প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কেমন আছেন সবাই। আশাকরি সবাই ভালো
আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। শারীরিক সুস্থতার চেয়েও আমাদের বেশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতার। এখন মানুষ মানসিকভাবেই বেশি অসুস্থ। সেজন্যই ভালো না লাগা একটা রোগ আমাদের পেয়ে বসেছে। আর এই ভালো না লাগা রোগ কাটানোর জন্য সুন্দর প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি সময় সুযোগ পেলেই চলে যায় কোথাও ঘুরতে। এবং সেখানে গিয়ে ছবি তুলি ভিডিও করি। আজ সেইরকমই কয়েকটি ভিডিও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।
গতকাল আমি একটা পোস্ট করেছিলাম যেটার শিরোনাম ছিল প্রকৃতির টানে আবার সেখানে। অনেকদিন পর আমি এবং আমার বন্ধু লিখন একটা হ্রদ বা লেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। জায়গা টা আমার বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। সেখানে গিয়ে ঐ হ্রদের বেশ কয়েকটা ভিডিও ধারণ করি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। সত্যি বলতে ভিডিও টা দেখলে আপনারা ঐ জায়গার আসল মাহাত্ম্য টা বুঝতে পারবেন। কেন আমি জায়গা টার প্রশংসা করছি সেটাও বুঝতে পারবেন। ভিডিও টার ব্যাকগ্রাউন্ডে আমি আমার অনেক পছন্দের একটা গান ব্যবহার করেছি। গানটা অর্নব এবং শ্রাবন্তী এর গাওয়া। গানটা হলো কেন চলে গেলে দূরে। আশাকরি ভিডিও টা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আপনারা উপভোগ করতে পারবেন পরিবেশ টা। এইরকম জায়গাই গিয়ে নিরিবিলি বসে থেকে নিজের সব দুঃখ কষ্ট বিসর্জন দিতে পারলে খারাপ হয় না।
গত মঙ্গলবার ছিল আমাদের র্যাগডে। সবার একসঙ্গে এটাই আমাদের শেষ কোনো অনুষ্ঠান। আর হয়তো কখনো এভাবে একসঙ্গে হতে পারব না। আমরা যেখানে র্যাগ ডে পালন করছিলাম তার পাশেই ছিল গড়াই নদী। একপর্যায়ে আমি এবং আমার আর দশ জন বন্ধু ঠিক করি নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরব। সেই সময়ে আকাশ ছিল মেঘলা সুন্দর বাতাস হচ্ছিল। নদীর ঘাটেই ছিল নৌকা। আমাদের আর দেখে কে সব ঠিকঠাক করে উঠে পড়লাম। ঐ সময়ে আমি এই ভিডিও টা ধারণ করেছিলাম। নৌকায় করে আমরা প্রায় ৪৫ মিনিট ঘুরেছিলাম। এই ভিডিও টার ব্যাকগ্রাউন্ডে আমি অনেক পরিচিত একটা গান ব্যবহার করেছি। ওরে নীল দরিয়া। গানটা অনেক আগের হলেও এখনো অনেক জনপ্রিয়। এই গানটাকে নাবিকদের জাতীয় সংগীতও বলা হয়। নদীতে নৌকায় এইভাবে ঘোরা তার সঙ্গে বন্ধুরা সত্যি অসাধারণ। সেজন্যেই স্মৃতি হিসেবে রেখে দিলাম ব্লকচেইনে। আজীবন থেকে যাবে। আজ থেকে বছর কয়েক পর দেখলে মনে পড়ে যাবে সব স্মৃতি।
গত বুধবারের কথা। আমার বন্ধু রাসেলের আমন্ত্রণে ওর সঙ্গে ঘুরতে গেছিলাভ শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটা অনেক টা জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এবং ভেতরে অসাধারণ একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ। যে কারো ভালো লাগবে এই জায়গা গেলে। তো একপর্যায়ে মেঘ লেগে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয় এবং সঙ্গে ছিল বাতাস। ঐ সময়ে আমি এই ভিডিও টা ধারণ করি। এবং তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির উপরে চলে যায় এবং নিচের অংশের ভিডিও টা ধারণ করি। সেই ভিডিও টা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছি আমি। কয়েকদিন আগে এটা নিয়ে পোস্ট করেছিলাম আমি। আজ ভিডিও টা শেয়ার করে নিলাম। ভিডিও টার ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা রবীন্দ্র সংগীত আজও ঝরো ঝরো মুখরো বাদলও দিনে গানটা ব্যবহার করেছি আমি। প্রকতি এবং রবীন্দ্র সংগীত একসঙ্গে। এর তুলনা সত্যি হয় না। আজ এই পযর্ন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।।
------- | ------ |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | জুন,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। মানুষ এখন শরীলের অসুস্থার চেয়ে মানসিক অসুস্থ আরও অনেক বেশি।
আর মন ভালো করার জন্য নিজের ভিতরে থাকা দুঃখ কষ্ট গুলো। হালকা করতে এমন একটা জায়গা হলেই হলো।আর সাথে ঘুরতে যাওয়ার মতো বন্ধু। যাইহোক ভাইয়া আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও গ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দারুন একটা ভিডিওগ্রাফি ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। এই ধরনের পরিবেশে যদি সময় অতিবাহিত করা যায় তাহলে যেন পৃথিবীর অন্যান্য সকল কথাই ভুলে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আমার কাছে মনে হয়।
ভাইয়া ভিডিওগ্রাফিগুলো দারুন হয়েছে। আপনি প্রকৃতির দারুন ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করলেন।যা মনটাকে প্রানবন্ত করে দেয়।আর বন্ধুদের সাথে নদীতে কাটানো মূহুর্তটিও দারুন লাগলো।সাথে গানগুলোও চমৎকার লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।