🇧🇩বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন🇧🇩। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এবং উষ্ণ অভ‍্যর্থনা। গতকাল ১৬ ই ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশের ৫০ তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে ৭০ হাজার পাকিস্তানি সামরিক সৈন্য আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে এবং একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা লাভ করে বাংলাদেশ। এর আগে অবশ‍্য দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় যেখানে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয় । ১৯৭১ সালের ৬ ই ডিসেম্বর ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। গতকালের দিনটা আমি একটু অন‍্যভাবে অতিবাহিত করি। সেগুলো এখন পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সবাই সাথেই থাকবেন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

---

---

---

w3w

---

আগেরদিন অর্থাৎ ১৫ ই ডিসেম্বর রাতে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন, ইকরা এবং নাভিদ পরিকল্পনা করি আগামীকাল আমরা ঘুরব। আমাদের শহর কুমারখালীতে বেশ জাকজমকপূর্ণ ভাবে স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস পালন করা হয়। যথারীতি আমি সকাল ৬:৩০ টা এর সময় ঘুম থেকে উঠি। এরপর ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে বেশ। সকালে বেশ ঠান্ডা ছিল। এরপর আমাদের বাড়ির পাশে হাইওয়ের ধারের দোকান থেকে সকালের নাস্তা করি পরোটা এবং ডিম ভাজি। এরপর যথারীতি আমার অন‍্যান‍্য বন্ধুদের ফোন দেয়। অন‍্যদিনের মতো আজকেও সবাই দেরী করে আমি ছাড়া। সবসময়ই এরকম টা হয়। কারণ আমার বন্ধুদের মধ্যে আমি সবচাইতে ভালো টাইম মেইনটেইন করি। যাইহোক এরপর আমরা সবাই চলে যাই কুমারখালী বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে। বর্তমানে এখানে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফুল দেওয়া হয়েছে।

---

---

---

w3w

---

এটা কয়েকবছর আগে স্থাপিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। এখানে সর্বপ্রথম উক্ত থানার সংসদ সদস্য এরপর একে একে অন্য নেতাকর্মীরা এবং তারপর সকল স্কুল কলেজ থেকে ফুলের তোড়া অর্পন করা হয়। এখানে আমরা এসে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করি। এরপর চলে যায় আমি যে মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ে লেখাপড়া করি সেখানে। কারণ বিজয় দিবসে আসল অনুষ্ঠান হয় সেখানে।

---

---

---

w3w

---

আমরা মূলত কুমারখালী বাজারের মধ্যে দিয়ে যায়। কুমারখালী বাজারের প্রত‍্যেকটা দোকানে পতাকা টানানো হয়েছে। এবং লাল সবুজ লাইটিং করা হয়েছে। দেখে একেবারে অসাধারণ লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ যেন নতুন স্বাধীন হয়েছে। এইরকম দেখতে কার না ভালো লাগে। সত্যি আজকের দিনের অনুভূতি টা অসাধারণ ছিল।

---

---

---

w3w

---

বেশ অনেকদিন পর আবার সেই পছন্দের প্রাণের বিদ‍্যালয়ে আসলাম। আমি যেই ৫ বছর এখানে লেখাপড়া করেছি বিজয় দিবস স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহণ করতাম। আহ কী সুন্দর সময় ছিল। এসব কাজে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল কুমারখালী সরকারি বালিকা বিদ‍্যালয়। যদিও আমাদের ধারে কাছে ওরা থাকত না। প্রথমে স্কুলে যেতেই আমার পছন্দের স‍্যার মোস্তাফিজুর রহমান উচ্চস্বরে ডাক দেয় ইমন এদিকে আসো। গিয়ে স‍্যারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলি। এরপর অন‍্যান‍্য স‍্যার ম‍্যামদের সাথেও কথা বলি।

---

---

---

w3w

---

এরপর আমি এবং আমার বাকি বন্ধুরা মাঠের মধ্যে গিয়ে ঘোরাফেরা করি। আসল অনুষ্ঠান তখনও শুরু হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য শুরু হবে। আমাদের কুমারখালী এম এন স্কুলের মাঠটা অনেক বড়। এখানে সব বিদ‍্যালয় র‍্যালি করে এসে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এবং অনেকে চারিদিকে ঘোরাফেরা করছে। এরপর শুরু হয় আসল অনুষ্ঠান। প্রথমে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এরপর হয় পবিত্র গীতা থেকে পাঠ। এরপর জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। সেই সাথে পতাকা উওোলন করে কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান। যাইহোক এরপর ইউএনও এবং বাকি সব নেতারা ভাষণ দেয়া শেষ হলে শুরু হয় আসল অনুষ্ঠান।

---

---

---

w3w

---

প্রথমে কুমারখালী থানার পুলিশদের পিটি প‍্যারাড এরপর করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর শুরু হয় প্রাইমারি স্কুলের পিটি প‍্যারেড। একে একে ড্রামের তালে তালে সব প্রাইমারি স্কুল অংশগ্রহণ করে। এরপর শুরু হয় মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের পিটি প‍্যারেড। এখানেও সব মাধ্যমিক বিদ‍্যালয় অংশগ্রহণ করে। তবে করোনা সংক্রমণের ভয়ে আমার মানুষের ভীড়ে যায়নি। দুর থেকেই এগুলো উপভোগ করেছি। এরপর হয় প্রাইমারি স্কুলের শারীরিক কসরত। সবাই নানারকম সুন্দর সুন্দর থিম দিয়ে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে বিজয় দিবসে। এরপর মাধ্যমিক বিদ‍্যালয় সমূহের শারীরিক কসরত এর পালা। এদেরটা আরও ভালো। মোটামুটি সব প্রোগ্রাম শেষ। এখন শুধু এগুলোর রেজাল্ট দিবে। সময় তখন ১০:৩০ টা বাজে। আমরা আর এখানে অবস্থান করি নাই। এরপর সবাই বাড়ি ফিরে আসি। সময়টুকু বেশ উপভোগ করেছি আমরা সবাই।

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---