!!!অনেকদিন পর বিকেলে ঘোরাঘুরি!!!

আমার বন্ধু বেশ অনেক আছি। বেস্ট ফ্রেন্ড যাকে বলে সেটাও আছে বেশ কয়েকজন। তবে কীনা এই বেস্ট ফ্রেন্ডদের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন বন্ধু হলো লিখন। আমাদের বন্ধুত্বের প্রায় ৭ বছর হয়ে গেছে। পুরো তিনবছর দুজন একই বেঞ্চে বসেছি একসঙ্গে সব করেছি। তবে সময়ের পরিক্রমায় আজ দুজন দুই শহরে। যাইহোক ও যখন ছুটিতে বাড়ি আসে তখনই আমরা দেখা করি ঘোরাঘুরি করি সবমিলিয়ে দারুণ কাটে আমাদের সময়। ওর সাথে অনেক বিষয়ে আমার মতভেদ হয় তবে ও খুব ক্লিনার কাট কথা বলে এটা আমার কাছে আবার দারুণ লাগে। পরীক্ষা শেষ হলো ৪ তারিখ। এরপর সেদিন দিল গত সেমিষ্টারের রেজাল্ট। সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটা ঝামেলা অতিবাহিত করলাম। লিখন কুমারখালী এসেছে মঙ্গলবার সকালের দিকে। এবং গতকাল আমরা বের হয়েছিলাম।

---

---

---

---

মোটামুটি দুজনই স‍্যোসাল মিডিয়ায় বেশ ভালো একটিভ দুজনের বেশ ভালো কথা হয়। আগে থেকেই অবশ‍্য আমাদের প্রোগ্রাম ছিল ঘুরতে যাব। সেই উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম। প্রতিবারের মতো এবারও লিখন লেট। যাইহোক এটা অনেকের স্বভাব দেরি করে আসা। যাইহোক অনেকদিন পর দুজনের দেখা হলো। বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে যাএা শুরু হলো। লিখন ওর গার্লফ্রেন্ডের বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ওর গার্লফ্রেন্ড দেখি ছাদের উপর। দুজন ফোনে কথা বলছে এবং তাকিয়ে আছে আমি শুধু দেখলাম। যাইহোক এরপর আমরা মোটামুটি শুরু করলাম আসল যাএা। প্রতিবারের মতো এবারেও চলে গেলাম গ্রামের মধ্যে সুন্দর একটি আবওহাওয়া। সবুজ গাছের ছায়া দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

---

---

---

---

এরপর লিখন বলল চল একটা দোকানে যায়। দোকানটা একটু শহর থেকে বাইরের দিকে। ওখানে নাকী খুব সুন্দর সুন্দর ফুটবলের জার্সি আছে। আমরা দুজনই ফুটবলে ব্রাজিল এবং রিয়াল মাদ্রিদের ফ‍্যান। যাইহোক ঐ দোকানে গেলাম। গিয়ে দেখি মোটামুটি জার্সির ভালো কালেকশন আছে তবে কীনা আমার পছন্দ হলো না। কারণ জার্সিগুলোর কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম বেশি। এর থেকে অনলাইনে কম মূল‍্যে পাওয়া যায়। আমি কিন্তু আমার অধিকাংশ ফুটবল জার্সি অনলাইন থেকে নিয়ে থাকি। পাশেই ছিল আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ড এর এলাকা। ও প্রায়ই আমাকে বলে দোস্ত এসে ঘুরে যাস কিন্তু যাওয়া হয় না। তাই ভাবলাম আজ বেরিয়েছি যায় একটু ঘুরে আসি। ওকে ফোন দিয়ে বললাম আমি আসতেছি এই জায়গাই আয়। ও চলে আসলো।

---

---

---

---

ওদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললাম। আর অপেক্ষা করা যাবে না এদিকে সন্ধ‍্যা হয়েও আসছে। তো ওদের বললাম আজকে যায়। যাইহোক এরপর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাএা শুরু করলাম। দেখি পথের ধারে এক জায়গা গরম গরম সিঙ্গারা এবং পিয়াজি তৈরি করছে। ভাবলাম খাওয়া যাক। সিঙ্গারার দাম টা কম ছিল এবং স্বাদটাও হা হা। দুজন বেশ কিছু সিঙারা এবং পিয়াজি নিয়ে খেলাম। পিয়াজি টা ভালো ছিল। এরপর শুরু করলাম যাএা। মোটামুটি কুমারখালী শহরের মধ্যে আসলাম সন্ধ‍্যা ৭:৩০ টার পর। আমার নিজেরও বেশ কিছু কাজ ছিল বাজারে। সেগুলো শেষ করে বাড়িতে গেলাম ৮ টার অনেক পরে। মোটামুটি বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছিলাম। বেশ দারুণ কাটে সময়। মোটামুটি ঈদের কদিন দুজন ঘোরাঘুরি করব কিন্তু তারপর আর হবে না। ঈদের পরে আবার দুজন দুজনের কাজে ব‍্যস্ত হয়ে যাব। সবমিলিয়ে বেশ কঠিন সময় কাটাচ্ছি। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	Redmi Note10 pro
সময়	জুলাই,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---