!! কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান এবং নবীন বরণ উপভোগ!! ১০% 🦊🦊 এর জন্য।

একবার ভেবে দেখুন এক দরজা দিয়ে হচ্ছে বরণ অন্য দরজা দিয়ে বিদায় তাহলে বিষয়টি কেমন দেখায়। আসলে দুনিয়াটাই এইরকম। পৃথিবী টা যেন আগমন আর বিদায় এর মধ‍্যেই নিহিত। আমাদের কলেজে প্রতিবছর নতুন শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং বিদায় অনুষ্টান জাকজমকভাবে পালন করা হয়। তবে করোনার জন্য অন্য সব কাজের মতো এই কাজেও ব‍্যাঘাত ঘটেছিল বিগত কয়েক বছর। তবে এবারে আমাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের ইলেকট্রিক‍্যাল টেকনোলজির বিদায় হয়েছে অনেক জাকজমকপূর্ণভাবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে কন্ট্রিবিউট করা লেগেছে। যাইহোক সেটা কোনো ব‍্যাপার না। গতকাল ৭ তারিখ মঙ্গলবার ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং বিদায়ী ভাইদের আপুদের বিদায় দেওয়ার দিন। দিন টাতে আমাদের কলেজের অডিটোরিয়াম একটা অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। আমরা সব বন্ধু আগেই ঠিক করেছিলাম আমরা সবাই যাব পাঞ্জাবি পড়ে। যাইহোক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ টাই কিন্তু সেই অনুষ্ঠান শুরু হলো বেলা ১১:৩০ টাই।

---

---

---

w3w

---

আমি এবং আমার বন্ধু নাভিদ কলেজে প্রবেশ করি ১০ টার সময়। যাইহোক এরপর শুরু অন‍্যদের আগমণ। সব বন্ধুরা মিলে অনুষ্ঠানের জায়গাই যায়। অনুষ্ঠান টা দুইভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে স‍্যারদের সামান্য বক্তব্য নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা এবং বিদায়ী ভাই বোনদের স্কেচ প্রদান করা। এবং দ্বিতীয় ভাগে থাকবে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। অনেকক্ষণ অপেক্ষার প্রহরের পর প্রথম পর্ব শুরু হয়। প্রথমে পবিএ কোরআন থেকে তেলাওয়াত এরপর পবিএ গীতা থেকে পাঠ এরপর আমরা চট্টগ্রামে ডিপোতে আগুনে আহত এবং নিহতদের জন্য ৩০ সেকেন্ড নিরাবতা পালন করি। এরপর শুরু হয় প্রথম পর্বের বাকি কার্যক্রম গুলো। এরপর একজন বিদায়ী ভাই এবং নবীন শিক্ষার্থী তাদের সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। এরপর কয়েকজন স‍্যার তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুর ১২:৩০ টার সময়। এরপর খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। খাবারের তালিকায় ছিল খাসির মাংসের বিরিয়ানি।

---

---

---

w3w

---

কিন্তু খাবার না নিয়ে প্রথমে সবাই বাইরে আড্ডা দিলাম অনেকক্ষণ একসঙ্গে ছবি উঠলাম। দারুণ কাটছিল সময় টা। এরপর ভীড় কমলে আমরা যায় খাবার নিতে। খাবার নিয়ে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু আমার বন্ধু শাহিনের রুমে যায়। শাহিন কলেজের ছাএাবাসে থাকে। ওখানে আমরা কয়েকজন বন্ধু বসে দুপুরের খাবার খাই। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় ২:৩০ টার সময়। প্রথমে গান পরিবেশন করতে আসে ব‍্যান্ড চন্দ্র। তাদের প্রথম গান সেই তুমি(আইয়ুব বাচ্চু)। এরপরে তারা গাই সর্বকালের প্রেমের সেরা একটা গান সঙ্গী। এরপর ব‍্যান্ড চন্দ্র দুপুরের খাবারের বিরতি নেয়। তখন আমাদের ইলেকট্রিক‍্যালের বিভিন্ন সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আসে। এরমধ্যে কারো নাচ কারো কৌতুক কারো বা গান। আমরা দারুণ উপভোগ করছিলাম।

---

---

---

w3w

---

এরপর আবার গান নিয়ে আসে ব‍্যান্ড চন্দ্র। এবার প্রথমে তারা গাই প্রেম আমার গানটা। এই গানটা আমার অনেক পছন্দের। আমরা সবাই দাড়িয়ে গাওয়া শুরু করে দেয়। এরপর গাই চুমকি চলেছে একা পথে এই গানটাও বেশ উপভোগ করে সবাই। এরপর গাই আমাদের দেশের স্বনামধন্য শিল্পী জেমসের পাগলা হাওয়া। এই গান শুরু হওয়াতে আমার সব বন্ধুরা ড‍্যান্স শুরু করে দেয়। আমিও ওদের সাথে একটু যোগ দেয়। এরপর আমাদের কলেজের সপ্তাম সেমিষ্টারের এক বড় ভাই আসে জেমসের বাংলাদেশ গানটা নিয়ে। এই গানটা আমার অনেক পছন্দের। গানটা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সবাই দাড়িয়ে গেল। এবং গলা মেলানো শুরু করল। আহ কী সেই মূহুর্ত। এরপর চন্দ্র ব‍্যান্ড এর অন্য একজন শিল্পী আসে তাদের গান নিয়ে। এবার তিনি সুন্দর সুন্দর অনেক গুলো গান পরিবেশন করেন। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান টা একেবারে জমে গেছে। এবং শেষ পর্যায়ে ড‍্যান্স নিয়ে হাজির হয় আমাদের ক্লাস ফ্রেন্ড তূর্য এবং রায়হান। ওদের নাচটা শেষ হলে মোটামুটি অনুষ্ঠান শেষের দিকে চলে আসে। তাই আমরা আর দেরী করিনি। ঐ ৫ টার দিকে অনুষ্ঠান টা শুরু হয়। এরপর অবশ‍্য আমার সাথে দারুণ একটা স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে। সেটা আজ বলব না। পরে একদিন বলব। সবাই ভালো থাকবেন।।

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	মে,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---