🔒🔒লকডাউন ডায়েরি📒📓। ১ম পর্ব(১৮-০৩- ২০ থেকে ৩১-০৩-২০ পযর্ন্ত )। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
দিন টা ১৬ ই মার্চ। সেদিন আমি কলেজ থেকে মাএ বাসায় ফিরেছি। দিনটা ছিল সোমবার। পরেরদিন ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মদিন। ঐদিনটা নিয়ে বাংলাদেশের অনেক অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ঐ করোনা সব বাঞ্চাল করে দেয়। ১৬ ই মার্চ কলেজ থেকে বাসায় ফিরে দেখতে পাই সরকার সব স্কুল কলেজ ৩১ তারিখ পযর্ন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। দেখে অবশ্য বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি এত বড় বিপদে আছি আমরা যাইহোক। ১৮ তারিখে আমার চাচাতো ভাই রোহান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই তে লেখাপড়া করে ও হল থেকে বাড়ি চলে আসে। প্রথম প্রথম ভাইয়ের সাথে দিনগুলো আমার বেশ কাটছিল। রোহান ভাইয়া আমার থেকে ৫ বছরের বড় হলেও সে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। যাইহোক এরপর সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দিল। ২৫ মার্চ থেকে ছুটি টা শুরু হলো। সেই ছুটিতে আমার চাচাতো ভাইয়েরা স্ব পরিবারে আমাদের গ্রামের বাড়ি চলে আসলো। ঈদ বাদে এই প্রথম আমাদের পরিবারের সবাই এক হলো। বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু তারপরই ঘটে গেল এক ঘটনা।
করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এবং প্রথম অবস্থা সবার প্রাণে ভয়। এমন অবস্থায় পরিবারের সবাই যেন সুস্থ্য থাকে এজন্য আমার কাকা এবং ভাইয়েরা সিদ্ধান্ত নেই আগামীকাল কাল থেকে কেউ বাড়ির বাইরে যাবে না। বাজার করার প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ে যেতে হবে এবং অকারণে বাইরে যাওয়া যাবে না। এবং নামাজের জন্য মসজিদেও যাওয়া যাবে না। আমরা পরিবারের সবাই প্রতি ওয়াক্ত নামাজ বাসায় জামাত করে পড়তাম। তখন আমি নতুন ফোন কিনেছি এই একমাস হয়েছে। ফোনে গেমস খেলে এবং ইউটিউব দেখে আমার দিনটা খুব ভালো কাটছিল। কিন্তু এইভাবে আর কত। প্রথমদিকে আমি প্রায় সারাদিন wcc2 গেমস খেলতাম।
মূলত তখন আমার রুটিন টা ছিল এইরকম ঘুম থেকে উঠতাম সকাল ১০ টার পর। ঘুম থেকে ফ্রেশ হয় নাস্তা করে গেমস খেলতাম ১ টা পযর্ন্ত। এরপর আবার দুপুরের ইবাদত শেষ করে খাওয়া দাওয়া। এরপর দুপুরে ফ্রেন্ডদের সাথে মাসেঞ্জারে গল্পগুজব। এবং বিকেল বেলা আমি আমার চাচাতো ভাই রোহান বাড়ির ছাদে বসে গল্প করি। এরপর সন্ধ্যা লাগলেই ইবাদত করে ইউটিউবে নাটক দেখতাম। বলতে হয় এই করোনার মধ্যে আমি প্রায় হুমায়ুন আহমেদের সকল নাটক দেখেছি। যেহেতু লকডাউন ভূলেও বই ধরতাম না😂। এভাব রাত ১২ টা বেজে যেত। ঘুমাতাম তারপর। এভাবেই কাটছিল দিন। এমনও দিন গেছে ভয়ে আমি ঘরের বাইরে বের হয় নাই। চারিদিকে থমথমে অবস্থা। চিন্তা করলে এখনও গায়ের লো খাড়া হয়ে যায়। এরপর সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ ছুটি আরও বৃদ্ধি করে দেয়। আমি তো মজাই আছি কলেজ বন্ধ। নতুন ফোন সারাদিন ফোন ব্যবহার করি। এভাবেই শেষ হলো মার্চ। এই ১৪ দিনে বাড়ির পাশের রাস্তাটা কেমন সেটাও দেখিনি। পরবর্তী পর্বে আরও কথা শেয়ার করব।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
টুইটার
👌👌✌✌😋
আপনার পোস্টটা পড়ে গত বছরগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। কিভাবে যে কেটে গেল। লকডাউনে আমারও একই অবস্থা ছিল। বইয়ের সাথে কোন সম্পর্ক ছিল না। এই প্রভাবটা এখন পর্যন্ত কাটিয়ে ওঠতে পারছি না। এখন আবার অমিক্রনের সংখ্যা বাড়ছে কি যে হয় আল্লাহ জানে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক।
আমারও একই অবস্থা।বইয়ের সাথে আগের মতো মিলটা দিতে পারছি না।
করোনা কালীন সময়ে শুরুর দিকের অবস্থা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার লেখা পড়ার সময় আমার ওই সময়ের স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেউ ধন্যবাদ ভাই।।
ওই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো খারাপ লাগে আবার ভালো ও লাগে।এটা ভেবে খারাপ লাগে কি দুঃসহ জীবন পার করেছি আমরা।আর এরা ভেবে ভালো লাগে ওই সময় আমরা সবাই একসাথে ছিলাম সবার কোনো কাজ ছিলো না খালি আড্ডা আর খেলাধুলা।😍
একেবারে ঠিকই বলেছেন ভাই। আমারও এই একই কথা মনে হয়।।
লকডাউন এর প্রথম এর দিকের সময়টা আসোলেই অনেক ভয়ংকর ছিলো।
যদিও এখনো আমরা বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারিনি পুরোপুরি। আল্লাহ সহায় হোক আমাদের সকলের।
হুম সঠিক বলেছেন।।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে লকডাউনের একঘেয়েমি জীবনের কথা আবার মনে পড়ে গেল। বিভিন্ন প্রকারের মোবাইলে খেলা এবং অন্যান্য খেলায় করেছি লকডাউনে ঘরের মধ্যে বসে থেকে। সময় কাটানোই জন্য বড়োই কঠিন কাজ হয়ে গেছিলো লকডাউনের মধ্যে। লকডাউন নিয়ে আপনার এই পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।।