🌾🌾মৌসুম শুরু হয়ে গেছে🌾🌾। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় সিজেন বা মৌসুম থাকে। আমি ছোট থেকেই গ্রামে থাকি। ছোট থেকেই দেখছি আমাদের গ্রামে শীতের এই সময়টা ধান রোপণের মৌসুম। ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল। এই সময়টাতে ধান রোপন করলে সেটা মার্চ এপ্রিল মাসের দিকে কাটা হবে। অর্থাৎ ধানের মৌসুম শেষ হবে। এভাবেই চলতে থাকে। কিছুদিন ধরেই খেয়াল করছি আমার বাড়ির পাশের মাঠে ধান লাগানোর তোড়জোড় চলছে। তাই উৎসাহের বসে আমি নিজেও চলে যায় মাঠে।গিয়ে এই সম্পূর্ণ প্রসেস টা আমি দেখি। যদিও আমি আগে থেকেই সব জানি তবুও আমার ভালো লাগে। চলুন এই ধান লাগানোর মৌসুমের কার্যক্রম গুলো ধাপে ধাপে দেখে আসি।
ধান রোপণের এই মৌসুমের শুরু হয়ে মূলত জমি পরিষ্কার করার মাধ্যমে। জমি পরিষ্কার করা হয়ে গেলে এবার পালা আসে জমিতে পানি দেওয়ার। অর্থাৎ জমিটাকে পানি দিয়ে মাটি ভেজাতে হয় চাষ দেওয়ার জন্য। এবং এই পানি একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে দেওেয়া হয়। একটি মাঠে একটি বা দুইটি সেচ প্রকল্প থাকে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য। আমাদের এখানে আছে একটা। ওখান থেকে বিদ্যুৎ এর সাহায্যে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হয়। এরপর ড্রেন এর মাধ্যমে সেগুলোকে প্রতিটা জমিতে পাঠানো হয়। এই কাজটা ধান না পাকা পর্যন্ত চলতে থাকে। এই পানিতে ছোটকালে অনেক খেলেছি। বেশ মজাই পেতাম। কিন্তু এখন আর মাঠে যাওয়ারই সময় পাই না।
জমিতে পানি দেওয়া হয়ে গেলে এরপর আসে জমি চাষ দেওয়ার পালা। আমাদের দিকে জমি চাষ দেওয়ার জন্য পাওয়ার ট্রিলার ব্যবহার করা হয়। এবং যে ব্যক্তি এই কাজ পাই পুরো মাঠের সব জমি চাষ ঐ একজনই দেয়। এটা বেশ কষ্টকর একটি কাজ কারণ কাদার মধ্যে করতে হয় তো এজন্য দুইজন লোকের প্রয়োজন হয়। এই মৌসুমে এদের প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ পযর্ন্ত কাজ করতে হয়। কারণ সময় খুবই কম থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সবার জমি চাষ দিতে হয়। যাইহোক জমি চাষ দেওয়ার পর সেই জমি আবার পরিষ্কার করতে হয়। এরপর পুরো জমিকে সমতল করতে হয় একটি বিশেষ পদ্ধতিতে। এরপর সার দিলেই জমি প্রস্তুত হয়ে যায় ধান রোপনের জন্য।
এরপর সময় আসে ধানের চারা সংগ্রহ করার। আমাদের এলাকার সব কৃষক নিজের বীজতলা নিজেরাই তৈরি করে এবং নিজেরাই চারা দেন। এই পদ্ধতি শত বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। ধানের চারা জমিতে রোপনের আগে বীজতলা থেকে তুলে আনা হয়। এই কাজ ধান রোপনের জন্য যারা দায়িত্ব পাই তারাই করে থাকে। এরপর সেই চারা থেকে মাটি ধুয়ে দূর করতে হয়। এরপর সেই চারা রোপনের উপযোগী হয়। এরপর এই চারা ঐ ধানের জমি পর্যন্ত ঐ কৃষকরাই নিয়ে যায়।
এরপর আসে আসল কাজের সময়। শুরু হয় জমিতে ধান রোপন। এই ধান রোপন যারা করে থাকে তারা কিন্তু কৃষক না আবার অনেকে কৃষক। তারা মূলত এই ধান লাগানোর সিজেনেই এই কাজ করে থাকে। ধান লাগানোর জন্য বিভিন্ন দল গড়ে উঠে। যাইহোক প্রত্যকেটা দলে ৫ থেকে ৬ জন্য থাকে। এবং যে কজন একগ্রুপে থাকে তারা সবাই এই সিজেনে একসঙ্গে কাজ করে। এরা দুইধরনের পারিশ্রমিক পদ্ধতিতে ধান লাগিয়ে থাকে। প্রথমত চুক্তি। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ জমির জন্য নির্দিষ্ট একটা অর্থ নেয়। এবং সেটা যতজন ইচ্ছা নিয়ে এক বা দুই দিনের মধ্যে তারা কাজটা সম্পন্ন করে। আরেকটা পদ্ধতি হচ্ছে মজুরি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সকাল ৭ টা থেকে ৩ বা ৪ টা পযর্ন্ত কাজ করা লাগে। মাঝে খাওয়ার জন্য বিশ্রামের জন্য সময় দেওয়া হয়। এদের মজুরি আমাদের দিকে ৫৫০-৬০০ টাকা এর মতো। এবং যত শীত বাতাসই হোক না কেন এরা কাজ করেই থাকে। এই যে গতকাল সারাদিন যে শীত এবং যে বাতাস এর মধ্যেই তারা কাজ করে গেছে। এভাবেই শেষ হয় ধান লাগানোর মৌসুম।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গ্রাম্য পরিবেশ আমার খুব ভালো লাগে কারণ আমি গ্রামকে ভালোবাসি,আমাদের এলাকায় এখন ধান কাটে আর আপনাদের এলাকায় আবার বীজ রোপন করে।
বীজ রোপন করা ছবি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগল আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাহ ভাইয়া আপনি শীতকালীন মৌসুমটি আমাদের সামনে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তবে আমাদের এই দিকে এখনো ধান রোপন করা কাজটি শুরু হয় নেই। তবে আপনাদের ওইদিকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া আমাদের সামনে এত সুন্দর জিনিস উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,, ❤️❤️
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান।
ধান লাগানোর অনেকগুলো প্রক্রিয়ার সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো ।সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।