বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ভ্রমণ : পর্ব ১। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমার শখ কী। আমি বলব ভ্রমণ। কারণ ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করার ফলে একজন মানুষ মন মানসিকতার পরিবর্তন হয়। যাইহোক গত সপ্তাহ থেকে আমার মিড টার্ম পরীক্ষা ছিল। বেশ চাপে ছিলাম। কারণ করোনাতে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমার বাংলা ব্লগেও সময় টা ঠিকমতো দেয়নি। আবার শনিবার থেকে আমাদের ক্লাস শুরু তাই ভাবলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসা যাক। আমার বন্ধু নাভিদকে বললাম। এরপর ঠিক হলো আমরা যাব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এটা আমাদের থানার আওতাধীন। এই আমাদের বাসা থেকে ৪০ মিনিট লাগে। শুক্রবার দুপুরে খাওয়া করে আমি এবং নাভিদ বের হয়ে গেলাম।

---

---

---

W3W

---

আমাদের কথা ঠিক হলো কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে দেখা করব। এরপর সেখান থেকে দুজন একসঙ্গে যাব। ভারত ও বাংলাদেশের গর্ব অর্থাৎ বাঙালিদের গর্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে অনেক সময় কাটিয়েছেন। তিনি এখানে বসে অনেক বিখ‍্যাত কবিতা বই গল্প লিখেছেন। এবং তার নোবেলজয়ী কাব‍্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলী এই শিলাইদহে অবস্থানরত অবস্থায় উনি লিখেছেন। উনার স্মরণে ভারত বাংলাদেশের যৌথ উদ‍্যোগে এটা এখানে গড়ে উঠেছে। এবং এখানে এখন প্রতিদিন শতশত লোক ঘুরতে আছে। প্রতিবছর এই সময়ে এটা শিক্ষা সফরের জায়গা হয়ে যায়। কুমারখালী থেকে আমরা চলে গেলাম আলাউদ্দিন নগর। এখান থেকে যাব শিলাইদহ। আমরা গিয়েছিলাম ইজিবাইকে। এই ১০+২০ =৩০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে।

---

---

---

w3w

---

এটা আগে অবশ্য এইরকম ছিল না। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ‍্যোগে কুঠিবাড়ির ব‍্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবং কলকাতা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব‍্যবহৃত অনেক সামগ্রী পেইন্টিং এখানে হস্তান্তর করা হয়েছে। আপনাকে যেকোনো গাড়ি মূল সড়কে নামিয়ে দেবে। কারণ ওগুলো কতৃপক্ষ ভেতরে ঢুকতে দেয় না। মেইন সড়ক থেকে সরাসরি একটি রাস্তা চলে এসেছে। আজ শুক্রবার হওয়াই অসংখ্য লোক এসেছে এখানে ঘুরতে। সেজন্য অন‍্যান‍্য দিনের তুলনায় আজ ভীড়টাও অনেক বেশি। যাইহোক বেশি কথা বলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। যথারীতি টিকিট কাউন্টার সামনে পড়ল। টিকিটের মূল্য অবশ্য বেশি না মাএ ২০ টাকা।

---

---

---

w3w

---

একটা মজার ঘটনা। আজ শুক্রবার হওয়াই নাভিদ আমাকে বলে দুজন পাঞ্জাবি পড়ে যাব তাহলে একটা ভাব আসবে। আমিও ওর কথাই রাজি হয়ে যায়।যাইহোক নাভিদ টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেটে নিয়ে আসে। এটা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা করছে। এরপর আমরা ভেতরে গেলাম। সুন্দর সরু রাস্তা এবং রাস্তার দুপাশ দিয়ে ফুলের বাগান একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশ। মানে পরিবেশটা দেখলে যেকোন মানুষের মনে কবিতা চলে আসবে। এবং চারিদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ভেতরে মোটামুটি বেশ লোক থাকাই আমরা ঠিক করি আগে বাইরেটা ঘুরে দেখব। এরপর ভীড় কমলে ভেতরে যাব.......

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---