মহানগর( পঞ্চম ও ষষ্ঠ ) এপিসোডের রিভিউ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
সিরিজের নাম | মহানগর |
পরিচালক | আসফাক নিপুন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ০৮ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার, জাকিয়া বারী মোমো, নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে।। |
অ্যামাবস্যার চাঁদ
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ঐ নায়িকার সঙ্গে কথা বলছে এসি পুলিশ অফিসার। ঐ নায়িকা বলছে আমি এবং আফনান একসঙ্গে ছিলাম পার্টিতে এবং আমরা একসঙ্গে বাড়ি ফিরেছি। কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয় নাই। ঐ নায়িকা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলে। এরপর ঐ অফিসার বলে আপনি একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে চলে যান। এবার বাইরে গিয়ে ঐ নায়িকার সঙ্গে আফনান এর দেখা হয়। আফনান তো দেখেই রেগে যায়। পরে ঐ মেয়ে বলে আমি তোমাকে বাঁচাতে পারি। এবং এরপরই আমরা বিয়ে করব। কিন্তু আফনানের বাড়িতে তার বউ আছে। এরপর ঐ নায়িকা স্টেটমেন্ট দিতে যাচ্ছে তখন একজন পুলিশ বলছে ম্যাম একটা সেলফি তুলতে পারি আমার বউ আপনার অনেক বড় ভক্ত। এরপর হারুন আফনানের কাছে এসে বলছে আচ্ছা আপনার সমস্যা কোথায়। আপনাকে বললাম আমাকে সত্য বলতে কিন্তু আপনি মিথ্যা বললেন। আপনি বললেন আপনার সঙ্গে গাড়িতে কেউ ছিল না এদিকে এই ম্যাডাম মানে নায়িকা বলছে তিনিও আপনার সঙ্গে ছিল।। এটা শুনে আফনান নিজেও বেশ অবাক হয়ে যায়। এরপর দেখা যায় আবির তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলছে। সে এখনো থানায় আটকে আছে।।
এরপর ঐ পার্টিতে যা হয়েছিল সেটা কিছুটা কল্পনা করে ভেবে দেখে আফনান। এরপর আফনানকে ছেড়ে দেবার জন্য যে টাকা ঘুষ নেয় হারুন সেটা চলে আসে। একজন কনস্টেবল সেই ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়ে যায় হারুন এর রুমে। হারুন টাকা দেখে খুশি হয়ে যায়।এরপর হারুন আবিরকে ডেকে বলে আপনি চলে যান। আবির বলে আমাকে তো কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। হারুন বলে কিছুই জিজ্ঞেস করা লাগবে না চলে যান। এরপর আবির গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় তার গার্লফ্রেন্ড কে ফোন করে এবং বলে তোমার বাসার নিচে আসো। আবির মনে করে সবকিছু বলে দেওয়া ভালো। এরপর কিছুটা যেতেই আবির দেখে সামনে পুলিশের গাড়ি। এবং গাড়ি থেকে হারুন নেমে বলছে ওকে আটক করো। এবং এই গাড়িটা অ্যাক্সিডেন্ট করছে এটাই আলামত। আবির বলে আপনি এইমাএ আমাকে থানা থেকে ছাড়লেন আমি কোথায় অ্যাক্সিডেন্ট করলাম। হারুন বলে আমি আপনাকে আজকেই প্রথম দেখলাম। অর্থাৎ ওসি হারুন এখন আফনানের অ্যাক্সিডেন্ট দোষ আবিরের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এবং আবির কে থানায় ধরে নিয়ে যায়।।
অন্ধের যষ্ঠি
এই এপিসোডের প্রথমেই দেখা যায় আফনান তার পার্টিতে একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মেয়েটা খুব একটা পাওা দিচ্ছিল না তাকে। এই দৃশ্যটা সে কল্পনা করছিল। যাইহোক এরপর দেখা যায় আবিরকে কারাগারে ঢোকানো হয়। কিন্তু আবির বার বার বলতে থাকে আমি তো কিছুই করি নাই। তখন আবির একজন কনস্টেবল কে বলে মলয় স্যারকে ডেকে দিতে। মলয় এসে আবিরকে কারাগারে দেখে জিজ্ঞেস করে আপনি এখানে। আপনাকে না ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন আবির বলে মলয় দা আমাকে রহমত গঞ্জের এক্সিডেন্ট কেসে হারুন স্যার ধরে নিয়ে এসেছে। তখন মলয় সবকিছু বুঝতে পারে এবং বলে আপনি দাঁড়ান আমি দেখছি। মলয় ওসি হারুনকে গিয়ে বলে স্যার আপনি ঐ অপরাধী টাকে বাঁচাতে গিয়ে একজন নির্দোষ করে ফাসিয়ে দিচ্ছেন। তখন হারুন বলে কে দোষী এবং নির্দোষী সেটা তুমি ঠিক করবা না। এবং এটা মনে রাখবা সকল সত্যই সত্য কিন্তু সকল মিথ্যা মিথ্যা না।
এরপর মলয় তার বাইক নিয়ে ঐ লোকের খোজে বের হয়ে যায় যে অ্যাক্সিডেন্ট হতে দেখেছিল। এর আগে আবির তার গার্লফ্রেন্ড কে ফোন করে সব বলে। এবং বলে তুমি এসে যদি সত্যি টা বলো আমি তোমার সঙ্গে ছিলাম তাহলে আমাকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু আবিরের গার্লফ্রেন্ড বলে আমি থানায় যেতে পারব না। ঐ লোক বলেছিল সে ঔষধ কিনতে গিয়েছিল সেজন্য মলয় প্রতিটা ঔষধের দোকানের সিসিটিভি চেক করে। সেটা ধরে যদি ঐ লোকের খোজ পাওয়া যায়। এরইমধ্যে আফনান যে পার্টিতে ছিল তার আরও কিছু অংশ দেখাই। অন্যদিকে হারুন কিছতেই হিসাব মেলাতে পারে না। সে বুঝতে পারে আফনান চৌধুরী শুধু অ্যাক্সিডেন্ট করে নাই সে পার্টিতে আরও কোনো অপরাধ করে আসছে। সেজন্য হারুন পার্টিতে তার একজন খোচর পাঠায়। এরমধ্যে দেখা যায় একজন মহিলা থানায় এসে বলছে তার স্বামীকে একজন গাড়িচাপা দিছে। এটা শুনে ঐ এসি স্যার এগিয়ে এসে বলে উনার স্টেটমেন্ট নাও। এবং ঐ এসি স্যার তখন আফনানের কাছে গিয়ে বলে আপনার অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঐ লোকের স্ত্রী অভিযোগ করতে এসেছে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড।।
ব্যক্তিগত মতামত
আজ আমি মহানগর ওয়েব সিরিজের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ এপিসোড রিভিউ করেছি। পরের সপ্তাহে শেষ দুই এপিসোডের রিভিউ দেব। এই দুই এপিসোডে যেন সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। কারণ হারুন যখন আফনানকে নির্দোষী প্রমাণ করে ফেলেছে ঠিক সেই সময়ে ঐ অ্যাক্সিডেন্ট করা লোকের স্ত্রী থানায় এসে হাজির। এবং তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এসি স্যারের। অন্যদিকে হারুন এর কাছে টাকার ব্যাগও পৌঁছে যায়। কিন্তু হারুন কোনোভাবে বুঝতে পারে আফনান শুধু অ্যাক্সিডেন্ট করছে এমন না সে পার্টিতে নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করছে। সেটা দেখর জন্য ঐ পার্টিতে হারুন তার একজন বিশ্বস্ত লোক পাঠায়। অন্যদিকে হারুন বিনাদোষে অবিরকে কারাগারে পাঠায়। এবং আবির যেন ফেসে না যায় সেজন্য মলয় তার বাইক নিয়ে বের হয়ে যায় ঐ লোকের খোজে যে থানায় এসেছিল সব বলতে।। এই পযর্ন্তই ছিল এই দুই এপিসোড।।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০
ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।