!! বলি!! সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজ রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

সমুদ্রের পাশে একটা দ্বীপ। দ্বীপের নাম ছেঁড়াদিয়া। এই ছেঁড়াদিয়ার একমাএ অধিপতি হলো সোহরাব কোম্পানি(চঞ্চল চৌধুরী )। তার কথায় এখানে সবাই উঠে বসে। আগে সোহরাব বলি ছিল। বলি মানে ডাকাত এখন কোম্পানি হয়েছে। সোহরাব এর ভাই শাহজাহান বলি। এবং শাহজাহান বলির ছেলে আছে একটা জিয়াউল হক পলাশ সেও বাপের মতো বদ। তো প্রথমেই দেখা যায় শাহজাহান বলি ছেঁড়াদিয়ার সুরি বাড়িতে যায়। সুরি বাড়ি মানে পতিতালয়। সেখানে গিয়ে একটি কিশোরী কে তুলে নিয়ে আসে। সুরি বাড়ির প্রধান বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কারণ শাহজাহান বলি যে সোহরাব কোম্পানির ভাই এটা সবাই জানে ছেঁড়াদিয়ার। তো এই দ্বিপে একটি মাএ মসজিদ এবং সেখানে একজন মাএ ইমাম। ইমামের একটা মেয়ে আছে। সোহরাব আবার ইমামের কথা খুব মান‍্য করে। ইমাম সব ঘটনা জানার পরে সোহরাব কে গিয়ে বলে আপনার ভাই শাহজাহান বলি এই কাজ করেছে। তখন সোহরাব তার শাহজাহান এর ছেলেকে ডেকে বলে মেয়েটাকে সহিহ সালামতে সুরি বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবি। কিন্তু সে গিয়ে দেখে মেয়েটা মারা গেছে। তখন শাহজাহান বলি বলে তুই চিন্তা করিস না আমি তোর চাচার সঙ্গে কথা বলে নেব। মেয়েটার মৃত্যুতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে যায় সুরি বাড়ির অন‍্যান‍্য সদস্যরা।

---

---

---

---

সেই সময়ে সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে একটা ছেলে আসে ছেঁড়াদিয়ায়। ছেলেটা তার স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে। সুরি বাড়ির মেয়েরা তাকে নিয়ে গিয়ে সুস্থ্য করে। এবং তার নাম দেয় রুস্তম। যাইহোক ছেলেটা সুস্থ্য হওয়ার পর মোটামুটি এলাকা ঘুরতে শুরু করে। এবং প্রথমেই সোহরাব কোম্পানির ভাতিজার সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। রুস্তমের ছিল অসাধারণ গুণ। সে শব্দ শুনে বন্দুক দিয়ে আঘাত করতে পারত। যাইহোক রুস্তমের ছেঁড়াদিয়ায় এমন আগমনে সবাই চিহ্নিত বিশেষ করে সোহরাব নিজে এবং তার বউয়ের ভাই ঐ এলাকার ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান।

---

---

---

---

অন‍্যদিকে ইমামের মেয়ে রুস্তমকে পছন্দ করে ফেলে। এবং সে চাই রুস্তম যেন সুস্থ্য থেকে এই ছেঁড়াদিয়া দ্বিপ ত‍্যাগ করে। কিন্তু রুস্তম জানে না সে কোথা থেকে এসেছে। সেটা জানলে সে এইখানে কখনোই থাকত না। যাইহোক সুরি বাড়ির মেয়েরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যায় ঐ এলাকার সাবেক কোম্পানির কাছে। তারা হলো সোহরাব কোম্পানির শএু। তো ঐ শএু পক্ষ জানে তারা যদি শাহজাহান বলিকে হত‍্যা করতে পারে তাহলে অনায়াসে সোহরাব কোম্পানিকে তার জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। এবং তারা আবার এই ছেঁড়াদিয়ায় রাজত্ব করতে পারবে। সোহরাব কোম্পানি শাহজাহান বলিকে বলে রুস্তম কে হত্যা করে ফেলতে। সেজন্য তারা রুস্তম কে খুজতে থাকে। এবং পেয়েও যায়। সেসময়ে রুস্তম কে জখম করে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে যায় যে সেখানে হত‍্যা করবে।

---

---

---

---

কিন্তু সেখানে গিয়ে অন্য একটা ঝামেলা হয়ে যায়। রুস্তম কে গুলি করবে এমন সময়ে অন্য একটা ট্রলার চলে আসে। তাদের সাথে শাহজাহান বলিদের গোলাগুলি হয়। শাহজাহান বলির গ্রুপের সবাই মারা যায়। তখন ঐ ছেলে দুইটা ঐ ট্রলারে যায়। এবং গিয়ে দেখে ওখানে একজন পড়ে আছে এবং তাকে ওরা চেনে। হ‍্যা ওরা রুস্তম কে বলে এই সাব্বির ভাই সাব্বির ভাই আপনার কী হয়েছে। এরপর রুস্তম মানে সাব্বির কে তারা নিয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর রুস্তম দেখতে পাই সে একটা রুমে শুয়ে আছে। এবং একটা মহিলা তাকে বলছে বাবা সাব্বির তুই কোথায় ছিলি এতদিন তুই কেমন আছিস। কিন্তু রুস্তমের কিছুই মনে পড়ছিল না এভাবে কিছুদিন চলে যায়। ছেঁড়াদিয়ার কথা ভুলতে পারছিল না রুস্তম শুধুমাত্র একটা কারণে আর সেটা হচ্ছে ঐ ইমামের মেয়ে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় সে ছেঁড়াদিয়ায় আবার যাবে তবে নতুন রুপে।

---

---

---

---

ততক্ষণে সোহরাবের কাছে খবর চলে গেছে তার ভাই শাহজাহান বলি মারা গেছে। এবং অন‍্যদিকে সোহরাব কোম্পানির শএুরাও প্রস্তুত তাদের উপর আক্রমনের জন্য। ইতিমধ্যে রুস্তম চলে আসে ছেঁড়াদিয়ায়। এটা নিয়ে সোহরাব অনেক চিন্তিত হয়ে যায়। এরপর সেই দিন চলে আসে। সরাসরি সোহরাব কোম্পানি বাহিনী এবং তাদের শএুরা যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। এবং রুস্তম সোহরাব এর বিপক্ষে। রুস্তম এবং সোহরাব চলে আসে সমুদ্রের পাড়ে। তখন রুস্তম এবং সোহরাব একে অন‍্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়হ এবং তখন সোহরাব বলে রুস্তম এবং রুস্তম বলে সোহরাব। এমন সময় দুজনে গুলি চালায়। সোহরাব সেখানে মারা যায় কিন্তু রুস্তম বেঁচে যায়। যাইহোক এরপর ছেঁড়াদিয়ার দখল নেয় ঐ অন‍্যপক্ষ। এবং রুস্তম ইমাম এবং তার মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। পরে রুস্তমের মা ইমাকে চিনতে পারে। এবং বলে সোহরাব মানে রুস্তমের বাবা কোথায়। তখন ইমাম জানতে পারে রুস্তম সোহরাবের ছেলে। অর্থাৎ অনেক বছর আগে সোহরাব ছেঁড়াদিয়ায় পালিয়ে যায় তার সঙ্গে যায় ঔ ইমাম। সেখানে গিয়ে সে আবার জেকে বসে। এটা যখন রুস্তম জানতে পারে যে সে কিছুসময়ে আগে যাকে হত‍্যা করেছে সেই সোহরাব ওর বাবা তখন ওর মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে যায় । এখানে ওয়েব সিরিজটা শেষ হয়।

---

---

শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

আপনারা অষ্ঠম শ্রেণিতে মহাবলি মহাবীর রুস্তম এবং তার ছেলে সোহরাবের কাহিনি পড়েছেন। সেখানে রুস্তম না জেনে যুদ্ধের ময়দানে তার ছেলে সোহরাব কে হত‍্যা করে। এক্ষেত্রে সোহরাব এবং রুস্তম জানতো না তারা বাবা ছেলে। এই ওয়েব সিরিজেও ঐ কাহিনী টা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।এখানে হয়তো বাবা ছেলের চরিএটা আলাদা ছিল। কিন্তু মূল পটভূমি এক। এখানে পরিচালক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত থ্রীলার টা ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার দেখা সেরা একটা ওয়েব সিরিজ ছিল এইটা এটা আমার মতামত।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯.৫/১০

---

---

ট্রেইলার লিংক

---

---