রহস্য গল্প:-🏡🏡 রহস্যময় বাড়ি পর্ব:১🏡🏡। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমি @emon42। বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগে আমার নতুন আরেকটি পোস্টে আপনাদের কে স্বাগতম। আজ আমি আমার লেখা একটি গল্প রহস্যময় বাড়ি এর প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই সাথেই থাকবেন। এই ১০ % বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
রহস্যময় বাড়ি - পর্ব:১
ভুবনবাবু এলাকার মধ্যে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। তার বয়স এখন প্রায় 65 বছর।তার কোন ছেলে মেয়ে নেই কারণ তিনি বিয়ে করেন নি।তার শরীরের গঠন লম্বা শ্যামবর্ণ এবং সুঠাম দেহের অধিকারী। কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায় কিছুটা নেতিয়ে পড়েছেন।কিন্তু এই বয়সের অন্য সব মানুষের তুলনায় তিনি অনেকটাই সুস্থ। তার পরিবারের কেউ নেই। এর পূর্বে তিনি আফ্রিকার একটি রেলওয়ে স্টেশনে কাজ করতেন। ওখানে তিনি স্টেশন মাস্টার ছিলেন। জীবনের বেশিরভাগ সময়টা উনি ওখানে অতিবাহিত করেছেন। উনার যখন বয়স 23 বছর তখন তার মামার সুপারিশে তার আফ্রিকান রেলওয়েতে চাকরি হয়। প্রায় 1975 সালের কথা বাবা-মা দেশে থাকেন এবং তিনি আফ্রিকার রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের কাজ করতেন। এভাবেই চলছিল তার দিন।মাঝে মাঝে দেশে আসতেন বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতেন আবার চলে যেতেন।স্টেশনটা ছিল বড়ই নিরিবিলি এবং শুনশান। দিনে মাত্র একটি ট্রেন আসত সেখানে। এখান থেকে যাত্রী উঠানামা করত খুব সামান্য।যারা যাতায়াত করত তারা সবাই আদিবাসী। চাকরির বয়স শেষ হওয়াই ভুবন বাবু দেশে চলে আসেন।ততদিনে তার বাবা-মা সবাই মারা গেছেন।বিয়েও করেন নি।এরকম অবস্থায় তার সময় কাটতে চায় না। তার পরিবারের কেউ নেই। তিনি বরাবরই একটু কঠোর স্বভাবের। পাড়া প্রতিবেশির সাথে সেইরকম কথা বলেন না।
ভুবনবাবুর পৈতৃক বাড়ি টা রয়েই গেছে। কিন্তু এই বাড়ির আশপাশে আর কোনো বাড়ি নেই। তিনি অনেকদিন পর দেশে এসেছেন বাড়ির চারপাশে জংলা অনেক বড় বড় গাছপালা।একটা জঙ্গলের মধ্যে পুরাতন বাড়ি আফ্রিকায় থাকতে থাকতে এরকম পরিবেশের সাথে মূলত নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন ভূবনবাবু। এখানে এসে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।ভূবনবাবুর আফ্রিকা থেকে পশু পাখির উপর একটা ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার সেই পুরনো বাড়িতে সাপ এবং মাকড়সা পালন শুরু করেন। সেখানে পাইথন, র্যাটস স্নেক, গোল্ডেন ভাইপার, রাসেল ভাইপার এসব বিষাক্ত সাপ পালন করতেন এবং এরই পাশাপাশি ছিল কিছু আফ্রিকান বিষাক্ত মাকড়সা। আফ্রিকা থেকে বিশেষভাবে উনি এগুলো নিয়ে এসেছিলেন। আফ্রিকায় থাকতে থাকতে এসব প্রাণীর সাথে তার খুব ভালো মেলবন্ধন তৈরি হয়ে যায়।এ সম্পর্কে তিনি অনেক ভালভাবে জেনে যান।এসব দেখাশোনার জন্য তিনি একজন লোক রাখেন।তিনি একা এত কিছু করতে পারতেন না।তার নাম ছিল জনাথন। জনাথন জাতিতে খ্রিষ্টান। জনাথনের এসব প্রাণীর উপর ভালোবাসা ছিল। এরকম বিষাক্ত প্রাণী বাড়িতে পুষে রাখায় ভুবন বাবুর বাড়ির দিকে কেউই আসতে সাহস পেত না। নিশি রাতে কোন সাড়াশব্দ নেই ভুবন বাবুর বাড়ি থেকে সাপের শি শি….শি শব্দ আসে।এটা বেশ ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। এরকম বিষাক্ত প্রাণী পালন করায় এলাকার কোন সাধারন মানুষ দূরের কথা, কোন চোর ডাকাত ও তার বাড়ির দিকে আসতে সাহস পেত না।
এভাবেই চলছিল দিনকাল।জনাথন তার কাজ ঠিকঠাক মতোই করছিল। জনাথন ছেলেটা ভালো শিক্ষিত,কিন্তু চাকরি বাকরির প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই। সে জন্যই সে এরকম একটি কাজ নিয়েছে এরকমটাই বলে ভুবন বাবুকে। ভুবনবাবু নির্দ্বিধায় তা বিশ্বাস করে এবং দুজনেই প্রাণী গুলোর দেখাশুনা করে ওদের খেতে দেয় ওদের সাথে নানানভাবে সময় অতিবাহিত করে।এভাবেই কাটছিল এরপর ঘটে গেল এক রহস্যময় ব্যাপার। অনেকদিন ধরে ওই বাড়ি থেকে ভুবন বাবুর কোনো আওয়াজ পাওয়া যায় না। এলাকার লোক কিছুটা সন্দেহ করে। জোনাথন কেউ সেরকম দেখা যায় না।এরই মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে প্রচন্ড দুর্গন্ধ। এলাকার লোক ওদিকে গিয়ে সেরকম কিছু দেখতে পায় না। কিন্তু সাপ এবং মাকড়োসার ভয়ে কেউ বাড়িতে প্রবেশ করেন নি। সেজন্য তারা পুলিশকে ডাকে। যথারীতি পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকে দেখেন ভুবন বাবুর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। এবং তার দেহ থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ আসছে। এবং তার বেশিরভাগ বিষাক্ত প্রাণী বিশেষ করে পাইথন রাসেল ভাইপার এবং আরেকটি মাকড়োসা খাঁচা থেকে বেরিয়ে এসেছে।সবাই ধারণা করেছিল হয়তো এদের কামড়েই বিষক্রিয়ায় ভুবন বাবুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু জনাথন কোথায়? জনাথন তাহলে কোথায় গেল? জোনাথনেরও কী তাহলে এদের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।পুরো বাড়ি জোনাথনের কোনো চিহ্নমাত্র নেই।
চলবে...........
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
ভালো কিছু পুশুক শেষে গোল্ডেন ভাইপার, রাসেল ভাইপার কে। এরম ভাবে মড়াটা স্বাভাবিকই।
পরের পর্বে মজা আছে😄😄😄😄
অনেক ভালো লিখছেন গল্পটা।তবে সাপ এর কথা শুনলে খুব ভয় লাগে আর এই মানুষগুলো সাপের সাথে বসবাস করত শুনেই আমার ভয় লাগছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।।
ভালই রহস্যময় গল্প মনে হচ্ছে। চালিয়ে যান ভাই। পরের অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ। আশাকরছি খুব দ্রুতই পাবেন।।
আপনার গল্পটা অসাধারণ ছিল। ভুবন বাবুর গল্পটা অনেকটাই ভৌতিকতার মতো।বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর উপর ভালোবাসাটা আমাকে ভাবায়। তিনি আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা প্রাণীদের সাথে গভীর বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে ছিলেন।
খুবই ভালো কেটেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।।
ভাইয়া গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল, তবে আমার নিরিবিলি জায়গা খুব ভয় লাগে। যাই হোক আপনার এরকম পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সম্পূর্ণ গল্পটা পড়ার জন্য।।
উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।মার্জিত ভাষায় এবং উন্নত শব্দে পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে।এটা চলবে তো চলবেই বরং দৌড়াবে ভাই।পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পরের পর্ব দ্রুতই দেব।।
গল্পটা অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।শেষে এসে রহস্যটা থকেই গেছে।পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেউ অসংখ্য ধন্যবাদ গল্পটা মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
ভুবন বাবুর গল্পটা বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে বিশেষ করে ভুবন বাবুর আফ্রিকার গল্পটি বেশ রহস্যজনক মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে রহস্য গল্পটি।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।।
খুবই ভালো লিখেছেন ভাইয়া।ভুতের গল্প আমার বরাবরই ভালো লাগে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
এটা ভূতের গল্প না। পরের পর্বে রহস্যের উন্মোচন করব। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
আপনার আজকের এই ভয়ংকর গল্পটি পরে আমার গা শিয়রে উঠেছে। তবে ভালো লাগে এসব গল্প। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ। পরের পর্ব খুব দ্রুতই দেব।।