভালো জায়গা। এখানে বিরিয়ানি আইটেম খুব একটা নেই। আমি বললাম আগে একটা সফট ড্রিংকস নিয়ে আসেন কারণ আমার পিপাসা লেগেছিল। দেখি লিখন এবং কথা আগেই খাবার অর্ডার করেছে। ওরা ইরানী বিরিয়ানি, ফালুদা, সফট ড্রিঙ্কস অর্ডার করেছিল। এখানে ওরা বিরিয়ানি পরিবেশন করে থাকে মাটির ছোট পাএে।
এদের ইরানি বিরিয়ানি টা আমার আগে খাওয়া হয়নি। তবে ভালো ছিল। এবং বিরিয়ানির সঙ্গে একটা আমড়ার আচার ছিল যেটা অনেক টা আমসত্ব টাইপের। ঐটা আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছিল। বিরিয়ানিতে বেশ বড় একটা মুরগির মাংসের পিস ছিল। পিস টা রোস্টের সাইজের কিন্তু ঠিক রোস্ট না যাইহোক খাবার শেষ করার পর নিয়ে এলো ফালুদা। ফালুদা আমার বেশ পছন্দ তবে এদের ফালুদা টা আগে খেয়ে দেখা হয়নি। এদের ফালুদায় দেখলাম আইসক্রিম যে বেশ ভালো প্রাধান্য পেয়েছে। ফালুদা টা আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছিল। মোটামুটি খাওয়া শেষ হলো। এরপর যথারীতি লিখন বিল পরিশোধ করলো। মেহেরজান রেস্টুরেন্টে ছবি তোলার জন্য একটা জায়গা আছে। ওখান থেকে আমি ওদের কিছু কাপল পিক এবং সিঙ্গেল পিক তুলে দিলাম। যদিও আমি নিজে সেরকম কোনো ছবি উঠি নাই। এরপর তিনজন একসঙ্গে কুমারখালী ফিরে আসলাম। যখন কুমারখালীতে আসলাম ঘড়িতে তখন প্রায় ২ টা অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তবে সময় টা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ইস এইরকমভাবে যদি প্রতিদিন খাবার খেতে পারতাম হা হা। কিন্তু যা হবার না সেটা ভেবে লাভ কী বলেন।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | অক্টোবর,২০২২ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
এরকম কেউ ট্রিট দিলে ভালো তো লাগারই কথা। আপনাকে কাবাবে হাড্ডি বানানোর জন্য তারা ডেকেছে। যেই জন্যই ডাকুক আপনার খুব ভালো বিরিয়ানি এবং ফালুদা খাওয়া হয়ে গেল। আইসক্রিম ফালুদা দেখে মনে হচ্ছে আসলেই মজা হয়েছিলপ আপনার বন্ধুর এত অল্প বয়সে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে? যাই হোক শুভকামনা রইল তাদের জন্য।
আরে না আপু। ওদের রিলেশন হয়েছে বছর তিনেক। কিন্তু তার আগে থেকেই চিনতাম। আর আমি মোটেও কাবাবে হাড্ডি হয় নি হা হা।।
এ রকম ট্রিট পেতে সবারই ভালো লাগে। বন্ধুর সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খাবারের ছবি দেখেই তো আমার জিভে পানি এসে গেছে। সত্যিই হঠাৎ কেও এমন ট্রিট দিলে অনেক ভালো লাগে। কুষ্টিয়ার ভালো একটা রেস্টুরেন্টর নাম জানতে পাারলাম আপনার কাছ থেকে। এর পর কুষ্টিয়া গেলে অবশ্যই যাব এখানে।
অবশ্যই ভাই। আশাকরি এখানে গেলে নিরাশ হবেন না।। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে, পোস্টটি থেকে জানতে পারলাম আপনার বন্ধু লিখন আপনাকে হঠাৎ করে একটা সারপ্রাইজ ট্রিট দিয়ে দিলো, আসলে ট্রিট পাওয়াটা সবসময়ই একটা আনন্দের বিষয়, আর সেটা যদি হয় হঠাৎ করে তাহলে তো কোন কথাই থাকে না। আপনি লিখেছেন যে আপনাকে বিরানি দিয়েছিল মাটির একটি পাত্রে। এটা পড়ে ভালো লাগলো কারণ এটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা আইডিয়া। অনেকদিন পর আপনার বন্ধু লিখনের গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা হয়ে মনে হয় অনেক ভালই লাগছিল তাই না। হয়তো বা ভাবছিলেন এমন সময় যদি নিজের গার্লফ্রেন্ড সাথে থাকতো তাহলে কি না মজা হত। ধন্যবাদ ভাই এমন মধুর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
হাহা! খুব ভালোই আনন্দে কেটেছে যা বুঝলাম। ট্রিট পেতে কার না ভালো লাগে! তার উপর এমন হঠাৎ করে পাওয়া ট্রীটে তো খাওয়ার চাহিদাটা আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়।😃 ইরানী বিরিয়ানি যদিও আমারও খাওয়আ হয় নি। কিন্তু অনেকে বলে মান্ডির মতই খেতে নাকি।আর ফালুদা বিষয় টা ডেসার্ট হিসেবে সব সময়ই লোভনীয়।বেশ ভালোই দিন কাটলো। এই ভাবেআ বন্ধুরা বিয়ে করুক আর আপনি ট্রীট পান এই কামনা করি। 😃
হা হা আশাকরি আবার দ্রুতই ট্রিট পাব আপনার কথাটা যেন সত্যি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ট্রিট পেতে সবারই ভাল লাগে। বন্ধুর সাথে সুন্দর সময় কাটানো আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন খুব ভাল লাগলো। খাবারগুলো লোভনীয়। আর ফালুদা সব সময়ই মজার। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।।