কুষ্টিয়া -হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতু ভ্রমণ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

প্রথমে একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। ঘটনা টা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের। আমি তখন প্রথম সেমিষ্টারে পড়ি। হঠাৎ একদিন আমার চাচাতো ভাই রোহান আমাকে বলছে ইমন হরিপুর ব্রীজে গেছিস। জবাবে আমি বললাম না। রোহান ভাইয়া আমার সাথে আবার ফ্রেন্ডলি। ও বলে উঠে না জানি কুষ্টিয়া নতুন ভর্তি হয়েছিস পুরো কুষ্টিয়া ঘুরে দেখবি না তুই শুধু কলেজে যাস আর আসিস। তোর দ্বারা কিছু হবে না। যাইহোক সেদিন আমার মন খারাপ হয়েছিল। এরপর চলে আসলো করোনা কুষ্টিয়া যাওয়া কমিয়ে দিলাম। দীর্ঘ ২ বছর পর এই গতকাল আমার কুষ্টিয়া হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতু তে যাওয়ার সৌভাগ্য হলো। যদিও আমি একটা কাজে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ করে বেশ ঘন্টা খানেক সময় পেলাম। তাই ভাবলাম যাই ঘুরে আসি।

---

---

---

w3w

---

এই সেতুটার নাম কুষ্টিয়া হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতু। এই সেতুটা কুষ্টিয়া এর পাশ দিয়ে বহমান গড়াই নদীর উপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এবং এটা বেশিদিন আগে তৈরি করাও হয়নি। এটা একেবারে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত। এবং বেশ ভালো একটা পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন বিকেল তো বটেই ছুটির দিনে এখানে অসংখ্য মানুষের ভীড় হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দম্পতি ও প্রেমিক প্রেমিকা আমার মতো সিঙ্গেল রা কমই যায় হাহাহা।। যাইহোক আমি গেছিলাম বিকেলের দিকে। এবং যেহেতু শুক্রবার ছিল এখানে অসংখ্য লোকের সমাগম হয়েছিল। অনেকেই আবার সেতুর উপর টিকটক করতে লেগে গেছে।

---

---

---

w3w

---

এই সেতুর একপাশে কুষ্টিয়া পৌরসভা এবং ঐ পাশে হরিপুর। হরিপুর কুষ্টিয়ার মধ্যে বেশ নামকরা একটি অঞ্চল। হরিপুরে আমার বেশ কয়েকজন বন্ধ আছে। আমার একা একা ভালো লাগছিল না।তাই আমার এক বন্ধু সাগর কে ফোন দিলাম। বললাম তুমি কোথায়। বলল কেন। আমি বললাম তোমাদের হরিপুর সেতুতে ঘুরতে এসেছি। জবাবে সাগর বলল তুমি আমার কাছে আগে বলবা না আমি তো এক জায়গা ঘুরতে এসেছি দুপুরে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে ব‍্যাপার না। রবিবার কলেজে আসো কথা হবে। এরপর ফোন রেখে দেয়। এরপর দেখলাম সেতুর উপরের থেকে নিচে বেশি লোক। তাই আমিও নিচে গেলাম।

---

---

---

w3w

---

নিচে যেতে বেশ অনেকটা হাটতে হয়েছে। কারণ একেবারে সেতুর শুরুতে গিয়ে নিচের রাস্তা দিয়ে নদীর ধারে যাওয়া লাগছে। যাইহোক আগেই বলেছি যেহেতু শুক্রবার ছিল এখানে অসংখ্য লোকের সমাগম হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। যেহেতু আমি একা ছিলাম সাথে কোনো বন্ধু ছিল না নিজেকে কেমন যেন লাগছিল। এরপর ঘোরাফেরা করতে করতে একেবারে সন্ধ‍্যা লেগে গেল। পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়েছে। এরপর দেখি তিনজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ক‍্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতেছে। যাইহোক এরপর লোকজন আস্তে আস্তে কমতে থাকে। আমি নিজেও চলে আসি। এভাবেই আমার প্রথমবার হরিপুর সেতু ভ্রমণ শেষ হয়। এবং আমার চাচাতো ভাই রোহানের বলা কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---