আমার কলেজ ক্যাম্পাস:- কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। গতকাল আমি একটা প্রয়োজনে আমার কলেছে গিয়েছিলাম সেটা অবশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এবং বলেছিলাম আজ আমার কলেজ ক্যাম্পাস সম্পর্কে লিখব। তাই চলে আসলাম। সত্যি বলতে আমার কলেজ ক্যাম্পাসটা খুবই সুন্দর। এই কলেজের বেশ কয়েকজন সাবেক ছাএ আমার বাংলা ব্লগে আছেন তারা আমার থেকেও আরও ভালো জানেন। আমি পর্যায়ক্রমে আমাদের কলেজের বিভিন্ন অংশ দেখাব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই সাথে থাকবেন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
২০১৯ সালে আমি এসএসসি পাশ করি। এরপর কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়। প্রথম দিন থেকেই অসাধারণ একটি টান অনুভব শুরু করি কলেজটার উপর। যা এখনও বিদ্যমান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সত্যি বলতে আমার কলেজ ক্যাম্পাসটা খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো ছবির মতো। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্টিত করা হয়। বতর্মানে বাংলাদেশে সেরা দশটা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মধ্যে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক অন্যতম। এটা কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত। এটা কুষ্টিয়া পুরাতন কাটাইখানা মোড়ের পাশে অবস্থিত। বর্তমানে এখানে ৬ টি টেকনোলজি রয়েছে। এগুলো হলো সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার। এই ৬ টি টেকনোলজিতে প্রায় ৫০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ণরত রয়েছে । এখানে দুইটা ছাএাবাস এবং একটি ছাএীনিবাস রয়েছে। এবং আমাদের কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক খুবই দক্ষ। তো চলুন আরেকটু ভেতরে যাওয়া যাক।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়বে বকুলতলা। এটা এই কলেজের কেন্দ্রবিন্দু বলা যায়। যেকোনো ধরনের আন্দোলন বা সমাবেশ এখান থেকেই শুরু হয়। কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে জায়গাটা খুবই পছন্দের। এখান থেকে তিন দিকে তিনটা রাস্তা চলে গেছে। একটি রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে এই কলেজের ছাএাবাসের দিকে। এবং একটি গিয়েছে একাডেমিক ভবন হয়ে প্রশাসনিক ভবনে। এবং একটি রাস্তা মাঠের পাশ দিয়ে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক এর অডিটোরিয়ামে গিয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এখান থেকেই সব রাস্তার সুচনা। জায়গাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এটা হলো একাডেমিক ভবন। এটা তিনতলা বিশিষ্ট ভবন। এর নিচ তলায় ফিজিক্স এবং কেমিষ্ট্রি ল্যাব রয়েছে। এর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টে এবং তৃতীয় তলায় রয়েছে ড্রয়িং এর জন্য স্পেশাল ক্লাসরুম। এখান থেকে কিছুদুর এগিয়ে গেলেই প্রশাসনিক ভবন। এবং এর সামনে রয়েছে পতাকা উওোনের জায়গা। এবং এখান থেকে কিছুদুর এগিয়ে গেলেই তাপসী রাবেয়া ছাএীনিবাস। ওখানে আমি কখনোই যায়নি। কারণ ওখানে ছেলেদের যাওয়া নিষেধ।
এটা আমাদের কলেজের দ্বিতীয় গলি বা সেকেন্ড রো। এখানে ঢুকতেই প্রথমে রয়েছে সাইকেল গ্যারেজ। যেখানে মুলত অএ ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা তদের সাইকেল বা বাইক রেখে থাকে। এবং এরপর থেকে রয়েছে প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের নিজিস্ব ল্যাব। সুতরাং এই গলির তাৎপর্য কতটা বুঝতেই পারছেন। এবং এই গলির দুই পাশ দিয়ে সুন্দর কিছু ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে।
এটা হলো আমাদের কলেজের তৃতীয় এবং শেষ গলি। এখানে ঢুকতে প্রথমেই রয়েছে ছাএ কমন রুম। অবসর সময়ে ছাএরা এখানে এসে আড্ডা দেয় বিভিন্ন গেমস খেলে থাকে। এবং এরপর রয়েছে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে। এরপর রয়েছে ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্ট। এবং এরপরে অন্যান্য কিছু টেকলোজির আলাদা কিছু ল্যাব রয়েছে। এবং এই গলির শেষ মাথা থেকে শিক্ষকদের কোয়াটার দেখা যায়।
এটা হলো কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের খেলার মাঠ। মাঠটা অনেক বড়। মাঠটা ঠিক বর্গাকার না তবে একটা ফুটবল মাঠের সমান। এখানে অএ ইন্সটিটিউটের ছেলেরা খেলাধুলা করে থাকে। মাঠটা খুবই সুন্দর। আমি একাধিক এখানে ফুটবল ক্রিকেট খেলেছি। এছাড়াও এখানে অএ কলেজের অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ক্লাসের ফাকে শিক্ষার্থীরা এই মাঠে বসে আড্ডা দেয়।
আগেই বলেছি আমার কলেজ ক্যাম্পাসা অনেক সুন্দর। এর মূল কারণ আমার কলেজে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা। চারিদিকে যেন সবুজ। আমাদের কলেজের অধ্যাপক এবং অন্যান্য স্যাররা অনেক সৌখিন। এর জন্য তারা আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে অসংখ্য ফুল গাছ লাগিয়েছ। যেন ক্যাম্পাসা সুন্দর হয়ে উঠে এবং লেখাপড়ার পরিবেশ গড়ে উঠে। এখানে আমি বেল কয়েকপ্রকার ফুলের ছবি দিয়েছি। এগুলো সব আমার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তোলা হয়েছে। এখানে বেশ কয়েক প্রজাতির গোলাপ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নানান রকম ফুল। তো বন্ধুরা কেমন লাগল আমার কলেজে ক্যাম্পাস।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
তোমাকেউ অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
খুবই সুন্দর কলেজ ক্যাম্পাস টি। কলেজ ক্যাম্পাসের ফুলগুলো খুব সুন্দর দেখতে। খেলার মাঠ টি দারুন। তবে জানি না এর ভেতরে শিক্ষা ব্যবস্থার কি পরিস্থিতি। আশা করি ভালোই হবে। ধন্যবাদ
শিক্ষা পরিস্থিতির অবস্থা টাও অনেক ভালো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
অনেক দিন পর প্রিয় ক্যাম্পাস দেখে খুবই ভালো লাগলো ।কতনা স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ক্যাম্পাসের সাথে।
🙂🙂🙂🙂💖💖
আপনার কলেজ ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসের বর্ণনাগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। আমি দোয়া করি আপনি যেন এই কলেজ থেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।।