বিকেলে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি এবং সুন্দর কিছু মূহুর্ত। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলা যায় ছাএজীবন একটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে আনন্দদায়ক মূহুর্ত। এই সময়ে বন্ধুদের সাথে অনেক আড্ডা দিয়ে ঘুরাঘুরি করে সময় কাটে। যাইহোক আমারও কিছু বন্ধু আছে। এলাকার এবং কলেজের বন্ধুদের সাথে আমাদের ব‍্যবহার কিছুটা ভিন্ন হয়। কিন্তু আমি তুহিন নাভিদ ইকরা অনেক আগে থেকেই একসঙ্গে লেখাপড়া করি। আমাদের বাড়ি পাশাপাপাশি এলাকায়। এবং এখন আমরা একসঙ্গে একই কলেজের একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি। আমাদের বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা কলেজে একসঙ্গে যায় এবং আসি। প্রায় একমাস হলো কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে করোনা মহামারীর জন্য। বাড়িতে বসেই ক্লাস করা লাগছে অনলাইনে। অনেকদিন আমরা চারজন একএিত হয় না। তাই ঠিক করি শুক্রবার বিকেলে আমরা দেখা করব ঘোরাঘুরি করব। কোথায় যাব কোথায় যাব ভাবতে ভাবতে মনে আসে আমাদের সেই পুরানো জায়গা। আমাদের মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের কাছে এম এন পার্কে। এটা নদীর সাথে অবস্থিত একটা জায়গা। এবং নামটা আমাদের স্কুলের নাম অনুসারে দেওয়া।

---

---

---

w3w

---

এটা হলো গড়াই নদী। গড়াই নদীকে মধুমতি ও বলা হয়ে থাকে। গড়াই হলো পদ্মা নদীর প্রধান একটি শাখা নদী। পদ্মা বাংলাদেশের প্রধান তিনটা নদীর মধ্যে একটা নদী। শীতকাল হওয়াই এখানে পানি এখন অনেক কম। তবে বর্ষাকালে নদীতে অনেক পানি থাকে। পানিতে নদীর দুপাড় একেবারে থৈথৈ করে। তখন এখানকার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। এখানে আমি শেষ এসেছিলাম আমার বন্ধু লিখনের সাথে। আরা এখানে পাঁচবছর লেখাপড়া করেছি। সেইসময়ে প্রতিদিন নদীর পাড়ে টিফিন টাইমে সময় অতিবাহিত করতাম। জায়গাটা আমাদের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে। এখানে উপরে অনেকগুলো বসার জায়গা আছে। আমরা সেখানে বসে গল্প করতে থাকি। বর্তমানে এটা কুমারখালীর মধ্যে জনপ্রিয় একটি জায়গা। এখানে প্রতিদিন বিকেলে অনেক লোক হাটতে আসে।

---

---

w3w

---

---

এই জায়গা নিয়ে আমাদের অনেক মজাদার গল্প আছে। আমরা তখন দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমরা পাঁচজন এই চারজন বাদে সাথে লিখন থাকত। প্রতিদিন স্কুলের সমাবেশ বাদ দিয়ে এখানে এসে বসে থাকতাম। কারণ ঐ সমাবেশে দাঁড়িয়ে থাকতে আমাদের ভালো লাগত না। এভাবে কিছুদিন চলে গেল। কিন্তু একদিন আমাদের ক্লাসের এক বন্ধু আমাদের সাথে শএুতা করে প্রধান শিক্ষকের কাছে বলে দেয়। স‍্যার এই পাঁচজন প্রতিদিন সমাবেশ বাদ দিয়ে ওখানে গিয়ে বসে থাকে। আমরা সেটা জানতাম না। প্রতিদিনের মতো সেদিনও গিয়ে বসে আছি। স্কুলের মধ্যে সমাবেশ চলছে সেটা আমার কানে আসে। যাইহোক হঠাৎ দেখি তিনজন স‍্যার আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা দেখেই দৌড় দেয়।

---

---

w3w

---

---

কিন্তু লিখন অন‍্যমনস্ক থাকায় দৌড় দিতে পারে না। এবং লিখন ধরা পড়ে যায়। এরপর সমাবেশের মধ্যে সবার সামনে লিখনকে হাজির করা হয়। এবং স‍্যার ওকে জিজ্ঞেস করে তোর সাথে আর কে কে ছিল বল। লিখন কিন্তু বন্ধুদের পরিচয় দিয়েছিল সেদিন ও আমাদের নাম বলে নাই। কিন্তু আমরা নিজেই চলে যায় স‍্যারের কাছে। পুরো স্কুলের সামনে স‍্যার আমাদের দিয়ে শপথ করায় যে তোরা আর কখনো সমাবেশ বাদ দিবি না। এবং পরবর্তী এক সপ্তাহের সমাবেশ তোরা পাঁচজন পরিচালনা করবি। কী আর করার। এরপরের একসপ্তাহ আমরা সমাবেশ পলিচালনা করি। সেই দিনটার কথা আমরা জীবনেও ভুলব না। আজ আমরা সেই দিনটা নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলি। বেশ ভালো ছিল মূহুর্ত টা। এরপর সন্ধ‍্যা লেগে যায়। গোধূলি লগ্নে যেন নদী নৌকা অসাধারণ লাগছিল। এরপর আমরা চলে আসি সেই সুন্দর জায়গাটা থেকে।

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---