🐦🕊পক্ষিরাজ🕊🐦। সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

শহর থেকে এনটিভি এর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল বাংলাদেশের প্রত‍্যন্ত একটি গ্রামে যায়। এদের মধ্যে একজন সাংবাদিক একজন ক‍্যামেরাম‍্যান এবং একজন সহকারী যায়। তারা একধরনের প্রোগ্রাম করে নাম অদ্ভুত বাংলা। এবার তারা যাবে বাতাকান্দি গ্রামে ইউসুফ মিয়ার কাছে। সে নাকি সব পশু পাখির ভাষা বুঝতে পারে। যাইহোক তারা তিনজন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কাঁদার মধ্যে হাঁটছে। কিন্তু চ‍্যানেল থেকে গাড়িতে যাওয়ার টাকা পেয়েছে। কিন্তু টাকা বাঁচানোর জন্য ড.এজাজুল সবাইকে হাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ক‍্যামেরাম‍্যান স্বাধীন খসরু তার উপর খুবই রেগে গেছে। অন‍্যদিকে তার ম‍্যানিব‍্যাগ হারিয়ে গেছে। এবং এজাজুল হক চোর বলে তাদের সহকারি ফারুক আহমেদ কে। যাইহোক তারা একজন লোকের কাছে সাহায্য চাই। ঐ লোক তাদের গ্রামের একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যায়।এখন এজাজুল দোকনদারকে বলে আপনি পক্ষিরাজ ইউসুফকে চিনেন। দোকানদার বলে হ‍্যা। বলে তার সম্পর্কে কিছু বলেন। কিন্তু দোকান হা করে ক‍্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু বলতে পারে না।

---

---

---

---

যাইহোক এরপর এজাজুল খসরুর ম‍্যানিব‍্যাগ খোজার জন্য ফারুক আহমেদের ব‍্যাগ চেক করে কিন্তু পাই না। এরই মধ্যে তারা ইউসুফ মিয়ার সম্পর্কে একটি বাচ্চার থেকে ইন্টারভিউ নেয়। যাইহোক ভালোই এগিয়ে চলে তাদের প্রোগ্রাম। কিন্তু প্রায় দুপুর। সবার খুদা লেগেছে। কিন্তু এই গ্রামে কোনো ভাতের হোটেল নাই। এরই মধ্যে গ্রামের স্কুলের হেডমাস্টার চ‍্যালেঞ্জার এর সাথে দেখা হয়। উনি যখন শুনেন এরা এনটিভি থেকে এসেছেন বলেন আমার বাড়িতে চলেন দুপুরের খাবার খাবেন। কিন্তু সেই খাবার তৈরি করতে অনেক দেরী হয়ে যায়। কারণ তার বাড়িতে চিকন চাল ছিলনা। সেই চাউল আনতে আনতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এরই মধ্যে বাধ্য হয়ে উনারা মাস্টারের মেয়ের বাজে গান এবং তালহীন নাচ রেকর্ড করে। এরপর মাস্তারের ইন্টারভিউ নেয়।

---

---

---

---

যাইহোক এরপর খাবার সময় এলে আবার মাস্টারের শালার সাথে তাদের ঝামেলা হয়। এরপর তারা রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে পরেরদিন তারা বাতাকান্দি গ্রামের ইউসুফ মিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে যায়। বিল পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। ইউসুফ মিয়া সম্পর্কে প্রায় ঐ এলাকার সবাই জানে। বৃদ্ধ গরীব কিন্তু উপকারী। পশু পাখির ভাষা বুঝে একেবারে সহজ মানুষ। এরপর রাতে তারা ইউসুফ মিয়ার বাড়ি পৌছায়। বাড়ি পৌছানোর পর তারা ইউসুফ মিয়াকে বলে যে আপনার একটা ইন্টারভিউ নেব। ইউসুফ মিয়া এজাজুল হকের সাথে কোনো কথা বলে না। কারণ খসরুর ম‍্যানিব‍্যাগ চুরি করে ঐ এজাজুল। কিন্তু সে অকারণেই দোষটা চাপিয়ে দেয় ফারুক আহমেদের উপর।

এরপর ইউসুফ মিয়া বলে কাক আমার কাছে বলেছে যে ম‍্যানিব‍্যাগ চুরি করেছে এজাজুল। এটা শুনে সে ক্ষেপে যায়। এরপর তারা ইউসুফ মিয়ার ইন্টারভিউ না নিয়ে চলে যায়। এবং যাওয়ার সময় এজাজুল হক সব স্বীকার করে খসরুর ম‍্যানিব‍্যাগ ফিরিয়ে দেয়। এখানেই শেষ হয় নাটকটা।

ব‍্যক্তিগত মতামত ও শিক্ষা

---

---

এই নাটকটার রচয়িতা আমাদের কিংবদন্তি হুমায়ুন আহমেদ। যাইহোক এই নাটকের শিক্ষা ছিল আমাদের সমাজে এজাজুল হক এর মতো অনেক লোক আছে যারা নিজে অপরাধ করে অন‍্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এবং সহজ সরল লোক শাস্তি পাই। কিন্তু এই নাটকের মতোই যদি সত্যি সত্যি পশু পাখি কথা মানুষ বুঝতে পারত তাহলে কোনো নিরাঅপরাধ ব‍্যক্তি শাস্তি পেত না। কারণ মানুষ মিথ‍্যা বললেও পশুপাখি কখনো মিথ্যা বলে না। এবং এই নাটকে সবার অভিনয় ছিল একবারে অনবদ্য।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ১০/১০

---

---

নাটকের লিংক

---

---