🏝দ্বারুচিনি দ্বিপ 🏝সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আমরা সবাই মোটামুটি সিনেমা দেখি। আজ আমি আমার পছন্দের একটি মুভির রিভিউ করব। ছবিটি এখন পযর্ন্ত আমি কমপক্ষে ২০ বার এর অধিক দেখেছি। এই মুভিটার নাম দ্বারুচিনি দ্বিপ। দ্বারুচিনি দ্বিপ বলতে এখানে সেন্টমার্টিন দ্বিপের কথা বলা হয়েছে। মুভিটা একদল বন্ধুর ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে নির্মিত। এই ভ্রমণে যাওয়ার সময় প্রায় সবাই সমস্যায় পড়ে। এবং সেগুলো কাটিয়ে সবাই কীভাবে ভ্রমণে যায় একসঙ্গে সেটাই এই ছবিতে দেখানো হয়েছে। চলুন শুরু করা যাক। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
-------- | ------- |
---|---|
পরিচালক | তৌকির আহমেদ |
চিএনাট্যকার | হুমায়ূন আহমেদ |
গল্প লেখক | হুমায়ুন আহমেদ |
সুরকার | এস আই টুটুল |
মুক্তি | ৩১ আগষ্ট ২০০৭ |
মুভির দৈর্ঘ্য | ১২৬ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে.
নাম | চরিএ |
---|---|
মোশারফ করিম | বল্টু |
জাকিয়া বাড়ি মুম | জোরি |
রিয়াজ | শুভ্র |
আফসানা আরা | বিন্দু |
ফজলুর রহমান বাবু | মনির |
মামুনুল হাসান ইমন | সনজু |
আবুল হায়াত | সনজুর বাবা |
আসাদুজ্জামান নূর | বিন্দুর বাবা |
আবদুল্লাহ আল মামুন | শুভ্রর বাবা |
ডলি জহুর | শুভ্রর মা |
রুমানা মালিক মুনমুন | মুনা |
অন্যান্য | আরো অনেকে। |
মুভির কাহিনী সংক্ষেপ:
মুভিটা শুরু হয় একদল বন্ধুর কলেজ থেকে। তারা সবাই ঘুরতে যাবে। কিন্তু কোথায় যাবে? বল্টু বলে দ্বারুচিনি দ্বিপ যাব। দ্বারুচিনি দ্বিপ বলতে এখানে সেন্টমার্টিন দ্বিপের কথা বলা হয়েছে। এখানে ৬ ছেলে এবং বাকি চারজন মেয়ে। প্রথমে ছেলেরা মেয়েদের ঘুরতে নিতে অস্বীকার করলেও পরে তা নিতে রাজি হয়। বন্ধুরা সবাই ঘুরতে যাবে আর তাদের একটি গান থাকবেনা তা কী করে হয়। গানটি লেখা এবং সুর করার দায়িত্ব পড়ে বল্টুর উপর। যথারীতি গান তৈরি হয়ে যায়। গানটি ছিল এইরকম,
যাব...ও..যাব..ও...যাব ও
যাব যাব যাব যাব যাব
সাগরের নীল জলে
ডিগবাজি খাব।
লাফালাফি ঝাফাঝাফি নৃত্য।
আমরা আমরা সমুদ্রের ভৃত্য।
কিন্তু গানটা অনেকেরই পছন্দ হয় না। কিন্তু এক পর্যায়ে সবাই বাধ্য হয়ে গানটা মেনে নেয়। এটাই হবে আমাদের ভ্রমণের গান। কিন্তু ভ্রমণে যাওয়ার আগে সবাই ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় পড়ে যায়।
শুভ্রর সমস্যা: শুব্রর বাবা অনেক বড় মন্ত্রীগোছের একজন লোক। সে এই রকম ছেলেদের সাথে তার ছেলের মেলামেশা পছন্দ করে না। কিন্তু শুভ্র ছিল খুবই শান্ত স্বভাবের এবং উদার মনের ছেলে। এবং সে নিজের অনেক কাজ করতে পারে না এজন্য তার বাবা তাকে ট্যুরে যেতে দেবে না। অনেক অনুরোধের পর শুভ্রর বাবা শুভ্রকে ঘুরতে যেতে রাজি হয়।
জোরির সমস্যা: জোরি খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে। তার বাবা প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। সে এবং তার পরিবার তার চাচার বাসায় থাকে। তার চাচা তার বিয়ে একজনের সাথে ঠিক করে। ছেলেটা ব্যবসায়ী টাকা পয়সা ভালোই আছে। কিন্তু ছেলেটা খুব হারামি। তার বর হলো মনির। সে জোরি কে ঘুরতে যেতে দেবে না। এরই মধ্যে জোরির বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যায়। যেদিন সবাই যাবে সেদিনই জোরির বিয়ে। জোরি কী যেতে পারবে? এটা শেষে বলব।
বল্টুর সমস্যা : বল্টু ছেলেটা ঢাকা শহরে খুব কষ্ট করে কোনোরকম টিউশনি করে লেখাপড়া করে থাকে। বল্টুর ভালো নাম অনল। কিন্তু ওই নামে কেউ ডাকে না। বল্টু ঘুরতে যাওয়ার জন্য সে যে জায়গাই টিউশনি করে তার মধ্যে এক জায়গা থেকে ৩ মাস টাকা নেয়নি। কারণ সে সেখান থেকে টাকা গুলো নিয়ে ঘুরতে যাবে। ঘুরতে যাওয়ার আগের দিন বল্টু টাকা আনতে গিয়ে দেখে তারা বাড়ি নেই। কবে আসবে তার ঠিক নেই। বল্টু এখন টাকা কোথায় পাবে। তার আর যাওয়া হয়তো হবে না।
সনজুর সমস্যা : সনজুর বাবা একজন মধ্যম মানের বেসরকারী অফিসের কর্মচারী। কোনোরকম সংসার চালায়। সনজুর মা সনজুর বাবাকে বললে তার বাবা কষ্ট করে টাকা টা যোগাড় করে দেয়। কিন্তু সনজুর বোন টাকাটা চুরি করে নিয়ে বল্টুকে কিছু শার্ট প্যান্ট কিনে দেয়। কারণ সে বল্টুকে ভালোবাসে। যাওয়ার আগের দিন দেখতে পাই টাকা নেয়। এরপর সনজুর বাবা টাকাটা আবার যোগার করে দেয় যে তুই ঘুরতে যা।
ঘুরতে যাওয়ার দিন সবাই ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলে এসেছে। কিন্তু রিয়াজ বাসা থেকে রিক্সায় রওনা দেয়। এবং রিক্সাটা পথে এক্সিডেন্ট করে এবং শুভ্রর চশমাটা ভেঙ্গে যায়। শুভ্র চশমা ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না। এই সময় সে হতাশ হয়ে রাস্তার পাশে বসে রয়েছে। এমন সময় জোরি আসে। জোরি বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে। জোরি বলে তুমি এখানে। তারপর জোরি শুভ্রর ব্যাগ থেকে আরেকটি চশমা বের করে পড়িয়ে দেয়। এরপর তারাও স্টেশনে চলে যায়। এখন বাকি শুধু বল্টু। সে কী যাবে? কিন্তু টাকা পাবে কোথায়।
এরপর ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগ মূহুর্তে। সবাই ট্রেনে উঠে পড়ে এমন সময় বল্টু আসে স্টেশনে। সনজুর বাবা জিজ্ঞেস করে তুমি যাবে না। বল্টু বলে আসলে চাচা আমি টাকাটা যোগাড় করতে পারিনা তো তাই আমি যাব না। এর সাথে সাথে সনজুর বাবা পকেট থেকে টাকা বের করে বল্টুর হাতে দেয় বলে যাও। ট্রেন দিয়েছে ছেড়ে। বল্টু দৌড় দেয়। এবং সে ট্রেনে উঠে পড়ে। এই পর্যন্তই ছবিটি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই মুভিটা আমি অনেক আগে দেখেছিলাম বন্ধু ও ভাই ব্রাদারের একসাথে বসে। মুভিটা অনেক ভালো লেগেছিল তারপর থেকেই ভ্রমণের ইচ্ছা জাগে আর ইচ্ছা আছে দারুচিনির দ্বীপ অর্থাৎ সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপে যাওয়া। মুভি রিভিউ দেখে সিনেমার কাহিনী টা আবার মনে পড়ে গেল।
আপনি অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই। সিনেমা টা ভালো সত্যি খুবই ভালো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
পুরো মুভিটা আমার বুঝা শেষ। মুভির কাহিনীটি বেশ লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে রিভিউ টি ব্যাখ্যা করার জন্য।
মুভিটা দেখবেন আরও ভালো লাগবে আপু। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।
এই মুভিটি আমি অনেক আগে দেখেছি, এবং কয়েকবার দেখেছি। সত্যি অসাধারণ একটি মুভি। প্রত্যেক অভিনেতার অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মুভিটি রিভিউ দিয়েছেন, আপনার মুভি রিভিউ পোস্ট উপস্থাপন অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
এই মুভিটি আরো অনেক বছর আগে দেখেছি। সত্যিই অসাধারণ একটি মুভি এটি বিশেষ করে লাক্স ফটো সুন্দরীদের কে দিয়ে এই মুভিটি করা হয়েছে তাই সেই সময় এই মুভিটি অনেক জনপ্রিয় একটি মুভি ছিল। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউটি দিয়েছেন যারা এই মুভি দেখেনি আমি মনে করি তারা আপনার এই রিভিউ পড়ার পর মুভিটি দেখার জন্য উৎসাহিত হবে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
"দারুচিনি দ্বীপ" মুভিটি এর আগে আমি কখনও দেখিনি, আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ে মুভিটির কাহিনী অনেক ভালো লেগেছে, অবশ্যই এই মুভিটি আমি দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। এটা অনেক ভালো একটি মুভি সময় হলে দেখে নিবেন।।
ধন্যবাদ ভাই, অবশ্যই
দারুচিনি দ্বীপ মুভিটা আমি অনেক আগেই দেখেছি ভুলে গিয়েছিলাম কাহিনীটা আপনার রিভিউটা দেখে আবার পুরোপুরি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। নতুন হিসেবে মম এই মুভিতে দারুন অভিনয় করেছিল। মুভির গানগুলো অসাধারণ ছিল ।হুমায়ূন আহমেদের মুভি বলে কথা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মুভির রিভিউ দেয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু হুমায়ুন আহমেদ মানেই অন্যরকম কিছু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
দারুচিনি দ্বীপ মুভিটা অনেক পুরানো। আমি অনেক আগে এই মুভিটা একবার দেখেছিলাম মনে হয়। মুভিটা অনেক ভালো লেগেছিলো। আপনি রিভিউটা ভালো দিয়েছেন।
😊। ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা মুভি করেছেন। তবে নামটি শুনেছি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক আগ্রহ প্লান মুভিটি দেখে আসার জন্য। মুভিটির মধ্যে অনেক সুন্দর কাহিনী বিরাজমান। কখনো সময় পেলে দেখে নিব মুভিটি।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
মুভিতে দেখেছি অনেক দেরি হচ্ছে আমার খুবই ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা মানেই দারুন কিছু আর হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র মানে তো আরো সুপারহিট। অনেক বছর আগে প্রত্যেক ঈদে হুমায়ূন আহমেদের একটা করে নাটক বের হতো যা আমি কোনদিনও মিস করতাম না। তবে আজকাল খুব মিস করি কারণ তিনি নেই তাই নাটক নেই। অনেক ভালো লাগলো আমার পছন্দের একটি মুভি রিভিউ দেখে।
আমিও অনেক মিস করি হুমায়ুন আহমেদ কে। ইসস আমাদের একজন হুমায়ুন আহমেদ ছিল😞। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আমার পছন্দের মুভি গুলোর মধ্যে সব থেকে সেরা একটি সিনেমা এটি।অনেক দারুন ভাবে রিভিউ করেছো মুভিটী আমি অনেকবার দেখেছি এটা আমার কাছে কখুনো পুরাতন হইনা।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।